ETV Bharat / state

99 Years Old Woman Story: সরকারি সম্মান পেলেও জুটছে না ভাতা, আক্ষেপ একশো ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার গলায়

author img

By

Published : Apr 30, 2023, 4:25 PM IST

99 এও সাবলীল বৃদ্ধা ৷ এখনও কাজ করেন যুবতীদের মতই । সম্মান পেয়েছেন সরকারের তরফে । কিন্তু এখনও পাননি বৃদ্ধভাতা । ভাঙ্গা ঘরেই দিন কাটে তাঁর । আশায় বসে সরকারি সাহায্যের ৷

Nadia 99 Year Old Woman Story
99 বছরের বৃদ্ধা পাননি ভাতা

সরকারি সম্মান না-পেয়ে আক্ষেপ একশো ছুঁই ছুঁই বৃদ্ধার গলায়

শান্তিপুর(নদিয়া), 30 এপ্রিল: বয়স 99 ৷ এখনও কাজের ক্ষেত্রে যুবতীদের টেক্কা দেবেন তিনি । নিজের হাতেই করেন সমস্ত কাজ ৷ শরীরে নেই কোনও রোগ ৷ নদিয়ার শান্তিপুর থানার বেলঘড়িয়া 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দা মানোদা বসাক সম্প্রতি পেয়েছেন রাজ্য সরকারের মহিলা কমিশন এবং শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের তরফে সম্মান ৷ কলকাতা নিয়ে গিয়ে তাঁকে ঘটা করে সেই সম্মান দেওয়া হয়েছে। তবে সম্মান পাওয়াটাই সার ৷ বৃদ্ধা কীভাবে দিন কাটাচ্ছেন, সেই খোঁজ কেউ রাখেনি। এই বয়সে এসেও সরকারের তরফে কোনও সাহায্য পাননি বলে অভিযোগ তাঁর ৷ এখনও পর্যন্ত হয়নি তাঁর বার্ধক্যভাতা ৷ ভাঙাচোরা টিনের বাড়িতে ছেলেদের নিয়ে বৃদ্ধার বাস ৷ বৃষ্টি হলেই ঘরের চাল দিয়ে জল পড়ে ভিজে যায় বিছানা । সরকারি সাহায্যের আশ্বাস মিললেও বাস্তবায়িত হয়নি কিছুই ৷

আর্থিক অনটনের মধ্যেই এখনও কাটছে দিন। এখনও টিনের ঘরেই বসবাস করেন তিনি । কয়েক দশকের সেই টিনে রয়েছে হাজারও ছিদ্র । তাই বৃ্দ্ধা আর্জি জানাচ্ছেন সরকারি সাহায্যের ৷ আক্ষেপের সুরে মানোদা বসাক জানান, সরকারের তরফে কোনও অনুদান এখনও তিনি পাননি । কোনও প্রকল্পের সুযোগ-সুবিধা তাঁকে দেওয়া হয়নি । পঞ্চায়েতের তরফে কখনও খোঁজ নেওয়া হয় না । তিনি বলেন, "ভাঙা ঘরেই আমি এখনও বসবাস করি ।"

Nadia 99 Year Old Woman Story
এখনও চরকা ঘোরাতে পাড়েন মানোদা বসাক

এ বিষয়ে তাঁর বড় ছেলে শ্যামল বসাক বলেন, "আর্থিক অনটনের মধ্যেই আমাদের দিন কেটেছে । আমি আর আমার ভাই সংসারের হাল ধরেছিলাম । বহুবার পঞ্চায়েতে কাগজ জমা দেওয়া হয়েছে কিন্তু কোনও লাভ হয়নি । আমরা ঘর থেকে শুরু করে সরকারি কোনও প্রকল্পের সুবিধা পায়নি । তবে 99 বছর বয়সে বার্ধক্যভাতার আশ্বাস দিয়েছে পঞ্চায়েত ৷ কিন্তু এখনও সেটা বাস্তবায়িত হয়নি ।"

Nadia 99 Year Old Woman Story
রাজ্য সরকারের তরফে সম্মান দেওয়া হয়েছে বৃদ্ধাকে

বেলঘড়িয়া এক নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তপতী বসাককে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তাঁর বক্তব্য, "অনেকের মুখে শুনেছি উনি বার্ধক্য ভাতা পাননি । অনেক সময় আধার কার্ডের সঙ্গে আঙুলের ছাপ না-মেলার কারণে এই সমস্যাটা হয়। বিষয়টা আমরা দেখছি।" পাশাপাশি তিনি বলেন, "ঘরের বিষয়টা পুরোটাই তালিকাভুক্ত থাকে । ওই পরিবারের কাগজে কোনও সমস্যা আছে কি না, সেটা খতিয়ে দেখব ৷ প্রয়োজন হলে উদ্বোধন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলে যত দ্রষ্ট সম্ভব পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করব ।"

আরও পড়ুন: রোগগ্রস্থ নদিয়ার মা-ছেলেদের পরিবারের পাশে দাঁড়ালেন স্বহৃদয় ব্যক্তি

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.