ETV Bharat / state

দলের বিধায়কের বিরুদ্ধেই খুনের হুমকির অভিযোগ কৃষ্ণেন্দুর

author img

By

Published : Feb 18, 2021, 2:15 PM IST

মালদায় ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল ৷ এবারে বিধায়কের বিরুদ্ধে খুনের হুমকির অভিযোগ আনলেন মালদা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চোধুরি ৷

কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি
কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরি

মালদা, 18 ফেব্রুয়ারি : তাঁকে খুন করার চক্রান্ত চলছে ৷ অভিযোগের তীর এক বিধায়কের দিকে ৷ এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ আনলেন মালদা জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণেন্দুনারায়ণ চৌধুরী ৷ এদিন তিনি বলেন, "ইংরেজবাজারের বিধায়ক আমাকে খুনের ষড়যন্ত্র করছেন ৷ " রীতিমতো সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এমনই দাবি করেছেন প্রাক্তন মন্ত্রী ৷ এমনকি গত পরশু রাতের ঘটনায় তিনি পুলিশের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন ৷ অপরদিকে, হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে কৃষ্ণেন্দুবাবু, জেলা যুব তৃণমূলের সভাপতি প্রসেনজিৎ দাস সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে ইংরেজবাজার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষ ৷ গোটা ঘটনা নিয়ে পুলিশি তদন্ত জারি রয়েছে ৷

আরও পড়ুন : বিজেপিতে যোগ দিলেন যশ দাশগুপ্ত

উল্লেখ্য, গত পরশু রাতে মালদা শহরের বেলতলা পার্কে নীহারবাবুর বাড়িতে হামলা চালায় কিছু দুষ্কৃতী ৷ বাড়ির ভিতর ও বাইরে বিভিন্ন জিনিস ভাঙচুর করা হয় ৷ নীহারবাবুর দাবি, দুষ্কৃতীরা তাঁকে খুন করার উদ্দেশ্যে এই হামলা চালায় ৷ কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরি ও প্রসেনজিৎ দাসের নেতৃত্বেই তাঁর বাড়িতে হামলা চালানো হয় বলে অভিযোগ করেন বিধায়ক ৷ নিজের বক্তব্যের সপক্ষে তিনি ঘটনার সময়কার সিসিটিভি ফুটেজও সামনে আনেন ৷ ওই ফুটেজে কৃষ্ণেন্দু ও প্রসেনজিতকেও দেখতে পাওয়া যায় ৷

ভিডিয়োতে শুনুন কৃষ্ণেন্দুর বক্তব্য

অপরদিকে, আজ সাংবাদিক বৈঠক করেন কৃষ্ণেন্দুবাবু ৷ তিনি বলেন, “দু’দিন আগে আমার কাছে এক দম্পতি কাঁদতে কাঁদতে আসে ৷ তাঁদের নাম প্রসেনজিৎ সাহা ও তুলি সাহা ৷ পেশায় তাঁরা জলের ব্যবসায়ী ৷ নীহার ঘোষ তাঁদের সেই ব্যবসা করতে দিচ্ছে না ৷ তাঁরা আমার ওয়ার্ডের বাসিন্দা ৷ আমি বিষয়টি দেখব বলে তাঁদের ফিরিয়ে দিই ৷ গত পরশু সকালে তাঁরা ফের আমার কাছে আসে ৷ তাঁরা বলে, নীহার ঘোষের ছেলেরা প্রসেনজিতকে প্রচণ্ড মেরেছে ৷ তাঁর স্ত্রীর গায়েও হাত তোলা হয়েছে ৷ সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি পুলিশকে জানাই ৷ ওই দম্পতি এনিয়ে ইংরেজবাজার থানায় একটি অভিযোগও দায়ের করে ৷ রাতে ফের কিছু ছেলে ওদের উপর হামলা করে ৷ তখন 10 নম্বর ওয়ার্ডের ছেলেরা তাঁদের তাড়া করে ৷ খবর পেয়ে আমি আর প্রসেনজিৎ দেহরক্ষী নিয়েই সেখানে যাই ৷ নিজের ওয়ার্ডের ছেলেদের বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে নিয়ে আসি ৷ তারপর সংবাদমাধ্যমে দেখতে পাই, নীহার ঘোষ পুলিশের সামনে আমার উদ্দেশ্যে বলছে, বাড়ি ঢুকে টেনে মার্ডার করে দেব ৷ সেদিন মহদিপুর ও কালিয়াচকের কিছু নামকরা সমাজবিরোধী ওর বাড়িতে একটি গোপন বৈঠক করে ৷ আমাকে হত্যা করতে সেই বৈঠক হয় ৷ নীহার ঘোষ পুলিশের সামনে আমাকে মার্ডার করার কথা বললেও পুলিশ কোনও ব্যবস্থা নেয়নি ৷ ভোট আসলেই নীহার ঘোষ বারবার রং বদল করে ৷ আগের ভোটে যাদের সমর্থনে জিতল, ভোটের পর সেখান থেকে সরে এল ৷ মুকুল রায় ও শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে ওর এখনও যোগাযোগ আছে ৷ তাঁদের নির্দেশ অনুযায়ী সে চলছে ৷ আমরা এর প্রতিকার চাই ৷ ভোটের আগে আমরা আতঙ্কিত, যে কোনও সময় আমাদের উপর হামলা হতে পারে ৷”

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.