ETV Bharat / state

Murder in Newtown: চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নিউটাউনে গিয়েছিলেন সাজিদ, ফিরছে তাঁর মৃতদেহ

author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Oct 6, 2023, 5:41 PM IST

ডাক্তারি পড়ার প্রস্তুতি নিতে কলকাতায় গিয়েছিলেন সাজিদ ৷ আজ সকালে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায় নিউটাউনের ভাড়াবাড়িতে ৷ পরিবারের অভিযোগ, সাজিদকে তাঁর বন্ধুরাই অপহরণ করে খুনে করেছে ৷

ETV Bharat
মালদায় থাকতেন নিউটাউনে খুন হওয়া সাজিদ

চিকিৎসক হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে নিউটাউনে গিয়েছিলেন সাজিদ

মালদা, 6 অক্টোবর: বন্ধুরাই ছেলেকে তুলে দিয়েছিল অপহরণকারীদের হাতে অভিযোগ, খুন হওয়া সাজিদের পরিবারের ৷ শুক্রবার নিউটাউনের সেকেন্ড লেনের তারুলিয়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে ঘরের খাটের নীচে থাকা ট্রলি ব্যাগ থেকে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করেছে বিধাননগর নর্থ থানার পুলিশ ৷ মুখে সেলোটেপ আঁটা, হাত-পা বাঁধা অবস্থায় তাঁর দেহ পাওয়া গিয়েছে ৷ আজ সকালে এই খবর জানতে পেরেছেন তাঁর পরিবারের সদস্যরা ৷ সম্ভবত, আজ রাতেই সাজিদের দেহ ফিরবে তাঁর বাড়িতে ৷

সাজিদ হোসেন (19) কালিয়াচকের বীরনগর 2 গ্রামপঞ্চায়েতের গুরুটোলা গ্রামে থাকতেন ৷ তাঁর বাবা মোক্তার হোসেন বীরনগর হাইস্কুলের শিক্ষক ৷ একমাত্র ছেলে সাজিদ ছোট থেকে পড়াশোনায় ভালো বলে এলাকায় পরিচিত ৷ ছেলে চিকিৎসক হোক, এই ইচ্ছে ছিল শিক্ষক বাবার ৷

ডাক্তারি পড়ার প্রবেশিকা পরীক্ষায় সুযোগ পেতে প্রস্তুতি নিচ্ছিল সাজিদ ৷ তাই তাঁকে কলকাতার একটি নামী কোচিং সেন্টারে ভরতিও করেছিলেন তাঁর বাবা ৷ পড়াশানোর জন্য নিউটাউনে একটি ভাড়াবাড়িতে থাকতেন সাজিদ ৷ তাঁর সঙ্গে থাকতেন আরও চার পড়ুয়া ৷

আরও পড়ুন: হাত-পা বাঁধা, মুখে সেলোটেপ; সুটকেস থেকে উদ্ধার পড়ুয়ার দেহ

বুধবার থেকে হঠাৎ নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিলেন সাজিদ ৷ বৃহস্পতিবার নিউটাউন থানায় তাঁর নামে মিসিং ডায়েরি করে পড়ুয়ার পরিবার ৷ আজ সকালে নিউটাউনে তাঁর ঘরের খাটের নীচ থেকে দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ৷

এই ঘটনায় সাজিদের বন্ধুদেরই দোষারোপ করছেন মাসি আকলেমা বিবি ৷ তিনি বলেন, "মেডিক্যালের কোচিং নিতেই ছেলেটা কলকাতায় গিয়েছিল ৷ গত পরশু বেলা তিনটে থেকে ছেলের হদিশ নেই ৷ ওর বন্ধুরাই কিডন্যাপ করেছিল ৷ রাত আড়াইটের সময় আমার বোনকে ফোন করে জানানো হয়, সাজিদকে পাওয়া যাচ্ছে না ৷ আমার মেয়ে কলকাতায় থাকে ৷ বোন ওকে ফোন করে গোটা ঘটনা জানায় ৷"

তিনি আরও জানান, তাঁর ভগ্নিপতির ফোনে সাজিদের মুখ বাঁধা ছবি পাঠিয়ে 30 লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবি করা হয় ৷ ওই টাকা দিলে সাজিদকে ছাড়া হবে বলেও জানানো হয় ৷ আকলেমা বিবি বলেন, "সাজিদের বাবা সেই টাকা দিতে রাজিও ছিলেন ৷ এদিকে খবর পেয়ে রাত তিনটের সময় আমার মেয়ে সাজিদদের ভাড়াবাড়িতে যায় ৷ সেখানে তখন কেউ ছিল না ৷ পরে সাজিদের বন্ধুদের একজন জানায়, ওদের সঙ্গে সাজিদ ঘুরতে গিয়েছিল ৷ কিন্তু সে আগেই ঘরে ফিরে আসে ৷ এদিকে ওই ঘরে সাজিদের 15-16 জন বন্ধু আমার মেয়েকে ঘিরে বসেছিল ৷ মেয়ে পুলিশে খবর দিতে চাইলেও তারা বাধা দেয় ৷ বন্ধুরাই সাজিদকে খুনের জন্য দায়ী ৷"

স্বভাবতই ছেলের মৃত্যুর খবরে ভেঙে পড়েছেন মা শামিমাদেবী ৷ তিনি বলেন, "ওর বন্ধুরা স্বীকার করেছে, ওরাই আমার ছেলেকে অপহরণ করেছিল ৷ তবে আমি বিশদে কিছু জানি না ৷ ওই ফ্ল্যাটে পড়ুয়ারাই থাকত ৷ ওদের রুমে পাঁচজন থাকত ৷ ছেলেকে নিটের কোচিং নিতে কলকাতা পাঠিয়েছিলাম ৷ এভাবে যে ছেলেটা আমাদের ছেড়ে চলে যাবে ভাবতে পারিনি ৷"

আরও পড়ুন: কাঁকসার জঙ্গলে আদিবাসী কিশোরীকে গণধর্ষণ ! নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.