পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

দলে আছি, থাকব ; টিকিট না পাওয়ার পর বললেন তৃণমূল সাংসদ

By

Published : Mar 12, 2019, 10:47 PM IST

দলে আছি, থাকব। টিকিট না পাওয়ার পর এমন কথা বললেন বিদায়ি তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়।

তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়

কোচবিহার, ১২ মার্চ : লোকসভা নির্বাচনে তিনি তৃণমূলের টিকিট পাবেন কি না, তা নিয়ে কিছুদিন থেকে জল্পনা চলছিল। শেষপর্যন্ত টিকিট পেলেন না কোচবিহারের তৃণমূল সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। আজ দলের প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোচবিহারে প্রার্থী করা হয়েছে কিছুদিন আগে তৃণমূলে যোগদানকারী পরেশচন্দ্র অধিকারীকে। তৃণমূল নেত্রী প্রার্থী তালিকা ঘোষণার পর পার্থপ্রতিম রায়ের অন্য দলে যোগদান নিয়ে জল্পনা ছড়ায়। কিন্তু, সব জল্পনা খারিজ করে বিদায়ি সাংসদ জানিয়ে দিলেন, তিনি তৃণমূলেই থাকছেন।

পরেশ অধিকারী সম্প্রতি ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার পরই তাঁকে চ্যাংরাবান্ধা উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান করা হয়। একইসঙ্গে তাঁকে মেখলিগঞ্জ ব্লকের ব্লক সভাপতি পদেও বসানো হয়।

আজ তালিকা ঘোষণা করার সময় পার্থপ্রতিম রায়কে প্রার্থী না করার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে তৃণমূল নেত্রী বলেন, "যদি পার্থ দলে থাকে তাহলে তাঁকে অন্য কোনও দায়িত্ব দেব।" দলনেত্রী কেন পার্থপ্রতিম রায় প্রসঙ্গে এমনটা বললেন, তা নিয়ে কোচবিহারের রাজনৈতিক মহলে মতানৈক্যের সৃষ্টি হয়েছে।

আবার রাজনৈতিক মহলের একাংশ বলছে, কাকা অর্থাৎ রবীন্দ্রনাথ ঘোষ (কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী)-এর সাথে বিবাদের জেরেই নাকি লোকসভা নির্বাচনের টিকিট পেলেন না ভাইপো অর্থাৎ সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়। মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের হাত ধরেই রাজনীতিতে হাতেখড়ি হয় পার্থপ্রতিম রায়ের। ২০১৬ সালে তৃণমূল সাংসদ রেণুকা সিনহার মৃত্যুর পরে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের উদ্যোগেই লোকসভা উপনির্বাচনে জিতে সাংসদ হন শিক্ষক পার্থপ্রতিম রায়। এরপর কোচবিহার জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি পদ নিয়ে মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ এবং সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। কারণ, জেলা তৃণমূল যুব সভাপতি হওয়ার দৌড়ে সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের পাশাপাশি মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের ছেলে পঙ্কজ ঘোষও ছিলেন। কিন্তু পরবর্তীতে দলের তরফে সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়কে তৃণমূল যুব জেলা সভাপতি করায় মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে এই বিরোধ আরও চরম আকার নেয়। জেলার বিভিন্ন এলাকায় তৃণমূল ও তৃণমূল যুব একে-অপরের বিরুদ্ধে প্রার্থী দিলে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কোচবিহার জেলার বিভিন্ন এলাকা রক্তাক্ত হয়ে ওঠে। এই গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে জেলায় ৬ তৃণমূল কর্মীর মৃত্যু হয়। এমন কী মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে সাংসদের অনুগামীদের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় প্রকাশ্যে সাংসদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন উত্তরবঙ্গ উন্নয়নমন্ত্রী। পুরো বিষয়টি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে তৃণমূল যুবর সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় কোচবিহার এসে একাধিকবার ক্ষোভও প্রকাশ করেন। এরপর থেকেই কোচবিহারে লোকসভা কেন্দ্রে বর্তমান সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের টিকিট পাওয়া নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। উঠে আসে বিধায়ক অর্ঘ্য রায় প্রধান, ফরওয়ার্ড ব্লক ছেড়ে সদ্য তৃণমূলে আশা পরেশ অধিকারী, গ্রেটার কোচবিহার আন্দোলনের প্রাক্তন নেতা বংশী বদন বর্মণ সহ একাধিক নাম। শেষ পর্যন্ত আজ বিকেলে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করার সময় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরেশ অধিকারীর নাম ঘোষণা করেন।

sample description

ABOUT THE AUTHOR

...view details