পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

TMC-BJP : বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল কি ত্রিপুরায় পরিবর্তন আনতে পারবে ?

By

Published : Aug 6, 2021, 1:57 PM IST

বঙ্গের ক্ষমতা ধরে রাখার আত্মবিশ্বাসকে পুঁজি করে ত্রিপুরা জয়ে ঝাঁপিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ বিজেপি তাদের আটকাতে মরিয়া চেষ্টা করছে ৷ তারা কি ত্রিপুরায় পরিবর্তন আটকাতে পারবে ?

can trinamool defeat bjp to bring political change in tripura
TMC-BJP : বিজেপিকে হারিয়ে তৃণমূল কি ত্রিপুরায় পরিবর্তন আনতে পারবে ?

কলকাতা, 6 অগস্ট : 2011 সালে পশ্চিমবঙ্গে বাম জমানার অবসান ঘটিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) ৷ তার পর তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) একই সেন্টিমেন্টকে হাতিয়ার করে ত্রিপুরাতেও (Tripura) বামেদের হারানোর পরিকল্পনা করেছিল ৷ কিন্তু সেই পরিকল্পনা মাঝপথেই ভেস্তে যায় ৷ আর বিজেপির (BJP) বিপ্লব দেবের (Biplab Deb) নেতৃত্বে সেখানে অবসান হয় বামফ্রন্ট সরকারের ৷

2018 সালে ক্ষমতায় আসা সেই বিপ্লব দেবের সরকারকে ত্রিপুরা থেকে উৎখাত করতে মরিয়া হয়ে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রতিক বিধানসভা নির্বাচনে (West Bengal Assembly Election 2021) জিততে সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়েছিল বিজেপি ৷ কিন্তু তাদের সফল হতে দেননি তৃণমূল সুপ্রিমো ৷ তাই তিনিই এখন বিজেপি বিরোধী হিসেবে সবচেয়ে বেশি গ্রহণযোগ্য মুখ ৷ আর এই গ্রহণযোগ্যতাকে হাতিয়ার করেই ত্রিপুরায় ঘাসফুল ফোটাতে নেমেছে মমতার দল ৷

আরও পড়ুন :Farmers Protest : পাশে থাকার বার্তা নিয়ে ফের কৃষক আন্দোলনের মঞ্চে তৃণমূল

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরেছেন মুকুল রায় (Mukul Roy) ৷ তার পর থেকেই ত্রিপুরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয় ৷ কারণ, এক সময় মুকুল ছিলেন তৃণমূলের তরফে ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা ৷ তাঁর হাত ধরেই কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে এসেছিলেন একাধিক বিধায়ক ৷ তিনি বিজেপিতে চলে যাওয়ার পর তাঁরাই আবার গেরুয়া শিবিরে ভিড়ে যান ৷ তাই অনেকের ধারণা ছিল এবার ত্রিপুরা-বিজেপিতেও ভাঙন সময়ের অপেক্ষা ৷

কিন্তু সেই ধারণা এখনও সত্য হয়নি৷ আর ত্রিপুরায় তৃণমূলের কর্মকাণ্ডে মুকুল রায়কে এখনও পর্যন্ত সেভাবে সক্রিয় হতে দেখা যায়নি ৷ তা সত্ত্বেও সেখানকার রাজনীতি সরগরম করে রেখেছে তৃণমূল কংগ্রেস ৷ রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, এর জন্য দায়ী সেখানকার বিজেপি সরকারই ৷ কারণ, তারাই তৃণমূলকে সেখানে হইচই করার সুযোগ করে দিয়েছে ৷

আরও পড়ুন :Mallikarjun Kharge : সাসপেন্ড হওয়া তৃণমূল সাংসদদের রাজ্যসভায় ঢুকতে বাধা, সরব বিরোধী দলনেতা

এখানে উল্লেখ করতেই হয় যে সম্প্রতি ত্রিপুরায় গিয়েছিল আইপ্যাকের (I-PAC) একটি দল ৷ কিন্তু কোভিডবিধির কারণ দেখিয়ে প্রশান্ত কিশোরের (Prashant Kishor) সংস্থার সেই দলকে হোটেলে আটকে রাখা হয় ৷ যা নিয়ে হইচই শুরু করে তৃণমূল ৷ ত্রিপুরায় পৌঁছে যান দলের নেতারা ৷ হাজির হন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) ৷

তাঁর কনভয়ে হামলার ঘটনাও ঘটে ৷ সেই হামলায় অভিযুক্তদের গ্রেফতারের দাবিতে আন্দোলনে নেমেছে তৃণমূল ৷ সেই আন্দোলনে দলের স্থানীয় নেতা-কর্মীরা তো আছেনই ৷ কিন্তু নেতৃত্বে রয়েছেন দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh), ছাত্র নেত্রী জয়া দত্ত, দেবাংশু ভট্টাচার্য ৷ কুণাল ঘোষ কখনও সাংবাদিক বৈঠক করে, কখনও টুইটারে বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন ৷

আরও পড়ুন :Tripura TMC : তেইশে ত্রিপুরা জয়ই লক্ষ্য তৃণমূলের, নজরে মহিলা-যুব ভোট

সামগ্রিক ভাবে তাই এখন থেকেই সরগরম ত্রিপুরার রাজনীতি ৷ 2023-এর মার্চে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন ৷ হাতে এখনও দু’বছর সময় রয়েছে ৷ ততদিন যে বিজেপি-তৃণমূল সংঘাত রোজ চলতে থাকবে, তা বলাই বাহুল্য ৷ কিন্তু সেই সংঘাতে কে জিতবে, সেটাই এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন ৷

বিজেপি এবার বঙ্গের ভোট জিততে ‘আসল পরিবর্তন’-এর ডাক দিয়েছিল ৷ তারা বাংলায় পরিবর্তন আনতে পারেনি ৷ এখন দেখার ত্রিপুরায় তারা পরিবর্তন ঠেকাতে পারে কি না !

আরও পড়ুন :Tripura Politics : ত্রিপুরায় কংগ্রেস-বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ভিড়, আমল দিতে নারাজ গেরুয়া বাহিনী

ABOUT THE AUTHOR

...view details