ETV Bharat / state

Erosion of Ganges বাড়ি ও জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীতে, জলস্তর বৃদ্ধিতে রুদ্রমূর্তিতে গঙ্গা

author img

By

Published : Aug 23, 2022, 6:03 PM IST

erosion-of-ganges-becoming-nightmare-for-malda-residents
Erosion of Ganges বাড়ি ও জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীতে, জলস্তর বৃদ্ধিতে রুদ্রমূর্তিতে গঙ্গা

মালদার (Malda) কালিয়াচকের দুর্গারামটোলা গঙ্গার ভাঙন (Erosion of Ganges) হয় গতকাল, সোমবার সন্ধ্যায় ৷ গঙ্গা অন্তত দেড়শো মিটার ভিতরে চলে এসেছে বলে খবর । ভাঙন আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা ৷

মালদা, 23 অগস্ট : গঙ্গার ভাঙন (Erosion of Ganges) শুরু হয়েছিল অগস্ট শুরু হতেই । মালদার (Malda) মানিকচক থেকে সেই ভাঙন ছড়িয়ে পড়েছে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লক পর্যন্ত । প্রতিদিন নদীগর্ভে তলিয়ে যাচ্ছে কৃষিজমি, বসত বাড়ি । ইতিমধ্যেই কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকে গঙ্গা গিলে নিয়েছে 18টি বাড়ি । আজ ফের ভাঙন শুরু হয়েছে মানিকচকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর এলাকায় ।

erosion-of-ganges-becoming-nightmare-for-malda-residents
মালদায় নদী ভাঙন

দু’বছর আগে কালিয়াচক 3 নম্বর ব্লকের বীরনগর 1 নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের দুর্গারামটোলা ও ভীমাটোলায় গঙ্গার ভাঙনে অন্তত একশো বাড়ি ধ্বংস হয়েছিল । এবারও দুর্গারামটোলায় ভাঙন শুরু হয়েছে । ইতিমধ্যে তলিয়ে গিয়েছে 16টি বাড়ি ৷ আতঙ্কে বাড়িঘর ছেড়ে সরে যেতে শুরু করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা । গতকাল সন্ধে পর্যন্ত গঙ্গা অন্তত দেড়শো মিটার ভিতরে চলে এসেছে ।

erosion-of-ganges-becoming-nightmare-for-malda-residents
মালদায় নদী ভাঙন

আজ ভোর থেকে ভাঙন বন্ধ থাকলেও নদীর জলস্তর বাড়তে থাকায় যে কোনও মুহূর্তে গঙ্গা আবারও রুদ্রমূর্তি ধরতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন সবাই । গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সীমা রায় হালদার জানিয়েছেন, 2020 সালের ভাঙনে বিপর্যস্ত মানুষজন সবাই এখনও পুনর্বাসন পাননি । তারই মধ্যে ফের নতুন করে ভাঙন শুরু হল । তাঁরা পুরো বিষয়টি ব্লক অফিসে জানিয়েছেন ।

erosion-of-ganges-becoming-nightmare-for-malda-residents
মালদায় নদী ভাঙন

এদিকে আজ সকালে গঙ্গার তীব্র ভাঙন দেখা গিয়েছে মানিকচক ব্লকের উত্তর চণ্ডীপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের কেশরপুর এলাকায় । গত কয়েকদিন ধরে অল্পবিস্তর ভাঙন চললেও আজ সকালে তার তীব্রতা বাড়ে । প্রায় 100 মিটার ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গিয়েছে । গঙ্গাগর্ভে নদীবাঁধের একাংশও । এভাবে ভাঙন চলতে থাকলে গোটা বাঁধটাই এবার তলিয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন গ্রামবাসীরা । বাঁধ বাঁচাতে সেচ দফতর মাটির বস্তা নদীতে ফেলতে শুরু করলেও তাতে খুশি নন স্থানীয়রা । তাঁরা জানাচ্ছেন, বালি বা মাটির বস্তা দিয়ে কখনই বাঁধ রক্ষা করা যাবে না । এর জন্য ভাঙনরোধের স্থায়ী কাজের প্রয়োজন ।

স্থানীয় বাসিন্দা প্রদীপ মণ্ডল বলছেন, “বাঁধের চার থেকে পাঁচ রশি (দড়ির মাপ, প্রায় 70 মিটার) ইতিমধ্যেই ভেঙে গিয়েছে । নদী এখনও বাঁধ কাটছে । নতুন করে তিন রশি এলাকা নদীতে চলে গিয়েছে । অথচ প্রশাসনের কেউ এখনও বাঁধ পর্যবেক্ষণে আসেনি । সেচ দফতরের লোকজন এসে বস্তা ফেলার কাজ দেখে চলে যায় । কিন্তু মাটি ভর্তি বস্তা নদীতে ফেলে বাঁধ বাঁচানো যাবে না ।”

বাড়ি ও জমি তলিয়ে যাচ্ছে নদীতে, জলস্তর বৃদ্ধিতে রুদ্রমূর্তিতে গঙ্গা

আরেক গ্রামবাসী শেফালি মণ্ডলের বক্তব্য, “নদী আগে অনেক দূরে ছিল । কাটতে কাটতে গ্রামের ভিতরে চলে এসেছে । ভাঙনের ভয়ে আমরা পাকা ঘর তৈরি করতে পারি না । চাটাইয়ের ঘর তৈরি করে বসবাস করি । ভাঙনের আতঙ্কে ঘরের পুরুষরা বাইরে কাজে যেতে পারে না । রাতে ঠিকমতো ঘুমোতে পারি না । মাটির বস্তা ফেলে বাঁধ বাঁচানোর চেষ্টা হচ্ছে বটে, কিন্তু তাতে কোনও লাভ হবে না ।”

জেলাশাসক নীতিন সিংঘানিয়া জানিয়েছেন, গঙ্গা ভাঙনের উপর প্রতিনিয়ত নজর রাখা হচ্ছে । নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় কিছু এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে । প্রশাসন সতর্ক রয়েছে । নদী তীরবর্তী এলাকার মানুষকে নিরাপদ জায়গায় সরে যাওয়ার আবেদন জানানো হয়েছে ।

আরও পড়ুন : নিষিদ্ধ প্লাস্টিক বিক্রি রুখতে অভিযানে মালদা জেলা প্রশাসন

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.