পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ED attaches assets: জেট এয়ারওয়েজের মালিক নরেশ গোয়েলের 538 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল ইডি

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Nov 1, 2023, 10:21 PM IST

ইডি'র বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে 17টি আবাসিক ফ্ল্যাট, বাংলো এবং বেশকিছু বাণিজ্যিক জায়গা। লন্ডন, দুবাই এবং ভারতের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই সম্পত্তিগুলি জেট এয়ার প্রাইভেট লিমিটেড এবং জেট এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড-এর নামে রয়েছে ৷ নরেশ গোয়েল, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং ছেলে নিভানের নামেও একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ৷

Etv Bharat
Etv Bharat

নয়াদিল্লি, 1 নভেম্বর: জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েল, তাঁর পরিবারের সদস্য এবং সংস্থাগুলির 538 কোটি টাকার লন্ডন, দুবাই এবং ভারতে সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ৷ বুধবার ইডি'র তরফে জানা হয়েছে একটি 'মানি লন্ডারিং' মামলার তদন্তের অংশ হিসাবে এই সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠাতা নরেশ গোয়েলের বিরুদ্ধে ব্যাংক ঋণ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে বলেও জানিয়েছে ইডি।

ইডি'র বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে 17টি আবাসিক ফ্ল্যাট, বাংলো এবং বেশকিছু বাণিজ্যিক জায়গা। লন্ডন, দুবাই এবং ভারতের বিভিন্ন শহরে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা এই সম্পত্তিগুলি জেট এয়ার প্রাইভেট লিমিটেড এবং জেট এন্টারপ্রাইজ প্রাইভেট লিমিটেড-এর নামে রয়েছে ৷ নরেশ গোয়েল, তাঁর স্ত্রী অনিতা এবং ছেলে নিভানের নামেও একাধিক কোম্পানি রয়েছে বলেও জানিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা ৷ একই সঙ্গে ইডি'র বাজেয়াপ্ত করা এই সম্পদের মোট মূল্য 538.05 কোটি টাকা বলেও জানা গিয়েছে ৷

74 বছর বয়সি গোয়েলকে গত 1 সেপ্টেম্বর ইডি গ্রেফতার করে ৷ একই সঙ্গে, তদন্তকারী সংস্থা মঙ্গলবার তাঁর বিরুদ্ধে মুম্বইয়ের একটি বিশেষ আদালতে প্রিভেনশন অফ মানি লন্ডারিং অ্যাক্ট (পিএমএলএ)-এ চার্জশিটও দাখিল করে। নরেশ গোয়েল এই মুহূর্তে জেল হেফাজতে মুম্বইয়ের আর্থার রোডের সংশোধনাগার বন্দি রয়েছেন। নগদ ফুরিয়ে যাওয়ার জেরে গত 2019 সালে এপ্রিল মাসে জেট এয়ারওয়েজ পরিষেবা এবং তাদের যাবতীয় কাজ বন্ধ করে দেয়। পরে গোয়েল বিমান সংস্থার চেয়ারম্যান পদ থেকেও সরে দাঁড়ান।

গোয়েলের বিরুদ্ধে এর আগে মানি লন্ডারিং-এর মামলা করে সিবিআই ৷ মুম্বইয়ের কানারা ব্যাঙ্কের অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়েছিল। ব্যাংকে র অভিযোগ অনুসারে, জেআইএল-এর পরিচালকরা প্রতারণা, অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, বিশ্বাসের অপরাধমূলক লঙ্ঘন এবং অপরাধমূলক অসদাচরণের অপরাধ করেছেন ৷ যার ফলে 538.62 কোটি টাকার ব্যাপক এনপিএ (অ-পারফর্মিং অ্যাসেট) হয়েছে বলে ইডি'র দাবি ৷

আরও পড়ুন: রেশন দুর্নীতির টাকায় সিনেমা-তথ্যচিত্র তৈরি সরকারি আধিকারিকদের ! খতিয়ে দেখছে ইডি

তদন্তকারী সংস্থার দাবি, "জেআইএল এসবিআই এবং পিএনবি-এর মতো ব্যাংকগুলি থেকে ঋণ নিয়েছিল ৷ এরপরই নরেশ গোয়েল কার্যত বিশাল আর্থিক জালিয়াতি বাস্তবায়ন করেছিল ৷ যাতে জেআইএল-এর তহবিলগুলিকে অযৌক্তিক জেনারেল সেলস এজেন্ট (জিএসএ) কমিশনের আড়ালে পরিকল্পিতভাবে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। জেটলাইট লিমিটেডকে (এয়ার সাহারাকে অধিগ্রহণ করার জন্য 100 শতাংশ সহায়ক) ঋণ প্রদানের মাধ্যমে বিভিন্ন পেশাদার এবং পরামর্শদাতাদের টাকা দেওয়া এবং পরবর্তীতে ব্যালেন্স শিটে কারচুপি করে ঋণগুলিকে বাতিল করে ৷" একই সঙ্গে, ইডি'র দাবি, জিএসএ কমিশন অন্যায়ভাবে জেট এয়ার প্রাইভেট লিমিটেড (ভারতের জন্য জেআইএল-এর জিএসএ) এবং জেট এয়ারওয়েজ এলএলসি দুবাই (জেআইএল-এর গ্লোবাল জিএসএ)-কে দেওয়া হয়েছিল।

(পিটিআই)

ABOUT THE AUTHOR

...view details