ETV Bharat / health

মাঝেমধ্যেই অকারণে মোবাইল ঘাঁটেন ? নোমোফোবিয়া নয় তো !

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 6, 2024, 6:51 PM IST

Updated : Feb 6, 2024, 7:39 PM IST

Nomophobia: আপনি কি মাঝেমধ্যেই অকারণে মোবাইল ঘাঁটেন ? মাথার কাছে ফোন রেখে ঘুমোন ? আপনি নোমোফোবিয়ায় আক্রান্ত নন তো ! বিশদে জানতে প্রতিবেদনটি পড়ুন ৷

ETV BHARAT
ETV BHARAT
নোমোফোবিয়া সম্পর্কে জানুন

কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: কথায় আছে জলই জীবন ৷ তবে আধুনিক প্রজন্ম যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে জীবন ধারণের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে মুঠোফোন ৷ যাকে ছাড়া জীবন অনেকের কাছেই একপ্রকার অচল ! যাবতীয় তথ্য, বিনোদন, আপডেটের রেডি রেকর্নার এই মোবাইল ৷ তবে যার সাহায্যে আমরা সব সমস্যার সমাধান খুঁজছি, সে আমাদের জীবনের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো ? পরিসংখ্যান সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে । মনোবিদরা বলছেন, এক অজানা রোগে আক্রান্ত বর্তমান প্রজন্ম । যার নাম, নোমোফোবিয়া (NOMOPHOBIA)। অর্থাৎ নো-মোবাইল-ফোবিয়া ৷ মোবাইল না-থাকাটা ফোবিয়া হিসেবে দেখা দিচ্ছে অনেকের জীবনে ৷

মনোবিদদের মতে, এই রোগে আক্রান্তদের বয়সসীমা 21 থেকে 50 । মাঝেমধ্যেই অকারণে ফোন ঘাঁটা, মাথার কাছে ফোন নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া, ঘুম ভেঙে গেলেই ফোনটা দেখে নেওয়া - এই রোগের লক্ষণ । তবে মোবাইল নির্ভরশীল বর্তমান যুগে দাঁড়িয়েও নিজেকে এই রোগমুক্ত করাও সম্ভব । তা কীভাবে করতে হবে, সেই পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট মনোবিদ স্মরণিকা ত্রিপাঠী ।

তাঁর কথায়, "এই রোগের অনেকগুলো কারণ । তবে সব থেকে বড় বিষয় হল আমরা সবকিছুর জন্য ফোনের উপর খুব নির্ভর হয়ে পড়ছি । এই নির্ভরতা থেকেই শুরু হচ্ছে ভয় । এই ভয় এবং নির্ভরশীলতার জন্য আমরা বাস্তব জীবন থেকে অনেকটা সরে যাচ্ছি ।" তাঁর মতে, "আমরা ফোন কাজের থেকেও বেশি ব্যবহার করি বিনোদনের জন্য । আদতে সারাদিনের কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে এসে যখন কারও সঙ্গে কথা বলার লোক পাই না, তখনই মোবাইল ফোনের উপর একটা আকর্ষণ হয় । সেই নেশা থেকেই এই ধরনের ভীতি দেখা যায় ।"

তবে এখন বহু মানুষই অফিসের কাজ করেন তাঁর মুঠোফোনেই । আবার চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বহু মানুষ এখন ঘরছাড়া । তাঁরা কী করবেন ? এই বিষয়ে মনোবিদের মত, ফোন ব্যবহার করা ভালো । তবে যখন সেটা অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছয় তখনই সমস্যা । এই রোগের ফলে মানুষের চরিত্রের বহু রকমের পরিবর্তন দেখা যায় । যেগুলো হল রাগ প্রবণতা বেড়ে চলেছে, সম্পর্কে বিচ্ছেদ, অপরাধমূলক কাজ করার প্রবণতা বাড়ছে, মুডের পরিবর্তন হচ্ছে ।

মনোবিদের মতে, ভয়টাকে জয় করা দরকার, আত্মবিশ্বাস তৈরি করলেই এই ধরনের ভীতি কাটবে । তিনি জানান, "নিজেকে ভালোবাসা প্রয়োজন, নিজের আত্মবিশ্বাস গঠন করা দরকার । তার সঙ্গে একটা সংবেদনশীল মনোভাব গড়ে তোলাও দরকার । একটা ঠিকঠাক সঙ্গ পেলেই কোনও গ্যাজেটের উপর নির্ভরশীলতা কেটে যাবে ।"

আরও পড়ুন:

  1. সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইল ফোনে স্ক্রোল করেন ? এই সমস্যার শিকার হতে পারেন
  2. অন ডিউটিতে মোবাইল-হোয়াটসঅ্যাপ নয়, নির্দেশ ডিজি রাজীব কুমারের
  3. টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন ? অপেক্ষা করছে ভয়ংকর বিপদ

নোমোফোবিয়া সম্পর্কে জানুন

কলকাতা, 6 ফেব্রুয়ারি: কথায় আছে জলই জীবন ৷ তবে আধুনিক প্রজন্ম যেদিকে এগোচ্ছে, তাতে জীবন ধারণের অপরিহার্য অঙ্গ হয়ে উঠেছে মুঠোফোন ৷ যাকে ছাড়া জীবন অনেকের কাছেই একপ্রকার অচল ! যাবতীয় তথ্য, বিনোদন, আপডেটের রেডি রেকর্নার এই মোবাইল ৷ তবে যার সাহায্যে আমরা সব সমস্যার সমাধান খুঁজছি, সে আমাদের জীবনের মূল সমস্যা হয়ে দাঁড়াচ্ছে না তো ? পরিসংখ্যান সেদিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে । মনোবিদরা বলছেন, এক অজানা রোগে আক্রান্ত বর্তমান প্রজন্ম । যার নাম, নোমোফোবিয়া (NOMOPHOBIA)। অর্থাৎ নো-মোবাইল-ফোবিয়া ৷ মোবাইল না-থাকাটা ফোবিয়া হিসেবে দেখা দিচ্ছে অনেকের জীবনে ৷

মনোবিদদের মতে, এই রোগে আক্রান্তদের বয়সসীমা 21 থেকে 50 । মাঝেমধ্যেই অকারণে ফোন ঘাঁটা, মাথার কাছে ফোন নিয়ে ঘুমোতে যাওয়া, ঘুম ভেঙে গেলেই ফোনটা দেখে নেওয়া - এই রোগের লক্ষণ । তবে মোবাইল নির্ভরশীল বর্তমান যুগে দাঁড়িয়েও নিজেকে এই রোগমুক্ত করাও সম্ভব । তা কীভাবে করতে হবে, সেই পরামর্শ দিলেন বিশিষ্ট মনোবিদ স্মরণিকা ত্রিপাঠী ।

তাঁর কথায়, "এই রোগের অনেকগুলো কারণ । তবে সব থেকে বড় বিষয় হল আমরা সবকিছুর জন্য ফোনের উপর খুব নির্ভর হয়ে পড়ছি । এই নির্ভরতা থেকেই শুরু হচ্ছে ভয় । এই ভয় এবং নির্ভরশীলতার জন্য আমরা বাস্তব জীবন থেকে অনেকটা সরে যাচ্ছি ।" তাঁর মতে, "আমরা ফোন কাজের থেকেও বেশি ব্যবহার করি বিনোদনের জন্য । আদতে সারাদিনের কাজ শেষে বাড়িতে ফিরে এসে যখন কারও সঙ্গে কথা বলার লোক পাই না, তখনই মোবাইল ফোনের উপর একটা আকর্ষণ হয় । সেই নেশা থেকেই এই ধরনের ভীতি দেখা যায় ।"

তবে এখন বহু মানুষই অফিসের কাজ করেন তাঁর মুঠোফোনেই । আবার চাকরি বা পড়াশোনার জন্য বহু মানুষ এখন ঘরছাড়া । তাঁরা কী করবেন ? এই বিষয়ে মনোবিদের মত, ফোন ব্যবহার করা ভালো । তবে যখন সেটা অতিরিক্ত মাত্রায় পৌঁছয় তখনই সমস্যা । এই রোগের ফলে মানুষের চরিত্রের বহু রকমের পরিবর্তন দেখা যায় । যেগুলো হল রাগ প্রবণতা বেড়ে চলেছে, সম্পর্কে বিচ্ছেদ, অপরাধমূলক কাজ করার প্রবণতা বাড়ছে, মুডের পরিবর্তন হচ্ছে ।

মনোবিদের মতে, ভয়টাকে জয় করা দরকার, আত্মবিশ্বাস তৈরি করলেই এই ধরনের ভীতি কাটবে । তিনি জানান, "নিজেকে ভালোবাসা প্রয়োজন, নিজের আত্মবিশ্বাস গঠন করা দরকার । তার সঙ্গে একটা সংবেদনশীল মনোভাব গড়ে তোলাও দরকার । একটা ঠিকঠাক সঙ্গ পেলেই কোনও গ্যাজেটের উপর নির্ভরশীলতা কেটে যাবে ।"

আরও পড়ুন:

  1. সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে আপনার মোবাইল ফোনে স্ক্রোল করেন ? এই সমস্যার শিকার হতে পারেন
  2. অন ডিউটিতে মোবাইল-হোয়াটসঅ্যাপ নয়, নির্দেশ ডিজি রাজীব কুমারের
  3. টয়লেটে মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন ? অপেক্ষা করছে ভয়ংকর বিপদ
Last Updated : Feb 6, 2024, 7:39 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.