ETV Bharat / state

"সবচেয়ে বড় বেইমানের নাম তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়", তোপ শীলভদ্রর

author img

By

Published : Jan 21, 2021, 11:07 PM IST

শীলভদ্র দত্ত
শীলভদ্র দত্ত

"যতক্ষণ আপনার সঙ্গে ছিলাম ততক্ষণ আমি ভালো ছেলে ছিলাম । আজকে আমি খারাপ হয়ে গেলাম । আগে দিদিমণি ঠিক করুক, কাকে ভালো বলবেন ।" পুরানো দলের নেত্রীকে তোপ সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শীলভদ্র দত্তের ।

বারাসত, 21 জানুয়ারি : "যে নিজের স্বার্থে বারবার এহাত ওহাত ধরতে পারে তাঁর থেকে বেইমান কিংবা গদ্দার শুনতে রাজি নয় । সবচেয়ে বড় বেইমানের নাম তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।" বৃহস্পতিবার বারাসতে দলের জেলা কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠকে এভাবেই পাল্টা মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করলেন সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া ব্যারাকপুরের বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত । তিনি বলেন, "আমি যতদিন তৃণমূলে ছিলাম, ততদিন সৎ ছিলাম । দিদিমণি বলছেন, আমার দলে থাকলে কালো।বিজেপিতে গেলে সাদা । আমি দিদিমণিকে জিজ্ঞাসা করছি, যতক্ষণ আপনার সঙ্গে ছিলাম ততক্ষণ আমি ভালো ছেলে ছিলাম । আজকে আমি খারাপ হয়ে গেলাম । আগে দিদিমণি ঠিক করুক, কাকে ভালো বলবেন । আর কাকে কালো বলবেন ।"

এরপরই তৃনমূল নেত্রীকে খোঁচা দিয়ে ব্যারাকপুরের বিধায়ক ও বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত বলেন, "অন্য দলে যাওয়া লোককে নিয়ে চিন্তা করতে হবে না । নিজের ঘরের লোককে দেখুন । দিদিমণি ও তাঁর দলের লোকেদের মুখে বেইমানও গদ্দার এসব কথা মানায় না । সবচেয়ে বড় কেউ যদি বেইমান থাকেন, তাঁর নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ।"

এর পিছনে ব্যাখাও দিয়েছেন একসময়ে তাঁর দলের এই বিধায়ক । শীলভদ্রের কথায়, "কংগ্রেস একসময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাংসদ থেকে মন্ত্রী বানিয়েছিল ।সেই কংগ্রেস থেকে বেরিয়ে গিয়েছিলেন তিনি । আবার 1998 সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর হাত ধরে বাংলায় চলতে শিখেছিলেন । 2003 সালে অটল বিহারী বাজপেয়ীর হাত ছেড়ে কংগ্রেসের সঙ্গে হাত মিলিয়েছিলেন । পরবর্তীতে প্রয়োজন বুঝে কংগ্রেস ছেড়ে ফের বাজপেয়ীর শরণাপন্ন হতে হয়েছিল । লোকটা নিজের স্বার্থে বারবার এহাত ওহাত ধরেছে তাঁর মুখে মানায় না বেইমান কিংবা গদ্দার কথা ।"

আরও পড়ুন : "বন্ধু দেখা হবে", গেরুয়া রঙে শীলভদ্রর ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট
এই বিষয়ে বলতে গিয়ে তৃণমূলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়কেও আক্রমণ করেছেন তিনি । তাঁর মতে, "সৌগত রায়ের মতো নেতাদের আগে নিজের অতীত দেখা উচিত ।তারপর অন্য কাউকে বেইমান ও গদ্দার বলবে" ।

নিজের দলত্যাগের প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত বলেন, "আমি সাহস করে দল ছেড়েছি।কেউ দিচ্ছেন,আবার কেউ সাহস করে দিতে পারছেন না।বিধানসভা ভোটের দিন ঘোষণা হলেই পিসি ও ভাইপো এবং তাঁদের পেটুয়া কিছু লোক ছাড়া আর কেউ থাকবে না তৃনমূল দলে"।

মুখ্যমন্ত্রীর নন্দীগ্রামে প্রার্থী হওয়া নিয়েও কটাক্ষ করেছেন বিজেপি নেতা শীলভদ্র দত্ত । তিনি বলেন,"উনি ভূতের পিছনে দৌড়াচ্ছেন । মাথা খারাপ না হলে উনি নন্দীগ্রামে দাঁড়ান ? মুখ্যমন্ত্রীকে নন্দীগ্রামে বুঝে নেওয়ার জন্য শুভেন্দু একাই যথেষ্ট । আর সেখানকার বিজেপি কমীরা তো রয়েছে । বারাসত থেকে আর কারোর যাওয়ার দরকার হবে না । বাংলার বুদ্ধিজীবীদেরও এদিন একহাত নিয়েছেন সদ্য বিজেপিতে যাওয়া এই বিধায়ক ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.