শুভেন্দুর বাড়িতে কি জাল সিআইডি, প্রশ্ন বিজেপির ; তদন্তে আস্থা তৃণমূলের

বুধবার কাঁথিতে শুভেন্দুর অধিকারীর বাড়িতে যায় সিআইডি ৷ তাঁর প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে সেখানে যান তদন্তকারীরা ৷ কথা বলেন শুভেন্দুর ভাই তথা তমলুকের সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ৷ এই নিয়ে তরজায় জড়িয়েছে তৃণমূল ও বিজেপি ৷

কাঁথি, 14 জুলাই : শুভেন্দু অধিকারীর প্রাক্তন দেহরক্ষীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর তদন্তে নেমেছে সিআইডি (CID) ৷ বুধবার বেলায় পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথিতে শুভেন্দুর বাড়িতে যান সিআইডির তদন্তকারীরা ৷ আর তা নিয়ে রাজনৈতিক টানাপোড়েন শুরু হয়ে গেল তৃণমূল কংগ্রেস (Trinamool Congress) ও বিজেপির মধ্যে ৷

বিজেপির (BJP) কাঁথি সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অনুপ চক্রবর্তীর কটাক্ষ, ‘‘জাল সিআইডি কি না দেখুন !’’ এই নিয়ে তিনি বিঁধেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও (Mamata Banerjee) ৷ বলেছেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীও জাল ৷ হেরে গিয়েও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ৷’’

অন্যদিকে এই নিয়ে পূর্ব মেদিনীপুরে যুব তৃণমূলের সভাপতি সুপ্রকাশ গিরির বক্তব্য, মৃতের পরিবার প্রকৃত তদন্ত চেয়েছে ৷ রাজ্য সরকার সিআইডিকে দায়িত্ব দিয়েছে ৷ সিআইডি তদন্তের জন্য যা যা করা উচিত করছে ৷ সকলের কাছে পরিষ্কার হওয়া উচিত যে এটা খুন ছিল নাকি আত্মহত্যা ছিল ৷

উল্লেখ্য, 2018 সালের 13 অক্টোবর গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হয় শুভেন্দু অধিকারীর (Suvendu Adhikari) তৎকালীন দেহরক্ষী শুভব্রত চক্রবর্তীর ৷ নন্দীগ্রামের বিধায়কের কাঁথির বাড়ি শান্তিকুঞ্জের লাগোয়া একটি ব্যারাক রয়েছে ৷ ওই ব্যারাকেই থাকতেন শুভব্রত ৷ সেখানেই তিনি গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ৷ তার পর তাঁকে কাঁথি হাসপাতাল ও পরে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় ৷ 14 অক্টোবর তিনি ওই হাসপাতালেই মারা যান ৷

সম্প্রতি শুভব্রত চক্রবর্তীর মৃত্যুরহস্যের সমাধানের দাবি নতুন করে উঠেছে ৷ সেই দাবি তুলেছেন তাঁর স্ত্রী সুপর্ণা কাঞ্জিলাল চক্রবর্তী ৷ কাঁথি থানায় তিনি নতুন করে অভিযোগ দায়ের করেন ৷ আর তাঁর স্বামীর মৃত্যুর প্রকৃত তদন্ত করার দাবি তোলেন ৷ তিনি কাঁথি (Contai) থানায় নতুন করে যে অভিযোগ দায়ের করেছেন, তাতে নাম রয়েছে চার জনের ৷ সেই চার জনের মধ্যে একজন নন্দীগ্রামের (Nandigram) বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী ৷

ঘটনার তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে ৷ এর আগে গত পরশু, সোমবার সিআইডির একটি তদন্তকারী দল পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদলে শুভব্রত চক্রবর্তীর বাড়িতে যান ৷ সেখানে তাঁর স্ত্রী ও অন্য পরিজনদের সঙ্গে আলাদাভাবে কথা বলেন ৷ তার পর বুধবার সিআইডি বিধানসভার বিরোধী দলনেতার (Leader of Opposition) বাড়িতেই পৌঁছে যায় ৷ সিআইডির চার সদস্যের একটি দল কাঁথির শান্তিকুঞ্জ (শুভেন্দুর বাড়ি) লাগোয়া ব্যারাকে যান ৷ সেখানে তাঁরা কথা বলেন তমলুকের সাংসদ তথা শুভেন্দুর ভাই দিব্যেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ৷

এই নিয়ে আগেই রাজনৈতিক প্রতিহিংসার অভিযোগ তুলেছেন শুভেন্দু অধিকারী ৷ বিজেপির অন্য অনেক নেতাও একই কথা বলছেন ৷ কিন্তু সেই অভিযোগ মানতে নারাজ সুপ্রকাশ গিরি ৷ তাঁর বক্তব্য, ‘‘অভিযোগ তো বাড়ির লোক করেছে ৷ এটা প্রমাণ হয়েছে যে দু-আড়াই বছর ধরে বাড়ির লোককে দমিয়ে রাখা হয়েছিল ৷ বিজেপি সিবিআই, ইডি দিয়ে হেনস্থা করে ৷ তৃণমূল কংগ্রেস এসব করে না ৷ আমরা ওই পরিবারের পাশে আছি ৷’’