পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

সারদায় সব থেকে বড় বেনিফিশিয়ারি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়: মুকুল রায়

By

Published : Apr 7, 2019, 10:24 PM IST

মুকুল রায় ()

সারদা কান্ডে সবচেয় বেশি উপকৃত হয়েছেন মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় দাবি মুকুলের

কলকাতা, ৭ এপ্রিল : "সারদার ঘটনায় সব থেকে বড় বেনিফিশিয়ারির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।" আজ BJP-র রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন মুকুল রায়।

সারদা ও নারদ কাণ্ড প্রসঙ্গে মুকুল বলেন, "মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৌলতে আমার সঙ্গে দু'বার সুদীপ্ত সেনের সঙ্গে দেখা হয়। প্রথমবার উত্তরবঙ্গের ডেলোতে ও দ্বিতীয়বার কলকাতায়। এর আগে আমি কোনওদিন সুদীপ্ত সেনকে দেখিনি। আমি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গে এটা বলছি, আমাকে যদি সারদা-নারদার কোনও ঘটনায় কেউ অভিযুক্ত করতে পারে, তা হলে আমি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেব। আর অভিযোগ যদি প্রমাণিত না হয় তাহলে যিনি এই অভিযোগ করছেন তিনি কি রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেবেন? বা পদত্যাগ করবেন? সেইসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পুলিশমন্ত্রী ছিলেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে SIT সারদা কাণ্ডের তদন্ত করেছিল। যার প্রধান ছিলেন রাজীব কুমার। যদি সারদার কোনও ঘটনার সঙ্গে আমি যুক্ত হতাম তাহলে কেন সেসময় তদন্তকারী অফিসার আমাকে তলব করেননি? মমতাকে মুখ্যমন্ত্রী করার জন্য চ্যানেল, খবর কাগজ এই সব বাজে বিনিয়োগ করে সারদা উঠে গেছে। উনি রেলমন্ত্রী থাকাকালীন ভারত তীর্থ রেল ভ্রমণ সংস্থা তৈরি করা হয়েছিল। আজ উনি হেরে যাবেন বলে উলটোপালটা বকছেন।"

তৃণমূল নেতাদের আক্রমণ করে মুকুল বলেন, "ফিরহাদ হাকিম কি নারদায় টাকা নিয়েছেন বলে তাঁর মন্ত্রীপদের সঙ্গে অতিরিক্ত পদমর্যাদা জুড়ে দেওয়া হল? কাকলি ঘোষ দস্তিদার ও অপরূপা পোদ্দার নারদ কাণ্ডে নাকি অভিযুক্ত? তাহলে তাঁদের মনোনয়নপত্র কেন দিচ্ছেন মমতাদেবী? আমি কোনও দিন অনৈতিক কাজ করিনি। আজও করব না। যেহেতু সারদা মামলা বিচারধীন, তাই বেশি কিছু বলছি না"

উল্লেখ্য, আজ উত্তরবঙ্গে জনসভায় তৃণমূল কংগ্রেস নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুকুল রায়কে ঘুরিয়ে কটাক্ষ করে নরেন্দ্র মোদিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, "সারদা-নারদায় অভিযুক্ত যে লোকটা আপনার মিটিং কন্ট্রোল করছে, সেই গদ্দার আপনার পার্টির নেতা। তাকে পাশে নিয়ে আপনি সারদা-নারদা বলছেন। আপনার নেতা সারদা-নারদার নেতা।"

মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের সভা থেকে অভিযোগ করেছেন BJP-র কোচবিহারের প্রার্থী নাকি হিউম্যান ট্রাফিকিং - এর সঙ্গে যুক্ত। তিনি CBI-এর একটি চিঠিও দেখিয়েছেন। এপ্রসঙ্গে মুকুল বলেন, "এই দেখুন আরও একটা CBI-এর চিঠি। এখানে কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের বিরুদ্ধেও হিউম্যান ট্রাফিকিং-এর অভিযোগ রয়েছে।

মুকুল আরও বলেন, "কোচবিহার জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৭০ শতাংশ আসনে কোনও রাজনৈতিক দল প্রার্থী দিতে পারেনি। মানুষ ভোট দিতে পারেনি। তাহলে সেই জেলাশাসক কীভাবে কোচবিহারে নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসারের দায়িত্ব পেলেন? আমি নির্বাচন কমিশনকে কড়া চিঠি দিয়ে ওই অফিসারকে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবি জানিয়েছি।"

Intro:07-04-19


সুজয় ঘোষ, কলকাতা


কলকাতাঃ "সারদার ঘটনার সব থেকে বড় বেনিফিশারির নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়" আজ বিজেপির রাজ্য দপ্তরে সাংবাদিক বৈঠকে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপির নির্বাচণ কমিটির আহ্বায়ক মুকুল রায়।




"মুখ্যমন্ত্রীর দৌলতেই আমি প্রথম ডেলোতে সুদীপ্ত সেন কে দেখি। এর আগে আমি কোনও দিনই সুদীপ্ত সেন কে দেখি নি। আমি অত্যন্ত দায়িত্বের সঙ্গের বলছি। আমাকে যদি কোনও ঘটনায় কেউ অভিযুক্ত করতে পারে। তা হলে আমি আমার রাজনৈতিল জীবন থেকে অবসর নেবও। আর যিনি আজ এই অভিযোগ করেছেন তিনি কী রাজনৈতিক জীবন থেকে অবসর নেবেন? তার পদ থেকে কী পদত্যাগ করবেন? সাংবাদিক বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নাম না করে চ্যালেঞ্জ ছুরে দিলেন মুকুল রায়।


"আমার সঙ্গে সুদীপ্ত সেনের দুই বার দেখা হয়েছে। সাক্ষাত হয়েছে। সেই দুইবারই মমতা দেবীর সৌজন্যে। একবার ডেলোয় ও আর একবার কলকাতায়। মমতা কে মুখ্যমন্ত্রী প্রজেক্টের করার জন্য। একাধীক চ্যানেল ও সাংবাদ পত্রে ব্যাড ইনভেস্টমেন্ট করে সারদা টা উঠে গিয়েছে। মমতা ভুলে গিয়েছে। উনি রেল মন্ত্রী থাকা কালিন ভারত তীর্থ রেল ভ্রমণ সংস্থা তৈরি করা হয়েছিলও। আজ উনি হেরে যাবে বলে তিনি উল্টোপাল্টা বকছেন। মাথার ঠিক নেই বলেও জানান মুকুল।



মুকুলের বক্তব্য, "যখন সারদার তদন্তভার সিট নেয়। যার প্রধান রাজীব কুমার। তার পুরো দেখাশোনা করতেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদি সারদার ঘটনায় আমার নামে কোনও অভিযোগ থেকে থাকে। তা হলে কেনও সিটিরের প্রধানমন্ত্রী রাজীব কুমার আমাকে ডাকলেন না। কারণ সেই সময় পুলিশ মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তা হলে আমাকে ডাকলেন না কেনও। আমার সারদায় অভিযোগ আছে। আমি দায়িত্বের সঙ্গে বলছি। আগেও আমরা কোনও দিন অ- নৈতিক কাজ করি নি। আজও করবো না। যহেতু সারদা মামলা টা বিচারধীন তাই বেশী কিছু বলছি না"


আজ মুখ্যমন্ত্রী উত্তরবঙ্গের সভা থেকে অভিযোগ করেছেন। আমাদের কোচবিহারের প্রার্থী নাকী ইউম্যান ট্রাফিকিং সঙ্গে যুক্ত। একটি CBI এর চিঠিও দেখিয়েছেন। আর মুকু রায়ও এদিন একটি চিঠি দেখিয়ে পালটা অভিযোগ করেন, এই দেখুন এটাও CBI এর চিঠি। কোচবিহার তৃণমূল কংগ্রেস এর সভাপতি ও উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এর বিরুদ্ধেও ইউম্যান ট্রাফিকিং এর অভিযোগ আছে।





নারদা ইশুতে ফিরাদ হাকিম কে কটাক্ষ করে মুকুল বলেন, " ফিরাদ হাকিম নারদায় হাত পেতে টাকা নিয়ে ছিলেন বলে। মন্ত্রীর সঙ্গে তার একটি অতিরিক্ত পদমর্যদা জুড়ে দেওয়া হয়েছে ফিরাদ হাকিম কে। কাকুলি ঘোষ দোস্তিদার, অপরূপা পোদ্দার কে টাকা নিতে দেখা যাচ্ছে। তা হলে এরা কী অভিযুক্ত। যফিও এটা বিচাধীন বিষয়। তা হলে মমতা দেবী এনাদের মনোনয়ন দিলেন কেনও?


আজ তিনি আরও অভিযোগ করেন, কোচবিহার জেলায় পঞ্চায়েত নির্বাচণে ৭০ শতাংশ আসনে কোনও রাজনৈতিক দলও প্রার্থী দিতে পারে নি। মানুষ ভোট দিতে পারে নি। তা হলে সেই জেলা শাসক কী ভাবে কোচবিহারে নির্বাচণ এর রির্টানিং অফিসারের দায়িত্ব পেতে পারে। আমি নির্বাচণ কমিশন কে কড়া চিঠি দিয়ে ওই অফিসার কে তার পদ থেকে সরানোর দাবী জানিয়েছি।

Body:কপিConclusion:

ABOUT THE AUTHOR

...view details