হাজারিবাগ, 5 মার্চ: ঘর থেকে উদ্ধার চিকিৎসক বাবা ও দুই মেয়ের দেহ ৷ ঘটনাটি ঘটেছে ঝাড়খণ্ডের হাজারিবাগের কটকমদগ থানার অন্তর্গত রামনগর বিষ্ণুপুরীতে । নিহতদের নাম ডঃ রাজকুমার সাও (40), আনভি কুমারী (8) এবং আরাধ্য কুমারী (5 বছর)। তিন জনেরই দেহ পাওয়া গিয়েছে তাদের বিষ্ণুপুরীর বাড়ি থেকে । হাত কাটা অবস্থায় পড়েছিলেন চিকিৎসক ৷ তাঁর দুই মেয়ের দেহ ছিল বিছানায় ৷
জানা গিয়েছে, মৃত রাজকুমার সাও দাঁতের ডাক্তার ছিলেন ৷ শহরের লেক টাওয়ারে তাঁর ক্লিনিক ছিল । কয়েকদিন আগেই হায়দরাবাদ থেকে ফিরেছিলেন এই চিকিৎসক ৷ তবে আত্মহত্যার আগে মা, স্ত্রী ও ছেলেকে শ্বশুরবাড়ি কুমহারতলিতে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এই বিষয়ে পুলিশ অফিসার ললিত কুমার জানান, হাসপাতালে আনার আগেই চিকিৎসক মারা যান । ময়নাতদন্ত শেষে দেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে । বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে । সোমবার তাঁর শ্বশুরবাড়িতে একটি অনুষ্ঠান ছিল বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন । সকালে পরিবারের সবাই কুমহারতলি বোড়ার গুদামে গিয়েছিল । বিকেলে ডাঃ রাজকুমার সাও তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে বিষ্ণুপুরীতে নিজের বাসভবনে আসেন ।
বাড়ির লোকজন ফিরে এসে ঘর বন্ধ দেখে দরজায় ধাক্কা দিলেও কেউ দরজা খোলেনি। এরপর দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখা যায় দুই মেয়ের দেহ বিছানায় পড়ে ৷ পাশেই হাত কাটা অবস্থায় বাবা রাজকুমারের দেহ পড়েছিল ৷ মেয়ে দু'টির দেহ দেখে মনে হচ্ছিল বিষ খাইয়ে মেরে ফেলা হয়েছে ৷
এর আগেও একবার হাজারিবাগের মহেশ্বরী পরিবারে একই ঘটনা ঘটেছিল ৷ 2018 সালের 14 জুলাই খাজাঞ্চি পুকুরের কাছে সিডিএম শুভম অ্যাপার্টমেন্টের তৃতীয় তলায় 303 নম্বর ফ্ল্যাটে বসবাসকারী মহেশ্বরী পরিবারের 6 সদস্যের দেহ সন্দেহজনক অবস্থায় পাওয়া গিয়েছিল। যে রহস্যের আজ পর্যন্ত সমাধান হয়নি । এখন বিষ্ণুপুরীতে তিন জনের দেহ উদ্ধার ঘিরেও চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ত
আরও পড়ুন :