ETV Bharat / state

পান না কোনও সরকারি প্রকল্পের সুবিধা; তবুও নাগরিক কর্তব্য পালনে পতিতালয়ের বাসিন্দারা - Lok Sabha Election 2024

Lok Sabha Election 2024: শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের এক পতিতালয় ৷ প্রতি নির্বাচনের সময় তাঁদের কাছে ভোট চাইতে আসেন রাজনৈতিক প্রার্থীরা ৷ সরকারি পরিষেবা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে যান তাঁরা ৷ তবে ওই টুকুই সব ! আজও বঞ্চনাই জুটছে এই পতিতালয়ের বাসিন্দাদের কপালে ৷ তাঁদের কথাই শুনলেন, ইটিভি ভারতের অয়ন নিয়োগী ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : May 20, 2024, 10:45 PM IST

ETV BHARAT
প্রতীকী ছবি ৷ (ইটিভি ভারত)
বঞ্চিত থেকেও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন শ্রীরামপুরের পতিতালয়ের বাসিন্দারা ৷ (ইটিভি ভারত)

শ্রীরামপুর, 20 মে: পাঁচ বছরের পর পর ভোট আসে, ভোট যায় ৷ সেই হাওয়ায় ভোট চাইতে আসেন নেতা-মন্ত্রীরা ৷ সঙ্গে নিয়ে আসেন একরাশ গাল-ভরা প্রতিশ্রুতি, সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস ৷ তবে, ভোট মিটতেই সব প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস এবং নেতা-মন্ত্রীরা ভোজবাজির মতো গায়েব হয়ে যায় ৷ আর, অন্ধকারের অন্তরালে পড়ে থাকেন তাঁরা ৷ কথা হচ্ছে, শ্রীরামপুর লোকসভার এক পতিতালয়ের বাসিন্দাদের নিয়ে ৷ যাঁরা প্রতি নির্বাচনে নিজেদের কর্তব্য পালন করেন ৷ কিন্তু, তাঁদের প্রতি জনপ্রতিনিধিরা বা সরকার কর্তব্য পালন করেন না ৷ ফাঁকা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকে তাঁদের স্বপ্ন! এমনই অভিযোগ করলেন শ্রীরামপুরের পতিতালয়ের বাসিন্দারা ৷

শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এমনই এক পতিতালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখল ইটিভি ভারত ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, উঠে এলো নানা বঞ্চনা ও অবহেলার কথা ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, ওই পতিতালয়ের কোনও আবাসিকই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা পান না ৷ জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করলে, 'করে দেওয়া হবে'-এই কথাটুকুই শুনে খান্ত থাকতে হয় তাঁদের ৷ হুগলি জেলার ওই পতিতালয়ের অবস্থা এবং সেখানকার মানুষদের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা ৷

পতিতলয়ের এক যৌনকর্মী অভিযোগ করে বলেন, "আমরা সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা পাই না ৷ রাজনৈতিক দলের নেতারা শুধু ভোটের সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন ৷ শুধু ভোটটা চাইতে আসবেন ওঁরা ৷ কেউ একবারও এসে জিজ্ঞাসাও করেন না, আমাদের দু’বেলা-দু’মুঠো অন্ন জুটছে কি না ?"

আরেক যৌনকর্মী বলেন, "প্রত্যেকে শরীরের খিদে মেটানোর জন্য এখানে আসেন ৷ শরীরের উত্তেজনা ও খিদে মিটে যাবার পর, সবার এই জায়গাটা অপবিত্র বলে মনে হয় ৷ আমরা রাজনৈতিক দলের কাছে ভোট ব্যাঙ্ক ৷ অথচ সেই আমরাই সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৷"

গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব লোকসভা নির্বাচন ৷ নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন না করলেও, নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়মমাফিক প্রয়োগ করে এসেছেন এঁরা ৷ তবে, ভোটের দিন বলে কোনও গ্রাহক নেই ৷ তাই আজ তাঁদের ব্যবসায় মন্দা ৷ ক্যামেরার সামনে শুধু এইটুকুই তাঁদের জিজ্ঞাস্য, গণতান্ত্রিক ক্ষমতা তো প্রয়োগ করলেন ৷ কিন্তু, তার সুফল হিসেবে গণতন্ত্রের নূন্যতম নাগরিক অধিকার কি তাঁরা পাবেন ?

আরও পড়ুন:

  1. কাঁটাতারের বন্দি জীবন থেকে মুক্তির আশায় ভোটের লাইনে পেট্রাপোলের এই গ্রাম
  2. মধ্যযুগীয় বর্বরতা, বাম প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় পানীয় জলে মোবিল মেশাল দুষ্কৃতীরা !
  3. তালিকায় জীবিতকে 'মৃত' ঘোষণা ! ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরলেন হাওড়ার দম্পতি

বঞ্চিত থেকেও গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগ করলেন শ্রীরামপুরের পতিতালয়ের বাসিন্দারা ৷ (ইটিভি ভারত)

শ্রীরামপুর, 20 মে: পাঁচ বছরের পর পর ভোট আসে, ভোট যায় ৷ সেই হাওয়ায় ভোট চাইতে আসেন নেতা-মন্ত্রীরা ৷ সঙ্গে নিয়ে আসেন একরাশ গাল-ভরা প্রতিশ্রুতি, সব সমস্যার সমাধানের আশ্বাস ৷ তবে, ভোট মিটতেই সব প্রতিশ্রুতি ও আশ্বাস এবং নেতা-মন্ত্রীরা ভোজবাজির মতো গায়েব হয়ে যায় ৷ আর, অন্ধকারের অন্তরালে পড়ে থাকেন তাঁরা ৷ কথা হচ্ছে, শ্রীরামপুর লোকসভার এক পতিতালয়ের বাসিন্দাদের নিয়ে ৷ যাঁরা প্রতি নির্বাচনে নিজেদের কর্তব্য পালন করেন ৷ কিন্তু, তাঁদের প্রতি জনপ্রতিনিধিরা বা সরকার কর্তব্য পালন করেন না ৷ ফাঁকা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ থাকে তাঁদের স্বপ্ন! এমনই অভিযোগ করলেন শ্রীরামপুরের পতিতালয়ের বাসিন্দারা ৷

শ্রীরামপুর লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত এমনই এক পতিতালয়ের পরিস্থিতি খতিয়ে দেখল ইটিভি ভারত ৷ তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে, উঠে এলো নানা বঞ্চনা ও অবহেলার কথা ৷ তাঁরা জানাচ্ছেন, ওই পতিতালয়ের কোনও আবাসিকই লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বা স্বাস্থ্যসাথীর পরিষেবা পান না ৷ জনপ্রতিনিধিদের কাছে আবেদন করলে, 'করে দেওয়া হবে'-এই কথাটুকুই শুনে খান্ত থাকতে হয় তাঁদের ৷ হুগলি জেলার ওই পতিতালয়ের অবস্থা এবং সেখানকার মানুষদের পরিস্থিতি এতটাই খারাপ যে, সংবাদ মাধ্যমের সামনে নিজেদের ক্ষোভ উগরে দিলেন তাঁরা ৷

পতিতলয়ের এক যৌনকর্মী অভিযোগ করে বলেন, "আমরা সরকারি কোনও সুযোগ-সুবিধা পাই না ৷ রাজনৈতিক দলের নেতারা শুধু ভোটের সময় আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন ৷ শুধু ভোটটা চাইতে আসবেন ওঁরা ৷ কেউ একবারও এসে জিজ্ঞাসাও করেন না, আমাদের দু’বেলা-দু’মুঠো অন্ন জুটছে কি না ?"

আরেক যৌনকর্মী বলেন, "প্রত্যেকে শরীরের খিদে মেটানোর জন্য এখানে আসেন ৷ শরীরের উত্তেজনা ও খিদে মিটে যাবার পর, সবার এই জায়গাটা অপবিত্র বলে মনে হয় ৷ আমরা রাজনৈতিক দলের কাছে ভোট ব্যাঙ্ক ৷ অথচ সেই আমরাই সমস্ত রকম সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত ৷"

গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় উৎসব লোকসভা নির্বাচন ৷ নেতা-মন্ত্রীরা নিজেদের প্রতিশ্রুতি পালন না করলেও, নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার নিয়মমাফিক প্রয়োগ করে এসেছেন এঁরা ৷ তবে, ভোটের দিন বলে কোনও গ্রাহক নেই ৷ তাই আজ তাঁদের ব্যবসায় মন্দা ৷ ক্যামেরার সামনে শুধু এইটুকুই তাঁদের জিজ্ঞাস্য, গণতান্ত্রিক ক্ষমতা তো প্রয়োগ করলেন ৷ কিন্তু, তার সুফল হিসেবে গণতন্ত্রের নূন্যতম নাগরিক অধিকার কি তাঁরা পাবেন ?

আরও পড়ুন:

  1. কাঁটাতারের বন্দি জীবন থেকে মুক্তির আশায় ভোটের লাইনে পেট্রাপোলের এই গ্রাম
  2. মধ্যযুগীয় বর্বরতা, বাম প্রার্থীকে ভোট দেওয়ায় পানীয় জলে মোবিল মেশাল দুষ্কৃতীরা !
  3. তালিকায় জীবিতকে 'মৃত' ঘোষণা ! ভোট না দিয়েই বাড়ি ফিরলেন হাওড়ার দম্পতি
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.