ETV Bharat / state

Mango Trees Cutting Controversy: মুকুল ভরতি 40টি আমগাছ কেটে বিতর্কে মালাদা বনদফতর

author img

By

Published : Mar 3, 2023, 9:09 PM IST

Mango Trees Cutting Controversy
আমগাছ কেটে বিতর্কে মালাদা বনদফতর

বনদফতরে অনুমতিতে মুকুল ভরতি 40টি আম গাছ কেটে ফেলা নিয়ে বিতর্ক (Mango Trees Cutting Controversy in Malda)৷ বনদফতরের ভূমিকায় সরব শাসক ও বিরোধী দুই শিবির ৷ প্রশ্ন উঠেছে কীভাবে একসঙ্গে এতগুলো গাছ কেটে নেওয়া হয়েছে ৷ বনদফতরই বা কী করে এত গাছ একসঙ্গে কাটার অনুমতি দিয়েছে ?

মুকুল ভরতি 40টি আম গাছ কেটে ফেলা হয়েছে

মালদা, 3 মার্চ: ভরা মরশুমে কেটে ফেলা হল 40টি মুকুলভর্তি আমগাছ (Malda News)৷ তাও আবার রীতিমতো বন দফতরের অনুমতি নিয়ে৷ কীভাবে বন দফতর একসঙ্গে এত গাছ কাটার অনুমতি দিল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ৷ এ নিয়ে সরব হয়েছে রাজ্যের শাসক ও বিরোধীরাও ৷ যদিও বিরোধীদের দাবি, তৃণমূলের চাপে বাধ্য হয়ে বন দফতর এই অনুমতি দিয়েছে ৷ যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে ঘাসফুল শিবির ৷ গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন জেলা বনাধিকারিক ৷ ঘটনাটি ঘটেছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রামনগর গ্রামে ৷

মালদার অর্থনীতির ভিত্তি আমচাষ ৷ এই সময় সেই চাষের ভরা মরশুম ৷ জেলার 95 শতাংশের বেশি আমগাছে এবার অসম্ভব ভালো মুকুল এসেছে ৷ অনেক গাছে আমের ছোট গুটিও চোখে পড়ছে ৷ সেই সময় একসঙ্গে এতগুলো আমগাছ কাটার ঘটনা সাড়া ফেলেছে হরিশ্চন্দ্রপুরে ৷ দিনের বেলার বনদফতরের অনুমতি পত্র হাতে নিয়ে কাটা হচ্ছে আম গাছ ৷ গাছ কাটার বৈধ অনুমতি পত্র দেখে পুলিশ ঘটনাস্থলে এলেও ফিরে যেতে হয়েছে ৷


বন দফতরের নিয়ম অনুযায়ী একসঙ্গে 3টির বেশি আমগাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হয় না ৷ সেক্ষেত্রেও গাছ কাটার আগে ওই জায়গায় সম-সংখ্যক নতুন চারা বসাতে হবে ৷ তবেই পুরোনো গাছ কাটার অনুমতি পাওয়া যাবে ৷ কিন্তু এক্ষেত্রে সেই নিয়ম মানা হয়নি বলেই অভিযোগ তুলেছেন বিজেপির জেলা কমিটির সদস্য কিষান কেডিয়া ৷ তিনি বলেন, "এখানে বন দফতর কটা গাছ কাটার অনুমতি দিয়েছে সেটা দেখা প্রয়োজন ৷ কিন্তু যখন আমগাছ মুকুলে ভর্তি, তখন বন দফতর গাছ কাটার অনুমতি দিল কীভাবে ? আম হয়ে যাওয়ার পরেও তো গাছ কাটার অনুমতি দেওয়া যেত ! আসলে এখন তৃণমূলের মধ্যে অনেক গোষ্ঠী ৷ একটি গোষ্ঠী গাছ কাটার বিরোধিতা করছে, আরেকটি গোষ্ঠী গাছ কাটার অনুমতি পাইয়ে দিচ্ছে ৷ চোখের সামনে এই ঘটনা ঘটে চললেও প্রশাসন নীরব ৷ শাসকদলের মদত না থাকলে এমন ঘটনা ঘটতে পারে না ৷ গাছ কাটার সময় সেখানে নতুন গাছ লাগানো হচ্ছে কিনা, সেটাও দেখা দরকার ৷ তাছাড়া একসঙ্গে 40টি গাছ কাটার অনুমতি কখনও দেওয়া যায় না ৷ এর সঙ্গে অবৈধ লেনদেন জড়িয়ে রয়েছে ৷ কাটমানি পেয়ে বন দফতর এই অবৈধ অনুমতি দিয়েছে ৷ এতে পরিবেশের ভারসাম্যও নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ৷"

আরও পড়ুন: রঘুনাথপুরে অবৈধ বৃক্ষচ্ছেদন, বিপুল পরিমাণ শালকাঠ বাজেয়াপ্ত বনদফতরের

নির্বিচারে গাছ কাটার বিরোধিতা করেছেন জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক বুলবুল খানও ৷ এই প্রসঙ্গেই তিনি বলেন, "অবৈধভাবেই আমগাছগুলি কাটা হচ্ছে ৷ গাছ কেটে সেই জমি প্লট করে বিক্রি করা হচ্ছে ৷ নিয়ম অনুযায়ী একসঙ্গে তিনটির বেশি গাছ কাটা যায় না ৷ তাও সেই গাছ কাটার আগে নতুন চারাগাছ লাগাতে হবে ৷ কী করে এখানে একসঙ্গে 40টি মুকুলভর্তি আমগাছ কাটার অনুমতি দেওয়া হল তা নিয়ে আমি এখানকার রেঞ্জারের সঙ্গে কথা বললাম ৷ তিনি পঞ্চায়েত প্রধানের দিকে আঙুল তুলছেন ৷ কিন্তু প্রধান তো বন দফতরে চাকরি করেন না ! সেটা তো রেঞ্জার করেন ৷ তবে এখনই যদি অবৈধভাবে গাছ কাটা বন্ধ না করা যায়, তবে হরিশ্চন্দ্রপুরের ভবিষ্যৎ খুব খারাপ ৷"

এ বিষয়ে বন দফতরের হরিশ্চন্দ্রপুর রেঞ্জের কোনও আধিকারিক মন্তব্য করতে চাননি ৷ তবে বিষয়টি জানার পর জেলা বনাধিকারিক বি সিদ্ধার্থ জানিয়েছেন, তিনি খোঁজখবর নিচ্ছেন ৷ প্রয়োজনে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.