কলকাতা, 13 মে: শেষ হল চতুর্থ দফার লোকসভা নির্বাচন। সোমবার নির্বাচন ছিল পাঁচ জেলার আটটি আসনে। বেশ কিছু জায়গায় বিক্ষিপ্তভাবে অশান্তি খবর সামনে এসেছে ৷ বর্ধমান দুর্গাপুরের বিজেপি প্রার্থী দিলীপ ঘোষের গাড়ি দু'বার ভাঙচুর করা থেকে শুরু করে দু'জন প্রিসাইডিং অফিসারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে ৷ তাও শান্তিপূর্ণ ছিল চতুর্থ দফার নির্বাচন, দাবি কমিশনের।
মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক ডক্টর আরিজ আফতাব জানান, প্রথম, দ্বিতীয় ও তৃতীয় দফার তুলনায় এই দফা যে একেবারেই শান্তিপূর্ণ হয়েছে তেমনটা ঠিক বলা যায় না ৷ তবে বড়সড় কোনও ঘটনা ঘটেনি। ভোটের আগের রাত অর্থাৎ রবিবার কেতুগ্রামে বোমাবাজিতে এক তৃণমূল কর্মী খুন এবং একজনের অস্ত্রের আঘাতে জখম হওয়ার অভিযোগ এসেছে ৷ ভোটের দিন তেহট্টে সিপিআইএম কর্মীর মাথা ফাটানোর অভিযোগ এসেছে ৷ পাশাপাশি এদিন কর্মরত অবস্থায় এক কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে।
এই দফায় কী কুইক রেসপন্স টিম কম সংখ্যায় থাকার কারণেই ঘটনাগুলি ঘটেছে? প্রশ্নের উত্তরের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক জানান, আগের তিন দফার থেকে এই দফায় অনেক বেশি আসন ছিল ৷ অনেক বেশি ভোটার ও প্রার্থী থাকায় এই রকম কয়েকটি বিক্ষিপ্ত ঘটনা ঘটেছে। তিনি আজ জানান, পঞ্চম দফায় থাকছে 762 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী এবং ষষ্ঠ দফায় থাকছে 1020 কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী। অন্যদিকে, নানাবিধ বিক্ষিপ্ত ঘটনায় এদিন গ্রেফতার করা হয়েছে 69 জনকে। দিলীপ ঘোষের ঘটনার তদন্ত শুরু করেছেন পুলিশ আধিকারিকরা। জানান মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক।
আরও পড়ুন
1. শাসকদলের সঙ্গে যোগসাজশ, কমিশনের নির্দেশে সালারে সরলেন প্রিসাইডিং অফিসার
2. ঘরে ফেরেননি পরিযায়ী শ্রমিকরা, মালদায় 7-8 শতাংশ কমল ভোটের হার
3. তৃণমূলের জমায়েতে হামলার আশংকা, 2 ঘণ্টা বুথের ভেতরেই আটকে বিজেপি প্রার্থী-এজেন্টরা