বারাসত, 21 জানুয়ারি : "যে নিজের স্বার্থে বারবার এহাত ওহাত ধরতে পারে তাঁর থেকে বেইমান কিংবা গদ্দার শুনতে রাজি নয় । সবচেয়ে বড় বেইমানের নাম তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।" বৃহস্পতিবার বারাসতে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত । তিনি বলেন, "আমি যতদিন তৃণমূলে ছিলাম, ততদিন সৎ ছিলাম । দিদিমণি বলছেন, আমার দলে থাকলে কালো।বিজেপিতে গেলে সাদা । আমি দিদিমণিকে জিজ্ঞাসা করছি, যতক্ষণ আপনার সঙ্গে ছিলাম ততক্ষণ আমি ভালো ছেলে ছিলাম । আজকে আমি খারাপ হয়ে গেলাম । আগে দিদিমণি ঠিক করুক, কাকে ভালো বলবেন । আর কাকে কালো বলবেন ।"
এরপরই তৃনমূল নেত্রীকে খোঁচা দিয়ে ব্যারাকপুরের বিধায়ক ও বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত বলেন, "অন্য দলে যাওয়া লোককে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না । নিজের ঘরের লোককে দেখুন । দিদিমণি ও তাঁর দলের লোকেদের মুখে বেইমানও গদ্দার এসব কথা মানায় না । সবচেয়ে বড় কেউ যদি বেইমান থাকেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।"
এর পিছনে ব্যাখাও দিয়েছেন একসময়ে তাঁর দলের এই বিধায়ক । শীলভদ্রের কথায়, "কংগ্রেস একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংসদ থেকে মন্ত্রী বানিয়েছিল ।সেই কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি । আবার 1998 সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে বাংলায় চলতে শিখেছিলেন । 2003 সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর হাত ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন । পরবর্তীতে প্রয়োজন বুঝে কংগ্রেস ছেড়ে ফের বাজপেয়ীর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল । লোকটা নিজের স্বার্থে বারবার এহাত ওহাত ধরেছে তাঁর মুখে মানায় না বেইমান কিংবা গদ্দার কথা ।"