নয়াদিল্লি, 6 মার্চ: সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়লেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন বনমন্ত্রী হরক সিং রাওয়াত ও ওই রাজ্যে বন দফতরের তৎকালীন ডিভিশনাল ফরেস্ট অফিসার বা ডিএফও কিষান চন্দ ৷ বেআইনি নির্মাণ ও গাছ কাটার অনুমতি দিয়ে করবেট টাইগার রিজার্ভকে ধ্বংস করার জন্য়ই ওই দু’জন শীর্ষ আদালতের ভর্ৎসনার মুখে পড়েন ৷ বিচারপতি বিআর গাভাইয়ের নেতৃত্বে গঠিত তিন বিচারপতির বেঞ্চ বুধবার জানিয়েছে, প্রাক্তন মন্ত্রী ও ডিএফও-র সাহস দেখে তারা বিস্মিত ।
উত্তরাখণ্ড সরকার করবেট জাতীয় উদ্যানে টাইগার সাফারি ও খাঁচায় বন্দি প্রাণীদের নিয়ে একটি বিশেষ চিড়িয়াখানা করার উদ্যোগ নেয় ৷ তার বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেন সমাজকর্মী ও আইনজীবী গৌরব বনসল ৷ এ দিন সেই মামলার রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট ৷ সেই রায়ে অভিযুক্ত দু’জনকে ভর্ৎসনা করার পাশাপাশি একটি কমিটি গঠনের নির্দেশও দিয়েছে শীর্ষ আদালত ৷
সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে, দেশের জাতীয় উদ্যানগুলির বাফার বা প্রান্তিক এলাকায় টাইগার সাফারির অনুমতি দেওয়া যায় কি না, তা খতিয়ে দেখবে ওই কমিটি ৷ তাছাড়া সমস্ত সাফারিগুলি এখন থেকে সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নিতে হবে কোনও কাজের জন্য ৷
করবেট টাইগার রিজার্ভে বেআইনি নির্মাণ এবং গাছ কাটার কারণে যে ক্ষতি হয়েছে, সেই বিষয়ে ইতিমধ্যেই তদন্ত করছে সিবিআই ৷ এই নিয়ে ওই তদন্তকারী সংস্থাকে শীর্ষ আদালত তিন মাসের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে । সুপ্রিম কোর্ট রাজ্য সরকারকে বন পুনরুদ্ধার নিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে ।
শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, বর্তমান মামলায় এটা স্পষ্ট যে তৎকালীন বনমন্ত্রী নিজেকে আইনের ঊর্ধ্বে মনে করেছিলেন ৷ আর দেখা যাচ্ছে যে ডিএফও মানুষের বিশ্বাসকে অগ্রাহ্য করেছিলেন ৷ এই ঘটনায় প্রমাণিত হয় যে রাজনীতিবিদ ও আমলারা কিভাবে আইনের অপব্যবহার করে ৷ সুপ্রিম কোর্ট আরও জানিয়েছে যে অপবিত্র রাজনৈতিক-আমলাতান্ত্রিক জোট বন ও পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতি করেছে ৷ এই ক্ষতির মূল্য নির্ধারণ করতে হবে রাজ্য সরকারকে ৷ বাস্তুশাস্ত্রের ক্ষতির জন্য দোষীদের কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে হবে ।
আরও পড়ুন: