ETV Bharat / state

তৌফিক, কবিরুলদের কাঁধে চড়ে অমিতের শেষযাত্রা

author img

By

Published : Sep 10, 2019, 11:00 PM IST

বসিরহাট

জাতপাত ধর্মীয় ভেদাভেদ ঊর্ধ্বে তুলে প্রায় দু' কিলোমিটার রাস্তা পথে হেঁটে মৃত অমিত বিশ্বাসের দেহ শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলেন তৌফিক, কবিরুল, মিজানুর ও রুস্তমরা । সঙ্গে কয়েকশো মুসলিম ভাই ।

বসিরহাট, 10 সেপ্টেম্বর : হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? না কেউ জিজ্ঞাসা করেননি । অসহায় হিন্দু যুবক শেষযাত্রায় গেল মুসলিম যুবকদের কাঁধে চড়েই । বিবিধের মাঝে মিলন মহানের চিত্র দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে । জাতপাত ধর্মীয় ভেদাভেদ ঊর্ধ্বে তুলে প্রায় দু' কিলোমিটার রাস্তা পথে হেঁটে মৃত অমিত বিশ্বাসের দেহ শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলেন তৌফিক, কবিরুল, মিজানুর ও রুস্তমরা । সঙ্গে কয়েকশো মুসলিম ভাই । হিন্দু উপাচার মেনে কবিরুলরাই নিজেদের খরচে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন ।

সোমবার সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয় বছর একুশের অমিত বিশ্বাসের ৷ তাঁর বাড়ি বসিরহাটের সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়ায়৷ সোমবার অমিত বন্ধুর মোটরসাইকেলে চড়ে কামারডাঙায় যাচ্ছিলেন । যাওয়ার পথে ম্যাজিক গাড়ির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় । গুরুতর জখম হন অমিত । স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যায় । বিকেলে মৃত্যু হয় অমিতের ।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, 13 বছর আগে অমিতের বাবা নবরঞ্জন বিশ্বাসের মৃত্যু হয় । অমিতের মা রীতা বিশ্বাস দুই সন্তানকে কোনওরকমে বড় করেছেন । পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন অমিতই । তাঁর আকস্মিক মৃত্যুতে সকলেই কার্যত হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন । সংগ্রামপুর পুরোটাই সংখ্যালঘু অধ্যুষিত । মাঝেমধ্যে দু' এক ঘর হিন্দু পরিবার থাকে । তাই দাহ করার মতো কোনও লোক মিলছিল না । অনেক রাত পর্যন্ত অমিতের দেহ পড়ে ছিল বাড়ির উঠোনে ।

খবর যায় তৌফিক, মিজানুর, রুস্তমদের কাছে। তাঁরা পাড়ার সব মুসলিম যুবকদের নিয়ে হাজির হয় মৃত অমিতের বাড়িতে । অমিতের মা ও ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললেন, "অমিত আমাদেরও ভাই । আমরাই ওর সৎকারের ব্যবস্থা করব৷ " এর পর তাঁরা অমিতের দেহ কাঁধে চাপিয়ে দু' কিলোমিটার পথ হেঁটে বসিরহাট বসিরহাট শ্মশানে নিয়ে যায় । সেখানেই অমিতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয় ।

সংগ্রামপুরের বাসিন্দা তৌফিক হোসেন বলেন, 'ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় নেই । আমরা সবাই মানুষ । অমিত আমাদের ভাই । আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত । মানুষ হিসেবে আমরা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছি ।' সোমবার গভীর রাতে অমিতকে দাহ করে তৌফিক, মিজানুররা ঘরে ফেরেন৷

বসিরহাটের বাতাসে তখন যেন ধ্বনিত হচ্ছে, দেবেশ ঠাকুরের 'ভারতবর্ষ' কবিতার ছন্দ, 'কোজাগরী চাঁদের অকৃপণ আলো পড়ে ঈদগার উপর। আর রমজানি চাঁদ তুলসীমঞ্চের গায়ে পূর্ণ আলো দিয়ে যায়...।'

Intro:তৌফিকের কাঁধে চড়ে অমিতের শেষযাত্রা

বসিরহাটঃ হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? না কেউ জিজ্ঞাসা করেননি। অসহায় হিন্দু যুবকের শেষযাত্রায় গেল মুসলিম যুবকদের কাঁধে চড়েই। বিবিধের মাঝে মিলন মহানের হীরকচিত্র দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। জাতপাত ধর্মীয় ভেদাভেদ ঊর্ধ্বে তুলে প্রায় দু' কিলোমিটার রাস্তা পথে হেঁটে মৃত অমিত বিশ্বাসের দেহ শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলেন তৌফিক, কবিরুল, মিজানুর ও রুস্তমরা। সঙ্গে কয়েকশো মুসলিম ভাইয়েরা। হিন্দু উপাচার মেনে কবিরুলরাই নিজেদের খরচে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন।

সোমবার বসিরহাটের সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর বছর একুশের অমিত বিশ্বাস বন্ধুর বাইকে চড়ে পাশের গ্রাম কামারডাঙায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় ম্যাজিক গাড়ির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর জখম হন অমিত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকেলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,13 বছর আগে অমিতের বাবা নবরঞ্জন বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। শেষ সম্বল মা রীতা বিশ্বাস দুই সন্তানকে কোনওরকমে বড় করেছেন। পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন অমিতই। সেই যুবকের আকস্মিক মৃত্যুতে সকলেই কার্যত হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন। শোকার্ত সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়া। গোটা গ্রামটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। মাঝেমধ্যে দু' এক ঘর হিন্দু পরিবার। তাই দাহ করার মতো কোনও লোক মিলছিল না। টাকাও নেই। রাত পর্যন্ত অমিতের দেহ পড়ে রইল বাড়ির উঠোনে। খবর গেল তৌফিক, মিজানুর, রুস্তমদের কাছে। তাঁরা পাড়ার সব মুসলিম যুবকদের নিয়ে হাজির মৃত অমিতের বাড়িতে। অমিতের মা ও ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললেন, 'অমিত আমাদেরও ভাই।' তাঁরাই বাঁশের দোলা বানিয়ে ফেললেন। তারপর কাঁধে চাপিয়ে দু' কিলোমিটার পথ হেঁটে পৌঁছলেন বসিরহাট শ্মশানে। নিজেরাই যে যার পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দিলেন। অমিতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তৌফিক হোসেন বললেন, 'ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় নেই। আমরা সবাই মানুষ। অমিত আমাদের ভাই। আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। আমরা তাঁকে শেষকৃত্য শেষ করেছি। মানুষ হিসেবে আমরা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছি।' গভীর রাতে অমিতকে দাহ করে তৌফিক, মিজানুররা ফিরলেন। অমিতের মাকে বললেন, 'মা আপনার সন্তানকে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। কিন্তু আমরা আপনার সন্তান হয়েই থাকব।'

বসিরহাটের বাতাসে তখন যেন ধ্বনিত হচ্ছে, দেবেশ ঠাকুরের 'ভারতবর্ষ' কবিতার ছন্দ, 'কোজাগরী চাঁদের অকৃপণ আলো পড়ে ঈদগার উপর। আর রমজানি চাঁদ তুলসীমঞ্চের গায়ে পূর্ণ আলো দিয়ে যায়...।'

Body:তৌফিকের কাঁধে চড়ে অমিতের শেষযাত্রা

বসিরহাটঃ হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? না কেউ জিজ্ঞাসা করেননি। অসহায় হিন্দু যুবকের শেষযাত্রায় গেল মুসলিম যুবকদের কাঁধে চড়েই। বিবিধের মাঝে মিলন মহানের হীরকচিত্র দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। জাতপাত ধর্মীয় ভেদাভেদ ঊর্ধ্বে তুলে প্রায় দু' কিলোমিটার রাস্তা পথে হেঁটে মৃত অমিত বিশ্বাসের দেহ শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলেন তৌফিক, কবিরুল, মিজানুর ও রুস্তমরা। সঙ্গে কয়েকশো মুসলিম ভাইয়েরা। হিন্দু উপাচার মেনে কবিরুলরাই নিজেদের খরচে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন।

সোমবার বসিরহাটের সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর বছর একুশের অমিত বিশ্বাস বন্ধুর বাইকে চড়ে পাশের গ্রাম কামারডাঙায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় ম্যাজিক গাড়ির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর জখম হন অমিত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকেলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,13 বছর আগে অমিতের বাবা নবরঞ্জন বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। শেষ সম্বল মা রীতা বিশ্বাস দুই সন্তানকে কোনওরকমে বড় করেছেন। পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন অমিতই। সেই যুবকের আকস্মিক মৃত্যুতে সকলেই কার্যত হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন। শোকার্ত সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়া। গোটা গ্রামটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। মাঝেমধ্যে দু' এক ঘর হিন্দু পরিবার। তাই দাহ করার মতো কোনও লোক মিলছিল না। টাকাও নেই। রাত পর্যন্ত অমিতের দেহ পড়ে রইল বাড়ির উঠোনে। খবর গেল তৌফিক, মিজানুর, রুস্তমদের কাছে। তাঁরা পাড়ার সব মুসলিম যুবকদের নিয়ে হাজির মৃত অমিতের বাড়িতে। অমিতের মা ও ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললেন, 'অমিত আমাদেরও ভাই।' তাঁরাই বাঁশের দোলা বানিয়ে ফেললেন। তারপর কাঁধে চাপিয়ে দু' কিলোমিটার পথ হেঁটে পৌঁছলেন বসিরহাট শ্মশানে। নিজেরাই যে যার পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দিলেন। অমিতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তৌফিক হোসেন বললেন, 'ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় নেই। আমরা সবাই মানুষ। অমিত আমাদের ভাই। আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। আমরা তাঁকে শেষকৃত্য শেষ করেছি। মানুষ হিসেবে আমরা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছি।' গভীর রাতে অমিতকে দাহ করে তৌফিক, মিজানুররা ফিরলেন। অমিতের মাকে বললেন, 'মা আপনার সন্তানকে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। কিন্তু আমরা আপনার সন্তান হয়েই থাকব।'

বসিরহাটের বাতাসে তখন যেন ধ্বনিত হচ্ছে, দেবেশ ঠাকুরের 'ভারতবর্ষ' কবিতার ছন্দ, 'কোজাগরী চাঁদের অকৃপণ আলো পড়ে ঈদগার উপর। আর রমজানি চাঁদ তুলসীমঞ্চের গায়ে পূর্ণ আলো দিয়ে যায়...।'

1 তৌফিক হোসেন, গ্রামবাসী
2 সুমিত বিশ্বাস, মৃত যুবকের ভাইConclusion:তৌফিকের কাঁধে চড়ে অমিতের শেষযাত্রা

বসিরহাটঃ হিন্দু না ওরা মুসলিম? ওই জিজ্ঞাসে কোন জন? না কেউ জিজ্ঞাসা করেননি। অসহায় হিন্দু যুবকের শেষযাত্রায় গেল মুসলিম যুবকদের কাঁধে চড়েই। বিবিধের মাঝে মিলন মহানের হীরকচিত্র দেখা গেল উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাটে। জাতপাত ধর্মীয় ভেদাভেদ ঊর্ধ্বে তুলে প্রায় দু' কিলোমিটার রাস্তা পথে হেঁটে মৃত অমিত বিশ্বাসের দেহ শ্মশানঘাটে নিয়ে গেলেন তৌফিক, কবিরুল, মিজানুর ও রুস্তমরা। সঙ্গে কয়েকশো মুসলিম ভাইয়েরা। হিন্দু উপাচার মেনে কবিরুলরাই নিজেদের খরচে তার শেষকৃত্য সম্পন্ন করলেন।

সোমবার বসিরহাটের সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়ার বাসিন্দা পেশায় দিনমজুর বছর একুশের অমিত বিশ্বাস বন্ধুর বাইকে চড়ে পাশের গ্রাম কামারডাঙায় যাচ্ছিলেন। সেই সময় ম্যাজিক গাড়ির সঙ্গে বাইকের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। গুরুতর জখম হন অমিত। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে উদ্ধার করে বসিরহাট জেলা হাসপাতালে নিয়ে যান। বিকেলে ওই যুবকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন,13 বছর আগে অমিতের বাবা নবরঞ্জন বিশ্বাসের মৃত্যু হয়। শেষ সম্বল মা রীতা বিশ্বাস দুই সন্তানকে কোনওরকমে বড় করেছেন। পরিবারের দুই ভাইয়ের মধ্যে একমাত্র রোজগেরে ছিলেন অমিতই। সেই যুবকের আকস্মিক মৃত্যুতে সকলেই কার্যত হতবুদ্ধি হয়ে পড়েন। শোকার্ত সংগ্রামপুর পশ্চিমপাড়া। গোটা গ্রামটি সংখ্যালঘু অধ্যুষিত। মাঝেমধ্যে দু' এক ঘর হিন্দু পরিবার। তাই দাহ করার মতো কোনও লোক মিলছিল না। টাকাও নেই। রাত পর্যন্ত অমিতের দেহ পড়ে রইল বাড়ির উঠোনে। খবর গেল তৌফিক, মিজানুর, রুস্তমদের কাছে। তাঁরা পাড়ার সব মুসলিম যুবকদের নিয়ে হাজির মৃত অমিতের বাড়িতে। অমিতের মা ও ভাইয়ের কাঁধে হাত রেখে বললেন, 'অমিত আমাদেরও ভাই।' তাঁরাই বাঁশের দোলা বানিয়ে ফেললেন। তারপর কাঁধে চাপিয়ে দু' কিলোমিটার পথ হেঁটে পৌঁছলেন বসিরহাট শ্মশানে। নিজেরাই যে যার পকেট থেকে টাকা বের করে দিয়ে দিলেন। অমিতের শেষকৃত্য সম্পন্ন হল। তৌফিক হোসেন বললেন, 'ধর্ম নিয়ে ভাবার সময় নেই। আমরা সবাই মানুষ। অমিত আমাদের ভাই। আমরা তাঁর মৃত্যুতে শোকাহত। আমরা তাঁকে শেষকৃত্য শেষ করেছি। মানুষ হিসেবে আমরা সামাজিক দায়িত্ব পালন করেছি।' গভীর রাতে অমিতকে দাহ করে তৌফিক, মিজানুররা ফিরলেন। অমিতের মাকে বললেন, 'মা আপনার সন্তানকে আমরা ফিরিয়ে দিতে পারব না। কিন্তু আমরা আপনার সন্তান হয়েই থাকব।'

বসিরহাটের বাতাসে তখন যেন ধ্বনিত হচ্ছে, দেবেশ ঠাকুরের 'ভারতবর্ষ' কবিতার ছন্দ, 'কোজাগরী চাঁদের অকৃপণ আলো পড়ে ঈদগার উপর। আর রমজানি চাঁদ তুলসীমঞ্চের গায়ে পূর্ণ আলো দিয়ে যায়...।'

1 তৌফিক হোসেন, গ্রামবাসী
2 সুমিত বিশ্বাস, মৃত যুবকের ভাই
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.