শিলিগুড়ি, 2 মার্চ: 2009 সাল থেকে পরপর তিনবার পাহাড় থেকে নির্বাচিত হয়েছে বিজেপির সাংসদ । অভিযোগ, তার পরও মেলেনি গোর্খাদের অধিকার । মেলেনি পাহাড়বাসীর দাবি মতো স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান । তাই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিজের রক্ত দিয়ে চিঠি লিখে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি জানালেন পাহাড়ের বিজেপি বিধায়ক । শনিবার শিলিগুড়িতে সাংবাদিক বৈঠক করে প্রধানমন্ত্রীকে রক্ত দিয়ে চিঠি লেখার কথা জানান দার্জিলিংয়ের বিজেপি বিধায়ক তথা জিএনএলএফ নেতা নিরজ জিম্বা তামাং ।
শনিবারই রাজ্য সফরে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । ফের আগামী সপ্তাহে উত্তরবঙ্গ সফরে আসার কথা রয়েছে তাঁর । এরই মাঝে এক বিজেপি বিধায়কের রক্ত দিয়ে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লেখার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতেই রাজনৈতিক মহলে শোরগোল পড়ে গিয়েছে । যদিও রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের দাবি গোটা বিষয়টিই ‘পলিটিক্যাল স্টান্ট’ । লোকসভা নির্বাচনের আগে খবরের শিরোনামে থাকতে ও প্রচার পেতে এসব করছে বিজেপি ।
প্রথমে যশবন্ত সিং ৷ তারপর আলুওয়ালিয়া । ২০১৯ সালে রাজু বিস্তা । 2009 সাল থেকে পরপর তিনবার পাহাড় থেকে বিজেপি জয় পেয়েছে । রাজু বিস্তা তো সাড়ে চার লক্ষের বেশি ভোট পেয়ে জয় পান ৷ প্রতিবারই বিজেপির তরফে পাহাড়বাসীকে পৃথক রাজ্য, স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান, ষষ্ঠ তপশিল জাতি, পাহাড়ের 11 জনজাতিকে তফসিলের অন্তর্ভুক্ত করার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে । সংকল্প পত্রে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়টি উল্লেখ করাও হয়েছিল বিজেপির তরফে ।
অভিযোগ, কিন্তু গত 15 বছরে এর একটিও দাবি পূরণ হয়নি । যার ফলে জিটিএ ও পঞ্চায়েত নির্বাচনে ধরাশায়ী হতে হয়েছে বিজেপিকে । কিন্তু ফের সামনে একবার লোকসভা নির্বাচন । তার আগে পাহাড়বাসীর দাবি পূরণ না হওয়ায় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন বিধায়ক নিরজ জিম্বা তামাং ।
তিনি বলেন, "আমরা বহুবার বিজেপিকে পাহাড় থেকে জয় পাইয়েছি । এবার লোকসভা নির্বাচনেও বিজেপি জিতবে । কিন্তু এতো দিনেও আমাদের স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের দাবি পূরণ হয়নি ৷ তাই এবার প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করতে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলাম । নির্বাচনের জয়ের পর প্রথম অধিবেশনেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি পাহাড়ে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান করবেন বলে আমরা আশাবাদী ।"
যদিও তাঁকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা রঞ্জন সরকার । তিনি বলেন, "এসব গোটাটাই পলিটিক্যাল স্টান্ট । এসব করে কিছু হবে না । বিভেদের রাজনীতিতে আর মানুষের মন ভুলবে না ।"
আরও পড়ুন: