মালদা, 8 জুন : চলতি মরশুমে এখনও মালদা জেলায় বর্ষা ঢোকেনি। তবে উত্তরবঙ্গে বৃষ্টির প্রভাবে এর মধ্যেই মহানন্দার জল বাড়তে শুরু করেছে। এই জেলায় মূলত অগস্ট মাস থেকে বন্যার প্রকোপ শুরু হয় (Malda administration is preparing for flood situation in advance)।
গঙ্গা-ফুলহর-মহানন্দার জল ফুলতে শুরু করলে তার প্রভাব পড়ে শাখানদী গুলির উপরেও। গত দু'বছর জেলায় নদী ভাঙন দেখা দিলেও বন্যা হয়নি। তবে এবার জেলায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে বলেই মনে করছে প্রশাসন। এরই মধ্যে উত্তরবঙ্গে বর্ষার বৃষ্টি শুরু হয়ে গিয়েছে। এরপর উত্তর ভারতে মৌসুমী বায়ু সক্রিয় হবে। এই দুই জায়গায় অতিভারি বৃষ্টি হলে তার প্রভাব পড়বে জেলার নদীগুলিতে। বর্ষা মোকাবিলায় এখন থেকেই তাঁরা তৈরি হচ্ছেন বলে এমনটাই জানিয়েছেন মালদা জেলা পরিষদের সভাধিপতি এটিএম রফিকুল হোসেন।
তিনি বলেন, "গতমাসের শেষে জেলায় একটি উন্নয়নমূলক বৈঠক হয়েছে। জেলাশাসক ছাড়াও ওই বৈঠকে পুলিশ সুপার, অতিরিক্ত জেলাশাসক-সহ প্রতিটি ব্লকের বিডিও উপস্থিত ছিলেন। ওই বৈঠকে বন্যা প্রভাবিত ব্লকগুলিকে নিয়ে বিশেষ আলোচনা হয়েছে। বিশেষত রতুয়া 2 নম্বর, কালিয়াচক 2 ও 3 নম্বর, হরিশ্চন্দ্রপুর 2 নম্বর ব্লকগুলির বিডিওকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। বন্যা হওয়ার পর আমাদের ছোটাছুটি না-করে এখন থেকেই আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে।"
আরও পড়ুন : পৌর উদ্যানের হাঁটা পথে বসবে শুধুই গ্রাস টাইলস
তিনি আরও বলেন, "বন্যা প্রভাবিত ব্লকগুলির বিডিওদের পানীয় জল, স্বাস্থ্য পরিষেবা, ত্রাণ প্রভৃতি তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র যদি পর্যাপ্ত মাত্রায় মজুত না থাকে, তা আগে জানাতে বলা হয়েছে। গত পরশুই নতুন জেলাশাসক দায়িত্ব নিয়েছেন। গতকাল তাঁর সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বন্যা মোকাবিলার কাজ কতটা এগিয়েছে, তা সরেজমিনে খতিয়ে দেখতে জেলাশাসককে সঙ্গে নিয়ে আমি আগামী সাতদিনের মধ্যেই বিভিন্ন ব্লক পরিদর্শন শুরু করব। এই মুহূর্তে জেলায় 4-5টি ফ্লাড সেন্টার রয়েছে। গত বছর রতুয়া 2 নম্বর ব্লকে নতুন একটি ফ্লাড সেন্টার খোলা হয়েছে। সেগুলিকে তৈরি রাখতে বলা হয়েছে। গত দু'বছর জেলায় বন্যা হয়নি। এবার বন্যা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তাই আমরা আগে থেকেই তৈরি থাকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছি।"