ETV Bharat / state

বুক সমান জলে নদী পারাপার, প্রতিশ্রুতি দিলেও হয়নি সেতু

author img

By

Published : Jun 21, 2021, 8:59 PM IST

Updated : Jun 21, 2021, 9:14 PM IST

বুক সমান জলে নদী পারাপার
বুক সমান জলে নদী পারাপার

সেতু নির্মাণ হলে উপকৃত হত প্রায় 50টির বেশি গ্রাম ৷ উপকৃত হতেন প্রায় ছয় হাজারের বেশি মানুষ ৷

কাঁটাবেড়া, 21 জুন : 2016 সালের বিধানসভা ভোট ৷ নির্বাচনের আগে পুরুলিয়ায় কাঁসাই নদীর উপর একটি সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেয় পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদ ৷ বরাদ্দ করা হয় প্রায় 9 কোটি 24 লাখ টাকা ৷ সেইমতো তৎকালীন পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন মন্ত্রী শান্তিরাম মাহাত সেতুর শিলান্যাসও করেন ৷ কথা ছিল 2 বছরের মধ্যে কাজ শেষ হবে ৷ কথা মতো শুরু হয় কাজও ৷ 147 মিটার সেতুতে 8টি পিলার নির্মাণের নকশা তৈরি হয় ৷ পিলার তৈরির কাজ শুরু হয়েও থমকে যায় ৷

2016 নির্বাচনের পর কেটে গিয়েছে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনও ৷ জমেছে প্রতিশ্রুতির পাহাড় ৷ তবু কাজ এগোয়নি কিছুই ৷ এরপর দায়িত্বপ্রাপ্ত ঠিকাদার মালপত্র নিয়ে চলে গিয়েছেন ৷ কোন কারণে বন্ধ হয়েছে কাজ, তা জানা নেই কারও ৷

পুরুলিয়ার কংসাবতী নদী ৷ স্থানীয় ভাষায় এটিকে 'কাঁসাই' নদীও বলে ৷ কাঁসাইয়ের দুইপাড়ের গ্রাম কাঁটাবেড়া এবং বামুনডিহা ৷ এই দুই গ্রামের মাঝখানেই মূলত সেতু নির্মাণ শুরু হয় ৷ এই সেতু নির্মাণ হলে উপকৃত হত প্রায় 50টির বেশি গ্রাম ৷ উপকৃত হতেন প্রায় 50 থেকে 60 হাজারের বেশি মানুষ ৷ একমাত্র পায়ে হেঁটেই নদীর এপার থেকে ওপার করতে হয় ৷ জল কম থাকলে, নদী পারাপার করা যায় ৷ কিন্তু বর্ষাকালেই বাধে বিপত্তি ৷ বেড়ে যায় নদীর জল ৷ কখনও বুক সমান, তো কখনও হাঁটু সমান জলেই করতে হয় পারাপার ৷

বুক সমান জলে নদী পারাপার, প্রতিশ্রুতি দিয়েও হয়নি সেতু

কাঁটাবেড়ার দিকে রয়েছে ঝাড়খণ্ড ৷ আর অপর প্রান্তে রয়েছে, অযোধ্যা পাহাড় ৷ অযোধ্যা পাহাড় থেকে ঝাড়খণ্ডে যাওয়ার সুবিধা হত এই সেতু তৈরি হলে ৷ কাঁকসার দুই পাড়ের গারাফুসরা, সিন্দ্রি, কাঁটাবেড়া, বামুনডিহা, সিরকাবাদ, আড়শা, তুম্বা ঝালদার মতো একাধিক গ্রামের মানুষের মূল জীবিকা হল সবজি চাষ ৷ কিন্তু সেই সবজি নিয়ে বাজারে পৌঁছাতে বেগ পেতে হয় চাষিদের ৷ জল বাড়লে সবজি নিয়ে নদী পারাপার করা দুষ্কর হয়ে পড়ে ৷ মাঠের সবজি মাঠেই নষ্ট হয় ৷ আর সে কারণেই ক্ষতির মুখে পড়তে হয় চাষিদের ৷ কবে মিটবে এই সমস্যা, কবেই বা হবে সেতু নির্মাণের কাজ, সেই প্রশ্ন আজও অধরা ৷

আরও পড়ুন : মাদ্রাজি ওল চাষে লাভের মুখ দেখছেন কাঁকসার চাষিরা

এবিষয়ে শান্তিরাম মাহাত বলেন, ‘‘বরাদ্দ টাকার অঙ্ক বেড়ে যাওয়ায় কাজ আটকে গিয়েছে ৷ কারণ টাকার অঙ্ক বেড়ে গেলে, অর্থ দফতরের থেকে অনুমতির প্রয়োজন ৷’’ তবে দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দেন তিনি ৷

Last Updated :Jun 21, 2021, 9:14 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.