কলকাতা, 10 মার্চ: বাঙালির ডার্বি বরাবরই সম্মানের-আত্মমর্যাদার ৷ নজিরবিহীনভাবে বিতর্ক ঘিরে ধরলেও তাতে রবিবাসরীয় ডার্বির জৌলুশ বিন্দুমাত্র ম্লান হয়নি ৷ যাবতীয় ঝড়-ঝাপটা পেরিয়ে রবিবার যে লড়াই কলকাতা দেখল, তা নজিরবিহীন ৷ ডার্বির প্রথমার্ধ যদি মোহনবাগানের হয়, দ্বিতীয়ার্ধ ইস্টবেঙ্গলের ৷
বিশাল কাইথ: ম্যাচের 12 মিনিটেই পেনাল্টি পেয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ বল পেয়ে এগিয়ে আসা ক্লেইটন সিলভাকে ফাউল করেন মোহনবাগান গোলরক্ষক ৷ স্পটকিক পায় লাল-হলুদ ৷ ম্যাচের প্রথমেই ইস্টবেঙ্গল এগিয়ে গেলে চাপ বাড়ত বাগানের ৷ বাঁ-দিকে ঝাঁপিয়ে ক্লেইটনের জোরালো শট সেভ করে দেন কাইথ ৷ তারপরেই ছন্দ ফরে পায় মোহনবাগান ৷
জেসন কামিংস: একেবারেই ছন্দে নেই অজি স্ট্রাইকার ৷ তাতেও চলতি টুর্নামেন্টে নামের পাশে 8 গোল হয়ে গেল জেসন কামিংসের ৷ ম্যাচের শুরু থেকেই চাপ বাড়ানোর চেষ্টা ছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ সুযোগসন্ধানী স্ট্রাইকারের মতো গোল করে লাল-হলুদের সেই ছন্দ ভেঙে দেন কামিংস ৷
দিমিত্রি পেত্রাতোস: মোহনবাগান সমর্থকদের এই মুহূর্তের নয়নের মণি অস্ট্রেলিয়ার অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার ৷ বাগানের ত্রাতা থেকে ম্যাচ কন্ট্রোল, গোলমুখ খুলে দেওয়া থেকে একের পর এক আক্রমণে বিপক্ষকে স্ত্রস্ত করে রাখা ৷ দিমি মাঠে থাকা মানে বাগানের মুশকিল আসান ৷ এদিন প্রথম দুটি গোলের বল বাড়ালেন, স্পটকিক থেকে দলের তিন নম্বর গোল এনে দিলেন ৷
ক্লেইটন সিলভা: বিপদের দিনেও দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ক্যাপ্টেন ৷ আক্রমণ করছেন, নিজেদের ডি-বক্সে নেমে ডিফেন্স করছেন ৷ প্রথমার্ধে খানিক নিষ্প্রভ থাকলেও দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত ফেললেন ব্রাজিলিয়ান তারকা ৷
পিভি বিষ্ণু: ইস্টবেঙ্গলের ইয়ং ব্রিগেডের অন্যতম তারকা এদিন দ্বিতীয়ার্ধে মাঝমাঠের নিয়ন্ত্রণ নিলেন ৷ তাঁর ডিফেন্স চেরা দৌড়ে একসময় হতোদ্যম হয়ে গিয়েছিল মোহনবাগান ডিফেন্স ৷
সায়ন বন্দ্যোপাধ্যায়: কুয়াদ্রাতের অন্যতম আবিষ্কার ৷ দ্বিতীয়ার্ধে যে ফুটবলটা সায়ন খেললেন তা বহুদিন মনে রাখবেন সমর্থকরা ৷
নাওরেম মহেশ : দ্বিতীয়ার্ধে দুরন্ত জাতীয় দলের তারকা ৷ মাঝ মাঠে নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাগান ডিফেন্সে নাভিশ্বাস তুলে দিয়েছিলেন মহেশ ৷
আরও পড়ুন: