ETV Bharat / politics

মহারাষ্ট্রে শরিকদের সঙ্গে আসন সমঝোতায় জটিলতা, অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠকেও সমাধান অধরা

Lok Sabha Elections 2024: মহারাষ্ট্র নিয়ে সংকটে বিজেপি৷ লোকসভা নির্বাচন দোরগোড়ায় ৷ অথচ ওই রাজ্যে এখনও বিজেপি দুই শরিক শিবসেনা (শিন্দে শিবির) ও এনসিপি (অজিত পাওয়ার শিবির)-র সঙ্গে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করতে পারেনি ৷ মঙ্গলবার রাতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ তার পরও সমাধান সূত্র বের হয়নি বলে খবর ৷

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Mar 6, 2024, 1:10 PM IST

Amit Shah
Amit Shah

মুম্বই, 6 মার্চ: লোকসভার আসন সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৷ সেখানে লোকসভার আসন সংখ্যা 48 ৷ ওই রাজ্যে এনডিএ-র শরিক তিনটি দল বিজেপি, শিবসেনা (শিন্দে শিবির) ও এনসিপি (অজিত পাওয়ার শিবির) এখনও আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে পারেনি ৷ সূত্রের খবর, তিনপক্ষই সবচেয়ে বেশি আসন চাইছে ৷ সেই কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে ৷ এখন গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা, এই জটিলতা লোকসভা নির্বাচনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে ৷

এই পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি পৌঁছেছেন মুম্বইয়ে ৷ মঙ্গলবার রাতেই তিনি অন্য শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ ওই বৈঠক শুরু হয় রাত 10টা 15 মিনিট নাগাদ ৷ শুরুতেই অমিত শাহ প্রায় আধঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই রাজ্য়ের আরেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ৷ এর পর তিনি বৈঠক করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে ৷ সেই বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা ৷ তার পরও ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলেই খবর ৷

সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের 48টি আসনের মধ্যে বিজেপি 30টি আসনে লড়তে চায় ৷ একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে 12টি ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি-কে ছ’টি আসন দিতে চায় বিজেপি ৷ গেরুয়া শিবির মনে করে সারা দেশে 370টি আসন ও এনডিএ-র 400 জিততে হলে মহারাষ্ট্রে এই ফর্মুলা খুবই জরুরি ৷

আর এখানেই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে খবর ৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে বিজেপির এই ফর্মুলা মানতে নারাজ বাকি দুই শরিক ৷ একনাথ শিন্ডেরা 23টি আসনে লড়তে চাইছে ৷ আর অজিত পাওয়ার 10টি আসন চাইছে ৷ এই ফর্মুলা মানতে হলে বিজেপির কাছে 15টি আসন থাকবে ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবির শরিকদের এই দাবি মানতে নারাজ ৷ কারণ, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 25টি আসনে লড়াই করেছিল ৷ জিতেছিল 23টি আসনে৷ আর অবিভক্ত শিবসেনা 23টিতে লড়ে 18টিতে জিতেছিল ৷ তাছাড়া ওই বছরই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে ৷

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি ও শিন্ডের মধ্যে এই আসনরফা হলে সমস্যা হত না ৷ কিন্তু অজিত পাওয়ারকে মহারাষ্ট্রের সরকারে টেনে নেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে ৷ আর আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে ৷ এখন দেখার কিভাবে বিজেপি এই সংকট সামলায় ৷

আরও পড়ুন:

  1. অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীই ‘আসল এনসিপি’, রায় মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষের
  2. বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে 'সুপ্রিম' নির্দেশ, সিদ্ধান্ত নিতে হবে 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে
  3. একনাথরাই 'আসল শিবসেনা', স্পিকারের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব ঠাকরে

মুম্বই, 6 মার্চ: লোকসভার আসন সংখ্যার নিরিখে মহারাষ্ট্র দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ৷ সেখানে লোকসভার আসন সংখ্যা 48 ৷ ওই রাজ্যে এনডিএ-র শরিক তিনটি দল বিজেপি, শিবসেনা (শিন্দে শিবির) ও এনসিপি (অজিত পাওয়ার শিবির) এখনও আসন ভাগাভাগি চূড়ান্ত করতে পারেনি ৷ সূত্রের খবর, তিনপক্ষই সবচেয়ে বেশি আসন চাইছে ৷ সেই কারণে জটিলতা তৈরি হয়েছে ৷ এখন গেরুয়া শিবিরের আশঙ্কা, এই জটিলতা লোকসভা নির্বাচনে খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে ৷

এই পরিস্থিতিতে আসরে নেমেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ৷ তিনি পৌঁছেছেন মুম্বইয়ে ৷ মঙ্গলবার রাতেই তিনি অন্য শরিক দলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করেন ৷ ওই বৈঠক শুরু হয় রাত 10টা 15 মিনিট নাগাদ ৷ শুরুতেই অমিত শাহ প্রায় আধঘণ্টা ধরে বৈঠক করেন মহারাষ্ট্রের উপ-মুখ্যমন্ত্রী অজিত পাওয়ারের সঙ্গে ৷ সেখানে উপস্থিত ছিলেন ওই রাজ্য়ের আরেক উপ-মুখ্যমন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা দেবেন্দ্র ফড়নবীশ ৷ এর পর তিনি বৈঠক করেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের সঙ্গে ৷ সেই বৈঠক চলে প্রায় এক ঘণ্টা ৷ তার পরও ঐকমত্য তৈরি হয়নি বলেই খবর ৷

সূত্রের খবর, মহারাষ্ট্রের 48টি আসনের মধ্যে বিজেপি 30টি আসনে লড়তে চায় ৷ একনাথ শিন্ডের শিবসেনাকে 12টি ও অজিত পাওয়ারের এনসিপি-কে ছ’টি আসন দিতে চায় বিজেপি ৷ গেরুয়া শিবির মনে করে সারা দেশে 370টি আসন ও এনডিএ-র 400 জিততে হলে মহারাষ্ট্রে এই ফর্মুলা খুবই জরুরি ৷

আর এখানেই জটিলতা তৈরি হয়েছে বলে খবর ৷ সূত্র মারফত জানা গিয়েছে যে বিজেপির এই ফর্মুলা মানতে নারাজ বাকি দুই শরিক ৷ একনাথ শিন্ডেরা 23টি আসনে লড়তে চাইছে ৷ আর অজিত পাওয়ার 10টি আসন চাইছে ৷ এই ফর্মুলা মানতে হলে বিজেপির কাছে 15টি আসন থাকবে ৷ কিন্তু গেরুয়া শিবির শরিকদের এই দাবি মানতে নারাজ ৷ কারণ, 2019 সালের লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি 25টি আসনে লড়াই করেছিল ৷ জিতেছিল 23টি আসনে৷ আর অবিভক্ত শিবসেনা 23টিতে লড়ে 18টিতে জিতেছিল ৷ তাছাড়া ওই বছরই মহারাষ্ট্রের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপি একক বৃহত্তম দল হিসেবে উঠে আসে ৷

রাজনৈতিক মহলের মতে, বিজেপি ও শিন্ডের মধ্যে এই আসনরফা হলে সমস্যা হত না ৷ কিন্তু অজিত পাওয়ারকে মহারাষ্ট্রের সরকারে টেনে নেওয়ার পর পরিস্থিতি বদলে গিয়েছে ৷ আর আসন সমঝোতা নিয়ে জটিলতা তৈরি হয়েছে ৷ এখন দেখার কিভাবে বিজেপি এই সংকট সামলায় ৷

আরও পড়ুন:

  1. অজিত পাওয়ার গোষ্ঠীই ‘আসল এনসিপি’, রায় মহারাষ্ট্র বিধানসভার অধ্যক্ষের
  2. বিদ্রোহী এনসিপি বিধায়কদের পদ খারিজ নিয়ে 'সুপ্রিম' নির্দেশ, সিদ্ধান্ত নিতে হবে 15 ফেব্রুয়ারির মধ্যে
  3. একনাথরাই 'আসল শিবসেনা', স্পিকারের রায়ের বিরোধিতা করে সুপ্রিম কোর্টে উদ্ধব ঠাকরে

For All Latest Updates

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.