ETV Bharat / state

চিকিৎসা চলাকালীন 2 বার কোরোনা সংক্রমণ, 1 লাখ ছাড়ের নির্দেশ হাসপাতালকে

author img

By

Published : Oct 6, 2020, 2:05 PM IST

hospital
hospital

দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন 67 বছরের ওই প্রৌঢ়া । ভরতি ছিলেন 105দিন । 1 লাখ 8 হাজার টাকা ছাড় দিতে বলল স্বাস্থ্য কমিশন । অর্থাৎ, প্রৌঢ়ার পরিবারের থেকে বাকি 1 লাখ 8 হাজার টাকা নিতে পারবে না হাসপাতাল ।

কলকাতা, 6 অক্টোবর : 105 দিনে প্রৌঢ়ার চিকিৎসা খরচ বাবদ প্রায় 31 লাখ টাকা বিল করেছিল বেসরকারি হাসপাতাল । প্রায় সব টাকাই ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জমা করে প্রৌঢ়ার পরিবার । বাকি থাকা 1 লাখ 8 হাজার টাকা ছাড় দিতে বলল স্বাস্থ্য কমিশন । অর্থাৎ, প্রৌঢ়ার পরিবারের থেকে বাকি 1 লাখ 8 হাজার টাকা নিতে পারবে না হাসপাতাল ।

দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি ছিলেন 67 বছরের ওই প্রৌঢ়া । ভরতি ছিলেন 105দিন । এই সময়ের মধ্যে দু'বার তিনি COVID-19-এ আক্রান্ত হন । ভেন্টিলেশনে থাকাকালীন দু'বার কোরোনায় আক্রান্ত হওয়ার নৈতিক দায়িত্ব হাসপাতালকে নিতে হবে । এই দাবি জানিয়ে ওয়েস্ট বেঙ্গল ক্লিনিক্যাল এস্টাবলিশমেন্ট রেগুলেটরি কমিশন (WBCERC)-এ অভিযোগ দায়ের করেন পরিজনরা । প্রৌঢ়ার চিকিৎসার খরচ হিসাবে 31 লাখ টাকার বিল করা হয় ওই হাসপাতালে ।

প্রৌঢ়া যাদবপুরের সন্তোষপুর এলাকার বাসিন্দা । বার্ধক্যজনিত কারণে বিভিন্ন ধরনের সমস্যায় আক্রান্ত । পাশাপাশি তিনি শ্বাসকষ্ট এবং কিডনি সংক্রান্ত সমস্যায়ও আক্রান্ত । 14 জুন ঢাকুরিয়ার একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভরতি করা হয় ।

4 সেপ্টেম্বর শিকাগো থেকে প্রৌঢ়ার ছেলে কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেন । তিনি জানান, দক্ষিণ কলকাতার বেসরকারি ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন প্রৌঢ়া । তিনি দু'বার কোরোনায় আক্রান্ত হয়েছেন । এই দু'বার তিনি সংক্রমণ মুক্তও হয়েছেন । সংক্রমণের দায়িত্ব ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের নেওয়া উচিত ।

5 অক্টোবর মামলার প্রথম শুনানি ছিল । সেদিনই মামলার নিষ্পত্তি করা হয়েছে । শিকাগো থেকে মামলায় অনলাইনে অংশ নেন প্রৌঢ়ার ছেলের স্ত্রী । কমিশন জানতে পারে, 105 দিনে তাঁর চিকিৎসার খরচ হিসাবে প্রায় 31 লাখ (30.74 লাখ) টাকার বিল করা হয়েছে । 105 দিন পর ওই হাসপাতাল থেকে এই প্রৌঢ়াকে ছুটি করিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় । ছোটো একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করানো হয়েছে ।

শুনানিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, প্রায় 31 লাখ টাকার মধ্যে 25 লাখ টাকা বিমা সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া গিয়েছে । বাকি টাকা থেকে 4 লাখ টাকা ছাড় দেওয়া হয়েছে । আর কোনও টাকা ছাড় দেওয়ার সুযোগ নেই । বিলের সব টাকা পেয়ে গিয়েছে ওই হাসপাতাল ।

দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পরে কমিশন জানায়, প্রৌঢ়ার পরিজনরা দুটি পৃথক চেকের মাধ্যমে 58 এবং 50 হাজার টাকা হাসপাতালে জমা দিয়েছেন । ওই দুটি চেক পোস্ট ডেটেড । কমিশন জানায়, এই দুটি চেক ওই হাসপাতাল যেন ডিপোজ়িট না করে । দুটি চেক মিলিয়ে 1 লাখ 8 হাজার টাকা । এই পরিমাণ অর্থ প্রৌঢ়ার পরিজনদের ছাড় দেওয়ার জন্য হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে রাজ্যের স্বাস্থ্য কমিশন ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.