পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

স্কুলের কাছে ট্যাবের টাকা ব্যবহারের প্রমাণপত্র চায় স্কুল শিক্ষা দপ্তর, প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষকরা

By

Published : Mar 4, 2021, 5:27 PM IST

পড়ুয়াদের ট্যাব কিংবা ফোন কেনার টাকা ব্যবহার হয়েছে কি না তার প্রমাণপত্র স্কুলের কাছে চাইল স্কুল শিক্ষা দফতর । স্মার্টফোন বাবদ রাজ্য সরকার যে 10 হাজার টাকা সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়েছিল তা ব্যবহার করা হয়েছে কিনা যাচাই করতে চায় পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের স্টেট প্রোজেক্ট ডিরেক্টর । তারই প্রতিবাদে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে চিঠি দিল প্রধান শিক্ষকের সংগঠন ।

কেনা হয়েছে স্মার্টফোন !
কেনা হয়েছে স্মার্টফোন !

কলকাতা, 4 মার্চ : ট্যাবের জন্য পড়ুয়াদের দেওয়া টাকা সঠিকভাবে ব্যবহারের প্রমাণপত্র তথা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট চেয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর । ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে দফতরের পাঠানো নির্দেশিকা মেনে রাজ্যের জেলা পরিদর্শকদের তরফে স্কুলগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে পড়ুয়াদের থেকে বিল সংগ্রহ করে দফতরের দেওয়া নির্দিষ্ট ফরম্যাটে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে । নির্দেশ আসতেই অসন্তোষ দেখা দিয়েছে প্রধান শিক্ষক মহলে । কেন স্কুলের তহবিলে টাকা না এলেও তাদের অর্থ ব্যবহারের প্রমাণপত্র দিতে হবে ? প্রশ্ন তুলে আজ স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারকে চিঠি দিল প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন ।

রাজ্যের স্কুল ও মাদ্রাসার দ্বাদশ শ্রেণির পড়ুয়াদের ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনা বাবদ 10 হাজার টাকা করে সরাসরি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে দিয়েছে রাজ্য সরকার । সেই টাকার ব্যবহার সঠিকভাবে হয়েছে কি না তার প্রমাণপত্র চেয়ে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে মাধ্যমিক স্তরের জেলা পরিদর্শকদের নির্দেশ দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সমগ্র শিক্ষা মিশনের স্টেট প্রোজেক্ট ডিরেক্টর । সেখানে বলা হয়েছে, প্রতিটি স্কুলের প্রধানকে প্রত্যেক পড়ুয়ার থেকে ট্যাব বা স্মার্টফোন কেনার রসিদ সংগ্রহ করে পাঠাতে হবে জেলা পরিদর্শকদের কাছে । যাতে জেলা পরিদর্শকরা ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট আগামী 10 মার্চের মধ্যে স্কুল শিক্ষা দফতরে পাঠাতে পারেন । তারপরেই জেলা পরিদর্শকদের তরফে স্কুলের প্রধানদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, দফতরের দেওয়া ফরম্যাটে ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট জমা দিতে । প্রতিটি জেলা থেকে এই সার্টিফিকেট দেওয়ার জন্য বেঁধে দেওয়া হয়েছে সময়সীমা । কোনও জেলায় 5 মার্চ পর্যন্ত সময়সীমা দেওয়া হয়েছে, কোথাও 8 মার্চ পর্যন্ত । বলা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট প্রত্যেক পড়ুয়ার কাছ থেকে আসল রসিদ জমা নিতে হবে । রসিদ সংশ্লিষ্ট পড়ুয়ার নামে হতে হবে । রসিদ স্মার্টফোন বা ট্যাব কেনার জন্যই হতে হবে । রসিদে অর্থের পরিমাণ 10 হাজারের কম হওয়া চলবে না । সংশ্লিষ্ট পড়ুয়াকে রসিদে সাক্ষর করতে হবে । আর এই নির্দেশের বিরুদ্ধেই সরব হয়েছেন প্রধান শিক্ষকরা ।

আরও পড়ুন : স্কুল খোলার সরকারি সিদ্ধান্তে খুশি শিক্ষক সংগঠনগুলি

অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার মাইতি বলেন, "গত 24 ফেব্রুয়ারি রাজ্য সমগ্র শিক্ষা মিশন দফতরের নির্দেশানুসারে রাজ্যের সকল বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য যে 10 হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছিল তার ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট (ইউসি) প্রতিটি প্রধান শিক্ষককে ছাত্র-ছাত্রীদের কাছ থেকে সংগ্রহ করে জেলা পরিদর্শকের অফিসে দ্রুত জমা দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে । রাজ্য সরকার তার নিজস্ব তহবিল থেকে এই টাকা ব্যবহার করেছে । প্রশ্ন হল, আমাদের বিদ্যালয়ের কোষাগারে সরাসরি কোনও টাকা সরকার দেয়নি । ফলত, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের ইউসি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে কি ? যদি তাই হয়, তাহলে কন্যাশ্রী প্রকল্পে যে সমস্ত ছাত্রী এতদিন টাকা পেয়ে এসেছে তাদের ইউসি দেওয়ার প্রয়োজন হত । সেক্ষেত্রে আমরা তো ইউসি দিয়ে থাকি না ।" ইতিমধ্যেই সংগঠনের তরফে স্কুল শিক্ষা দফতরের কমিশনারের কাছে চিঠি পাঠিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে প্রধান শিক্ষকদের এই সংগঠনটি । পাশাপাশি, ইউসি দেওয়া থেকে প্রধান শিক্ষকদের বিরত থাকার আবেদনও জানানো হয়েছে অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্স অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসের তরফে ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details