পুরুলিয়া, 9 এপ্রিল: আপাতত পিছু হঠল আদিবাসী কুড়মি সমাজ ৷ রেল অবরোধ কর্মসূচি তুলে নিল তারা । তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতি এবং কুড়মালি ভাষাকে অষ্টম তফশিলের অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিল কুড়মি সম্প্রদায় ৷ 5 এপ্রিল থেকে পুরুলিয়ার কুস্তাউর ও খেমাশুলি ট্রেন লাইনে অবরোধে বসে তারা ৷ অবরোধ হয় পুরুলিয়া-বরাকর জাতীয় সড়ক ৷ বিপর্যস্ত হয়ে যায় ট্রেন চলাচল, সড়ক পরিবহণ ব্যবস্থা ৷ রবিবার সকাল সাড়ে এগারোটা নাগাদ কুড়মি সম্প্রদায়ের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো প্রায় 101 ঘণ্টা পরে এই অবরোধ তুলে নেওয়ার কথা ঘোষণা করেন ৷
এর আগেও তফশিল উপজাতির দাবিতে আন্দোলনে করেছে কুড়মি সমাজ ৷ কিন্তু তাতে কোনও ফল না-হওয়ায় ফের বুধবার থেকে রেললাইনে বসে পড়েন কুড়মি সমাজের মানুষেরা ৷ রাজ্য সরকারের প্রতি তাদের অভিযোগ, তারা এই দাবির কথা বারে বারে রাজ্য সরকারকে জানিয়েছে । প্রশাসন এই দাবি কেন্দ্রের কাছে পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল ৷ কিন্তু কথা দিয়ে কথা রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ তাদের দাবি বিজেপি সরকারের কাছে পাঠানো নিয়ে টালবাহানা চলছে বলে অভিযোগ করেছিলেন কুড়মি সম্প্রদায়ের মুখ্য উপদেষ্টা অজিত প্রসাদ মাহাতো ৷
আজ অজিত প্রসাদ মাহাতো ইটিভি ভারতের প্রতিনিধিকে ফোনে জানান, "আপাতত পুলিশ প্রশাসনের চাপে পিছু হঠতে বাধ্য হচ্ছি ৷ তবে আমরা মুখ্যসচিবের সঙ্গে আলোচনায় বসার যে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, তা প্রত্যাখ্যান করছি ৷ পরে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে নামার চিন্তাভাবনা করছি ৷" প্রসঙ্গত, শনিবার জেলা প্রশাসনের তরফ থেকে রাজ্য সরকারের পক্ষে মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীর সঙ্গে বৈঠকে বসার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল ৷
আরও পড়ুন: সরকার প্রতিশ্রুতি রাখেনি', তফশিলি উপজাতির স্বীকৃতির দাবিতে আন্দোলনে কুড়মি সমাজ
কুড়মি সমাজের এই আন্দোলনের জেরে একাধিক ট্রেন বাতিল হয়ে যায় ৷ দক্ষিণ-পূর্ব রেলের তরফে জানানো হয়, 5 এপ্রিল থেকে শুক্রবার পর্যন্ত 244টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে ৷ এতে স্বভাবতই নিত্যযাত্রী সহ দূরপাল্লার বহু ট্রেনের যাত্রীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে ৷ আজ এই অবরোধ ওঠার ফলে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায় ৷