বহরমপুর, 28 মে : ভূতের ভয়ে ছাড়তে হল বাড়ি । শখের বাড়ি তৈরি করে সেখানে এক মাসও বাস করতে পারলেন না বাড়ির মালিক । তান্ত্রিক ডেকে হোমযজ্ঞ করেও ফল মেলেনি । শেষমেশ ভূতের ভয়ে পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছেন তাঁরা । হাট করে খোলা রয়েছে জানালা, দরজা । প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে রাতের অন্ধকারেই 'ভূতুড়ে' বাড়ির মোহ ত্যাগ করে চম্পট দিল গোটা । ভূতের আতঙ্ক গ্রাস করেছে প্রতিবেশীদেরও । ভূতে বিশ্বাস না করলেও একটা চাপা আতঙ্ক তাড়া করছে স্থানীয় মানুষদের ।
বহরমপুর পৌরসভার কলাবাগান পাড়ার ঘটনা । ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখতে সেখানে যায় বহরমপুর থানার পুলিশ । কিন্তু বাড়ির মালিক বা তাঁর পরিবারের সকলেই বেপাত্তা । জায়গা কিনে কলাবাগান পাড়ায় লাখ লাখ টাকা খরচ করে শখের বাড়ি তৈরি করেছিলেন বাড়ির মালিক । গৃহ প্রবেশের কয়েকদিন পর থেকেই ছেলে বউমার অস্বাভাবিকতা লক্ষ্য করতে শুরু করেন । তখন থেকেই সন্দেহ দানা বাঁধে । ওই বাড়িতে অশরীরি আত্মা রয়েছে বলে ধারণা হয় তাঁদের ৷ তারই ভয়ে একমাসও টিকতে পারলেন না শখের তৈরি সাজানো বাড়িতে ।
সত্যি মিথ্যের ব্যাখ্যা দিতে না পারলেও প্রতিবেশীদের দাবি, অশরীরী তিন আত্মার প্রভাব রয়েছে ওই বাড়িতে । দুষ্ট আত্মার প্রভাব কাটাতে ডাকা হয়েছিল তান্ত্রিক । তান্ত্রিকও বলেন, বাড়ির চৌহদ্দিতে রয়েছে তিনটি দুষ্ট আত্মা । অশরীরীর প্রভাব কাটাতে ঘটা করে শুরু হয় হোমযজ্ঞ । অবশেষে তান্ত্রিকও হার মানেন । তান্ত্রিকের বক্তব্য, এক আত্মাকে সরাতে পারলেও বাকি দুই আত্মাকে ওই বাড়ি থেকে সরানো তাঁর সাধ্যের বাইরে । এরপরই আরও চেপে বসে ভূতের ভয় ।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে 'না' মমতার, কারণ শুভেন্দু ?
বৃহস্পতিবার রাতেই পরিবার নিয়ে বাড়ি ছেড়ে পালান বাড়ির মালিক । তাঁরা কোথায় গিয়েছেন তার হদিশ নেই । এরপরই দ্রুত গতিতে আতঙ্ক ছড়াতে শুরু করে প্রতিবেশীদের মনে । তাঁদের দাবি, "দীর্ঘদিন থেকে এই এলাকায় বাস করছি । কোনওদিন ভয় লাগেনি । একজন জানালেন, ভূত বলে বিশ্বাস করি না । কিন্তু এখন গা ছমছম করে । কিছু একটা আছেই ।"
প্রতিবেশীদের চাপে ঘটনাস্থল খতিয়ে দেখে যায় বহরমপুর থানার পুলিশ । সদর গেটে তালা ঝুললেও বাড়ির বাকি দরজা জানালা হাট করে খোলা রয়েছে । মেঝেতে রয়েছে যজ্ঞের চিহ্ন । কিন্তু প্রতিবেশীদের চোখমুখ থেকে আতঙ্ক কাটাতে পারেনি পুলিশ । কলাবাগান পাড়া নিঝুম-নিস্তব্ধ । কবে এই আতঙ্ক কাটবে কেউ জানে না ।
