ETV Bharat / state

BJP Factionalism: পঞ্চায়েতের আগে ভাঙনের জেরে অস্বস্তিতে বর্ধমানের বিজেপি নেতৃত্ব

author img

By

Published : Mar 24, 2023, 8:07 PM IST

বর্ধমান বিজেপির দু’জন পদাধিকারী ইস্তফা দিয়েছেন (Two BJP Leader Resigned) ৷ এর পর আরও গণ ইস্তফার ঘটনা ঘটতে পারে বলে আশঙ্কা ৷ এই পরিস্থিতিতে অস্বস্তিতে পড়েছে বর্ধমানের বিজেপি নেতৃত্ব ৷

BJP Factionalism
BJP Factionalism

বর্ধমান, 24 মার্চ: পঞ্চায়েত ভোটের (Panchayat Elections 2023) আগেই ভাঙন বর্ধমান জেলা বিজেপিতে । দলের সাংসদ, জেলা সভাপতি-সহ একাধিক নেতৃত্বের বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ তুলে সাংগঠনিক জেলা সহ-সভাপতি শ্যামল রায়, তফশিলি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রাজু পাত্র ইস্তফা দিলেন । এছাড়া আরও কিছু নেতা গণইস্তফা দিতে পারেন বলে বিজেপি সূত্রে খবর । ফলে দলীয় কোন্দল সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছে জেলা বিজেপি নেতৃত্ব । বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই দল বিরোধী কাজের জন্য শ্যামল রায়কে বহিস্কার করা হয়েছে ।

বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে, বিধানসভা নির্বাচনের পরে সিপিএম, তৃণমূল ছেড়ে একাধিক নেতা-কর্মী বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন । এর মধ্যে বেশ কিছু নেতা বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পরে দলীয় পদ পান । এর ফলে বিজেপির পুরনো দিনের কর্মীদের সঙ্গে ওই সব নেতা-কর্মীদের কোন্দল শুরু হয় (BJP Factionalism in Burdwan) । যা সামলাতে হিমসিম খায় জেলা নেতৃত্ব ।

ওই সূত্র আরও জানাচ্ছে যে এরপর বিজেপির জেলা সভাপতি অভিজিৎ তা-এর সঙ্গেও বিজেপির বেশ কিছু নেতার সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকে । ফলে বেশ কিছু নেতা দলে কোণঠাসা হয়ে পড়েন । এছাড়া বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ এস এস আলুওয়ালির বিরুদ্ধেও সরব হন বেশ কিছু নেতা-কর্মী । যা বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলে দেয় ।

পদত্যাগী বিজেপি নেতাদের দাবি, বিজেপির দলীয় কার্যালয় ক্লাবে পরিণত হয়েছে । বেশ কিছু নেতা আজ সেখানে বসে ছড়ি ঘোরাচ্ছেন । এছাড়া সিপিএম কিংবা অন্য দল থেকে আসা নেতারাই দলে সম্মান পাচ্ছেন । একদিন যাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করেছিল বিজেপি, আজ তাঁরাই দলের নেতা । পরিস্থিতি এমনই যে বর্ধমান সাংগঠনিক জেলা নিয়ে রীতিমতো বিব্রত রাজ্য নেতৃত্ব । তারা একাধিকবার দলের দ্বন্দ্ব মেটানোর চেষ্টা করেন । কিন্তু পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি ।

এরপরেই শুরু হয় ইস্তফা দেওয়ার পালা । বিজেপি সূত্রে খবর, সাংসদ হওয়ার পরে এস এস আলুওয়ালিয়াকে জেলায় সেভাবে দেখাই যায় না । ফলে জেলায় বিজেপির আন্দোলন সেভাবে জোরদার হয় না । এর মধ্যে যাঁদের হাত ধরে জেলা বিজেপি আন্দোলন কিছুটা হলেও সক্রিয় হচ্ছিল, সেই সময় বেশ কিছু সক্রিয় বিজেপি নেতা পদত্যাগ করায় সমস্যায় পড়তে হতে পারে গেরুয়া শিবিরকে ।

শ্যামল রায় বলেন, ‘‘আজ আমরা দলের কাছে সম্পদ নই । আজ দলের কাছে 38 শতাংশ ভোট ব্যাংক আছে ৷ তাই আজ আর আমাদের প্রয়োজন নেই । অথচ যখন মাত্র 4 শতাংশ ভোট ব্যাংক ছিল, তখন আমরাই ছিলাম দলের কাছে সম্পদ । আজ দলের জেলা সভাপতি ও সাংসদের ভাষায় আমরা অসম্পদ । সাংসদকে জেতানোর জন্য নাকি আমাদের কোনও ভূমিকা ছিল না !’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘যাঁদের বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য বিজেপির হয়ে ঝান্ডা ধরেছিলাম, অথচ আজ তাঁরাই বিজেপিতে উচ্চপদে আছেন । তাঁরাই ছড়ি ঘোরাচ্ছেন । এটা মেনে নেওয়া যায় না । আজ বর্ধমান জেলার বিজেপির সংগঠনের অবস্থা তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে । তার কারণ বিজেপির এই সাংসদ। দলকে এই কথা বারবার বলেছিলাম ৷ অথচ আমাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়নি ।’’ এই নিয়ে বিজেপির মুখপাত্র সৌম্যরাজ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বিষয়টি রাজ্য নেতৃত্ব দেখছে ।’’

আরও পড়ুন: তৃণমূলের কোন্দল, মন্ত্রীর ভূমিকা নিয়ে দলের অন্দরেই প্রশ্ন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.