ETV Bharat / state

হাবরায় ডেঙ্গির উৎস কোথায় ? নজরদারি ড্রোনে

author img

By

Published : Aug 31, 2019, 9:15 PM IST

Updated : Aug 31, 2019, 11:09 PM IST

হাবড়া

ডেঙ্গি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি । অবশেষে ডেঙ্গির উৎস খুঁজতে আকাশপথে শুরু হল নজরদারি । আজ হাবরা শহরে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি করা হয় ।

হাবরা, 31 অগাস্ট : উত্তর 24 পরগনার হাবরায় ডেঙ্গি পরিস্থিতি ভয়াবহ । ডেঙ্গি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর । কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি । অবশেষে ডেঙ্গির উৎস খুঁজতে আকাশপথে শুরু হল নজরদারি । আজ হাবরা শহরে উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে নজরদারি করা হয় ।

2017 সালের পর চলতি বছর হাবরায় ফের ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গি ৷ সরকারি হিসেবে হাবরায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গিতে 11 জনের মৃত্যু হয়েছে । হাবরার পাশাপাশি ডেঙ্গি ছড়িয়েছে গাইঘাটা, বনগাঁ ও দেগঙ্গাতে । উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গি পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার 76 লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে । হাবরা পৌরসভাতেই বরাদ্দ হয়েছে 48 লাখ টাকা । আবর্জনা পরিষ্কার করা থেকে জনসচেতনতার প্রচার সব কিছুই করা হয়েছে । কিন্তু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আসেনি ৷

ডেঙ্গি ভাইরাস বহনকারী এডিস মশা কোথায় কোথায় জন্মাচ্ছে তা খতিয়ে দেখতে অবশেষে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হল । শনিবার হাবরা শহরের স্টেশন চত্বর থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হয় । সেখানে উপস্থিত ছিলেন উত্তর 24 পরগনার জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী ৷ উপস্থিত ছিলেন ACMOH-2 কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, হাবরা পৌরসভার প্রশাসক তথা বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস । রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তি এলাকায় জমা জলের সন্ধান মিলেছে । পৌরকর্মীরা সেখানে অভিযান চালাবেন বলে জানা গেছে ।

ভিডিয়োয় দেখুন

জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী বলেন, "ডেঙ্গি মোকাবিলায় আমরা সবরকম চেষ্টা করছি । কারও ছাদের উপর জল জমে আছে কি না বা যেখানে সবার নজর পড়ে না সে রকম জায়গায় জল জমে আছে কি না তা খুঁজে বের করার জন্য ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিচ্ছি । কারণ জমা জলেই এডিস মশা বংশবিস্তার করে । কোথাও জমা জল দেখতে পেলেই পৌরকর্মীরা সঙ্গে সঙ্গে তা পরিষ্কার করবে ৷"

বারাসতের মহকুমাশাসক তথা হাবরা পৌরসভার প্রশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, "কর্মীরা নিয়মিত নজরদারি রাখছেন । তবু আমরা কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না । আজ হাবরা শহরের 9 ও 13 নম্বর ওয়ার্ডের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে । পরে আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হবে । কোথাও অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়লে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব ।"

Intro:ডেঙ্গুর লার্ভার খোঁজে এবার নজরদারি ড্রোন ক্যামেরায়

হাবড়াঃ ডেঙ্গু মহামারীর আকার নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অবশেষে ডেঙ্গুর উৎস খুঁজতে আকাশপথে শুরু হল নজরদারি। শনিবার হাবড়া শহরে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে নজরদারি করা হয়।

২০১৭ সালের পর চলতি বছর হাবড়ায় ডেঙ্গু ফের ভয়াল চেহারায় ফিরে এসেছে। সরকারি হিসেবে হাবড়ায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ৩০। হাবড়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু ছড়িয়েছে পাশে গাইঘাটা, বনগাঁ ও দেগঙ্গাতেও। উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। হাবড়া পুরসভাতেই বরাদ্দ হয়েছে ৪৮ লক্ষ টাকা। আবর্জনা পরিষ্কার করা থেকে জনসচেতনতার প্রচার সব কিছুই করা হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনও রাজ করে চলেছে হাবড়ায়। ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশা কোথা থেকে ছড়াচ্ছে সে ব্যাপারে নজরদারি চালাতে অবশেষে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হল। শনিবার হাবড়া শহরের স্টেশন চত্বর থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হয়। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর নির্দেশ দেন। ছিলেন ACMOH-2 কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তথা বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস। রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তি এলাকায় জমা জলের সন্ধান মিলেছে। পুরকর্মীরা সেখানে অভিযান চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।

জেলাশাসক বলেন, 'ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। কারও ছাদের উপর জল জমার মতো কোনও কিছু আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার জন্য ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিচ্ছি। কারণ জমা জলেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা বংশবিস্তার করে।'

তাহলে কি পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি নজরদারি চালাতে ব্যর্থ?
জবাবে মহকুমা শাসক তথা হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, 'পুরকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি করছেন। তবু আমরা কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না। আজ হাবড়া শহরের ৯ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। পরে আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হবে। কোথায় অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়লে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।'

ড্রোন ক্যামেরা বাড়ির ছাদে ওড়ানোর আগে প্রাইভেসি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইক প্রচার হল না কেন? সে প্রশ্নে অবশ্য নীরব জেলাশাসক থেকে পুরপ্রশাসক সকলেই।

Body:ডেঙ্গুর লার্ভার খোঁজে এবার নজরদারি ড্রোন ক্যামেরায়

হাবড়াঃ ডেঙ্গু মহামারীর আকার নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অবশেষে ডেঙ্গুর উৎস খুঁজতে আকাশপথে শুরু হল নজরদারি। শনিবার হাবড়া শহরে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে নজরদারি করা হয়।

২০১৭ সালের পর চলতি বছর হাবড়ায় ডেঙ্গু ফের ভয়াল চেহারায় ফিরে এসেছে। সরকারি হিসেবে হাবড়ায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ৩০। হাবড়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু ছড়িয়েছে পাশে গাইঘাটা, বনগাঁ ও দেগঙ্গাতেও। উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। হাবড়া পুরসভাতেই বরাদ্দ হয়েছে ৪৮ লক্ষ টাকা। আবর্জনা পরিষ্কার করা থেকে জনসচেতনতার প্রচার সব কিছুই করা হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনও রাজ করে চলেছে হাবড়ায়। ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশা কোথা থেকে ছড়াচ্ছে সে ব্যাপারে নজরদারি চালাতে অবশেষে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হল। শনিবার হাবড়া শহরের স্টেশন চত্বর থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হয়। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর নির্দেশ দেন। ছিলেন ACMOH-2 কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তথা বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস। রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তি এলাকায় জমা জলের সন্ধান মিলেছে। পুরকর্মীরা সেখানে অভিযান চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।

জেলাশাসক বলেন, 'ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। কারও ছাদের উপর জল জমার মতো কোনও কিছু আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার জন্য ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিচ্ছি। কারণ জমা জলেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা বংশবিস্তার করে।'

তাহলে কি পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি নজরদারি চালাতে ব্যর্থ?
জবাবে মহকুমা শাসক তথা হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, 'পুরকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি করছেন। তবু আমরা কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না। আজ হাবড়া শহরের ৯ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। পরে আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হবে। কোথায় অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়লে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।'

ড্রোন ক্যামেরা বাড়ির ছাদে ওড়ানোর আগে প্রাইভেসি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইক প্রচার হল না কেন? সে প্রশ্নে অবশ্য নীরব জেলাশাসক থেকে পুরপ্রশাসক সকলেই।

Conclusion:ডেঙ্গুর লার্ভার খোঁজে এবার নজরদারি ড্রোন ক্যামেরায়

হাবড়াঃ ডেঙ্গু মহামারীর আকার নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার হাবড়ায়। ডেঙ্গু মোকাবিলায় বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে স্বাস্থ্য দপ্তর। কিন্তু তাতেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসেনি। অবশেষে ডেঙ্গুর উৎস খুঁজতে আকাশপথে শুরু হল নজরদারি। শনিবার হাবড়া শহরে জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তীর উপস্থিতিতে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্যে বিভিন্ন বাড়ির ছাদে নজরদারি করা হয়।

২০১৭ সালের পর চলতি বছর হাবড়ায় ডেঙ্গু ফের ভয়াল চেহারায় ফিরে এসেছে। সরকারি হিসেবে হাবড়ায় এখনও পর্যন্ত ডেঙ্গুতে ১১ জনের মৃত্যু হয়েছে। বেসরকারি মতে, মৃতের সংখ্যা ৩০। হাবড়ার পাশাপাশি ডেঙ্গু ছড়িয়েছে পাশে গাইঘাটা, বনগাঁ ও দেগঙ্গাতেও। উত্তর ২৪ পরগনার ডেঙ্গু পরিস্থিতি মোকাবিলায় রাজ্য সরকার ৭৬ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করেছে। হাবড়া পুরসভাতেই বরাদ্দ হয়েছে ৪৮ লক্ষ টাকা। আবর্জনা পরিষ্কার করা থেকে জনসচেতনতার প্রচার সব কিছুই করা হয়েছে। কিন্তু ডেঙ্গু এখনও রাজ করে চলেছে হাবড়ায়। ডেঙ্গু বিস্তারকারী এডিস মশা কোথা থেকে ছড়াচ্ছে সে ব্যাপারে নজরদারি চালাতে অবশেষে ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নেওয়া হল। শনিবার হাবড়া শহরের স্টেশন চত্বর থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হয়। জেলাশাসক চৈতালি চক্রবর্তী নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানোর নির্দেশ দেন। ছিলেন ACMOH-2 কল্যাণ মুখোপাধ্যায়, হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তথা বারাসতের মহকুমাশাসক তাপস বিশ্বাস। রেলস্টেশন সংলগ্ন বস্তি এলাকায় জমা জলের সন্ধান মিলেছে। পুরকর্মীরা সেখানে অভিযান চালাবেন বলে জানা গিয়েছে।

জেলাশাসক বলেন, 'ডেঙ্গু মোকাবিলায় আমরা সব রকম চেষ্টা করছি। কারও ছাদের উপর জল জমার মতো কোনও কিছু আছে কিনা, তা খুঁজে বের করার জন্য ড্রোন ক্যামেরার সাহায্য নিচ্ছি। কারণ জমা জলেই ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা বংশবিস্তার করে।'

তাহলে কি পুরকর্মীরা বাড়ি বাড়ি নজরদারি চালাতে ব্যর্থ?
জবাবে মহকুমা শাসক তথা হাবড়া পুরসভার প্রশাসক তাপস বিশ্বাস বলেন, 'পুরকর্মীরা নিয়মিত নজরদারি করছেন। তবু আমরা কোনও ফাঁক রাখতে চাইছি না। আজ হাবড়া শহরের ৯ ও ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উপর নজরদারি চালানো হয়েছে। পরে আরও কয়েকটি ওয়ার্ডে ড্রোন ক্যামেরা ওড়ানো হবে। কোথায় অস্বাভাবিক কিছু নজরে পড়লে আমরা সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেব।'

ড্রোন ক্যামেরা বাড়ির ছাদে ওড়ানোর আগে প্রাইভেসি বজায় রাখতে সংশ্লিষ্ট এলাকায় মাইক প্রচার হল না কেন? সে প্রশ্নে অবশ্য নীরব জেলাশাসক থেকে পুরপ্রশাসক সকলেই।

Last Updated :Aug 31, 2019, 11:09 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.