জলপাইগুড়ি, 16 সেপ্টেম্বর: সামনেই পুজো ৷ তার পর দেখতে দেখতে শীতকালের আগমন ৷ সব মিলিয়ে বাঙালির আনন্দ উৎসবের সঙ্গে ভ্রমণের মরশুমে দরজায় কড়া নাড়ছে ৷ তারই মধ্যে খুশি খবর সেই সকল ভ্রমণ প্রিয় পর্যটকদের জন্য ৷ আজ থেকে খুলে গেল উত্তরবঙ্গের সবক’টি জাতীয় উদ্যান ও অভয়ারণ্য ৷ জুন-সেপ্টেম্বরের মাঝামাধি বন্যপ্রাণীদের প্রজনন ঋতু চলে ৷ তাই এই সময়টা এই ধরণের পর্যটন স্থলগুলি বন্ধ রাখা হয় ৷ সেই সময় পেরিয়ে যেতেই ফের পর্যটকদের জন্য খুলে গেল জাতীয় উদ্যান এবং অভয়ারণ্যগুলি ৷
এবছর 16 জুন থেকে 15 সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছিল ডুয়ার্সের বকসা ব্যাঘ্র প্রকল্প, গরুমারা জাতীয় উদ্যান ও জলদাপাড়া জাতীয় উদ্যান ৷ এবার সেগুলি খুলে দিল বন দফতর ৷ উৎসবের মরশুম শুরু হওয়ার আগে তাই ফের খুশির হাওয়া স্থানীয় ব্য়বসায়ীদের মধ্যে ৷ হোটেল থেকে দোকান-বাজার এবং পর্যটনের সঙ্গে জড়িত লোকজনের এই সময়টাই হল উপাজর্নের শুরু ৷ এখন থেকে আগামী এপ্রিল-মে মাস পর্যন্ত পর্যটকদের ভিড় থাকে জঙ্গল সাফারিতে ৷ বিশেষত, ডুয়ার্স এলাকায় ৷
জুন থেকে সেপ্টেম্বর এই তিনমাস হল বন্য জীবজন্তুদের প্রজননের সময় ৷ মূলত, বর্ষাকালে বন্যপ্রাণীদের প্রজনন ঋতু ৷ তাই এই সময় পর্যটকদের অভয়ারণ্য ও জাতীয় উদ্যানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি থাকে ৷ পর্যটকদের নিরাপত্তার কারণেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয় ৷ কারণ, এই সময় বন্যপ্রাণীরা একান্তে তাঁদের সঙ্গীর সঙ্গে কাটাতে পছন্দ করে ৷ তাই জঙ্গলে মানুষের প্রবেশ তাঁদের হিংস্র করে তোলে ৷ আর প্রজননের পরে শাবকের নিরাপত্তার কারণে বন্যপ্রাণীরা হিংস্র হয়ে উঠতে পারে ৷ ফলে এই জীবজন্তু ও পর্যটক উভয়ের নিরাপত্তার জন্য এই সময় জঙ্গল সাফারি বন্ধ রাখে বন দফতর ৷