দুর্গাপুর, 23 এপ্রিল: মাসখানেক আগে জরুরি কাজে কলকাতায় এসেছিলেন । কিন্তু, লকডাউনের জেরে আটকে পড়েন। এদিকে পরিবার রয়েছে দিল্লিতে। এই অবস্থায় কলকাতা থেকে হেঁটেই দিল্লি যাবেন বলে ঠিক করেন। কিন্তু, পথে দুর্ঘটনায় আহত হন। তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় পানাগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভরতি করেন এক স্থানীয় বাসিন্দা ও এক সিভিক ভলান্টিয়ার ।
দিল্লিতে একটি ক্যাটারিং সংস্থায় কাজ করেন বছর পঞ্চাশের সমীর হালদার। মাসখানেক আগে পরিবার ছেড়ে কলকাতায় আসেন জরুরি কাজে। তারপরেই লকডাউন ঘোষণা হয়। স্বভাবতই দিল্লি ফিরতে পারেননি সমীরবাবু। আটকে যান কলকাতাতেই। এদিকে, এতদিন কোনওরকমে চালাচ্ছিলেন, কিন্তু এখন সেই সম্বলও ফুরিয়েছে। অন্যদিকে, দিল্লিতে তাঁর পরিবার অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। তাই কলকাতা থেকে হেঁটে দিল্লি যাবেন বলে ঠিক করেন সমীরবাবু। সেই মতো বেরিয়েও পড়েন। মাঝে হাইওয়েতে হুগলি ও বর্ধমানের মাঝামাঝি এক জায়গায় পিছন থেকে একটি বাইক এসে তাঁকে ধাক্কা মারে। হাতে, পায়ে, মাথায় চোট পান। সেই সময় চিকিৎসার জন্য পথচলতি কয়েকজন তাঁকে টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। যদিও কোনও চিকিৎসক তাঁর চিকিৎসা করতে রাজি হননি বলে জানান তিনি । বাধ্য হয়ে আহত অবস্থাতেই ফের হাঁটতে শুরু করেন ।
বৃহস্পতিবার ক্লান্ত, অবসন্ন, অসুস্থ সমীর হালদারকে পানাগড়ে হাইওয়ের পাশে বসে থাকতে দেখেন স্থানীয় বাসিন্দা গুরমেজ সিং। তিনিই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে সবকিছু জানেন। পরে কাঁকসা থানায় খবর দেন। এরপর কাঁকসা থানা থেকে এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে পাঠানো হয় ঘটনাস্থানে। ওই সিভিক ভলান্টিয়ার বাইকে সমীর হালদারকে নিয়ে যান পানাগড় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে।
কাঁকসা থানা সূত্রে জানা গিয়েছে, আপাতত সমীর হালদারকে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে থাকতে বলা হয়েছে। এই শরীরে তাঁকে দিল্লি যেতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে পুলিশ।