ETV Bharat / state

NRS- এ চিকিৎসারত অবস্থায় নিখোঁজ রোগী, গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের

author img

By

Published : Apr 30, 2019, 9:30 AM IST

Updated : Apr 30, 2019, 10:24 AM IST

NRS- এ চিকিৎসা চলাকালীন নিখোঁজ হলেন বালুরঘাটের এক ব্যক্তি। নাম অমল মালি।

অমল মালি

বালুরঘাট, 30 এপ্রিল : NRS হাসপাতালে চিকিৎসা চলছিল। সেই অবস্থায় হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয়ে যান। তাঁর নাম অমল মালি (৫৮) । কী ভাবে তিনি হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হলেন তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন ? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছে রোগীর পরিবার। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগও জানান তাঁরা। তবে বিষয়টি জানা নেই বলে মন্তব্য হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের।

পেশায় দিনমজুর অমলবাবুর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট থানার ডাঙা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীশহর এলাকায়। প্রতিদিন সকালে দিনমজুরের কাজ করতে সাইকেল চালিয়ে বালুরঘাটে যান। রোজকার মতো 20 এপ্রিলও কাজের জন্য বালুরঘাটে গেছিলেন। কিন্তু, কাজ করার সময় তাঁর ব্রেনস্ট্রোক হয়। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাঁকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভরতি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরের দিন (21 এপ্রিল) মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে তাঁকে রেফার করেন চিকিৎসকরা। এরপর মালদা থেকে তাঁকে NRS-এ রেফার করা হয়। ২২ এপ্রিল NRS-এ ভরতি করা হয়। ২৪ এপ্রিল (বুধবার) সকালে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। অভিযোগ, বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে উলটে রোগীর পরিজনদের ভয় দেখানো হয়। বলা হয়, রোগীকে যেখান থেকে পারেন খুঁজে আনুন। নাহলে আপনাদের নামে পুলিশে অভিযোগ করা হবে। ভয় পেয়ে অমলবাবুর পরিবারের সদস্যরা এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান। কিন্তু, থানা থেকে জানানো হয়, হাসপাতালের তরফে না জানালে অভিযোগ নেওয়া যাবে না। এরপর হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে লিখিতভাবে এ বিষয়ে অভিযোগ জানান।

মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যায় বলেন, "রোগী যদি নিখোঁজ হয়ে যান তাহলে অটোমেটিক্যালি রিপোর্ট হয়ে যায়। এখানে MSVP-র বলার কিছু নেই। নিখোঁজ হয়ে গেলে রিপোর্ট করা হয়। হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়। পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।" যদিও রোগীর পরিবারের সদস্যরা তাঁকে অ্যাড্রেসই করে চিঠি লিখেছেন। এ প্রসঙ্গে MSVP বলেন, "এই চিঠি তো আমার কাছে আসেনি। জানি না তাঁরা কোথায় জমা দিয়েছেন।" বালুরঘাটের কোনও রোগী কি নিখোঁজ হয়েছেন? MSVP বলেন, "আমার ঠিক জানা নেই। মনে পড়ছে না।"

Intro:Exclusive

চিকিৎসারত অবস্থায় হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ রোগী, হাসপাতালের গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের।।

বালুরঘাট, ৩০ এপ্রিল: কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে বালুরঘাটের
চিকিৎসারত অবস্থায় এক রোগী হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ। ঘটনায় চাঞ্চল্য এলাকায়। নিরাপত্তার ঘেরাটোপে থাকার পরেও রোগী কি করে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হয় তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন? হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফিলতির অভিযোগ পরিবারের। লিখিত অভিযোগ দায়ের এনআরএস হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। বিষয়টি জানা নেই বলে মন্তব্য হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের।

জানা গেছে, নিখোঁজ রোগীর নাম অমল মালি(৫৮)। পেশায় দিনমজুর অমলবাবুর বাড়ি দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার ডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপীশহর এলাকায়। বাড়িতে স্ত্রী ও চার ছেলে মেয়ে রয়েছে। ছেলে মেয়েদের অনেক দিন আগেই বিয়ে হয়ে গেছে। অমলবাবু রোজ সকালে দিনমজুরের কাজ করতে সাইকেল চালিয়ে বালুরঘাটে যান। রোজকার মত গত ২০ এপ্রিলও তিনি কাজে বালুরঘাটে যান। কাজ করার সময় ব্রেন স্ট্রোক করে অমলবাবুর। সঙ্গে সঙ্গে স্থানীয়রা তাকে বালুরঘাট হাসপাতালে ভর্তি করে। অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসকরা পর দিন মালদা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে রেফার করে। এর পর মালদা থেকে কলকাতার এনআরএস হাসপাতালে রেফার করা হয় অমলবাবুকে। গত ২২ এপ্রিল এনআরএসে ভর্তি হন। অভিযোগ, গত ২৪ এপ্রিল(বুধবার) সকালে হাসপাতাল থেকে নিখোঁজ হন তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও পাওয়া যায়নি। এরপর বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানালে উলটে রোগীর পরিজনদের ভয় দেখানো হয়। বলা হয় রোগীকে যেখান থেকে পারুন খুঁজে আনুন। না হলে আপনাদের নামে পুলিশে অভিযোগ করা হবে। এতেই ভয় পেয়ে অমলবাবুর পরিজনরা স্থানীয় এন্টালি থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করতে যান। তবে হাসপাতাল তরফ থেকে না জানালে অভিযোগ নেওয়া যাবে না বলে জানানো হয়৷ এরপর হাসপাতালের মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপালের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন পরিবার। এদিকে দরিদ্র পরিবার হওয়ায় কলকাতাতে থাকা সম্ভব হয়নি পরিবারের। গত পড়শু বাড়ি ফিরে আসেন পরিবারের লোকরা।

এবিষয়ে অমল মালির ছেলে উৎপল ও স্ত্রী কল্পনা মালি জানান, তার বাবার ব্রেন স্ট্রোক হয়। প্রথমে বালুরঘাট, তারপর মালদা এবং পরে কলকাতার এনআরএসে ভর্তি করা হয়। ২২ তারিখ ভর্তি করা হয় আর ২৪ তারিখ নিখোঁজ হয়। হাসপাতালে নিখোঁজ অভিযোগ দায়ের করেন তারা। তবে এখনো তার বাবার কোন খোঁজ পাননি। হাসপাতালে এত নিরাপত্তা থাকার পরও কি করে একজন রোগী নিখোঁজ হয়, সেক্ষেত্রে হাসপাতালের গাফিলতি রয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।

এবিষয়ে মেডিকেল সুপারিনটেনডেন্ট কাম ভাইস প্রিন্সিপাল সৌরভ চট্টোপাধ্যায়ের কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, "রোগী যদি নিখোঁজ হয়ে যান তা হলে অটোমেটিক্যালি রিপোর্ট হয়ে যায়। এখানে এমএসভিপির বলার কিছু নেই। নিখোঁজ হয়ে গেলে রিপোর্ট করা হয়। হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়িতে জানানো হয়। পুলিশ খুঁজে বের করার চেষ্টা করে।" আপনাকে অ্যাড্রেস করে চিঠি লেখা হয়েছে। MSVP বলেন, "এই চিঠি তো আমার কাছে আসেনি। জানি না ওরা কোথায় জমা দিয়েছেন।" এমন হয়েছিল, বালুরঘাটের কোনও রোগী নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন? MSVP বলেন, "আমার ঠিক জানা নেই। খেয়াল পড়ছে না।"Body:Balurghat Conclusion:Balurghat
Last Updated : Apr 30, 2019, 10:24 AM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.