কলকাতা, 28 নভেম্বর: ত্রিপুরা পৌর নির্বাচনে (Tripura Municipal Election Result 2021) নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়েছে বিজেপি (BJP Wins Tripura Municipal Election 2021) । একই সঙ্গে তৃণমূল, সিপিএম এবং কংগ্রেসের মধ্যে বিরোধী ভোট ভাগাভাগি হয়ে যাওয়ার ইঙ্গিতও স্পষ্ট । এমন পরিস্থিতে বৃহত্তর স্বার্থে বিরোধী ঐক্য বজায় রাখার পক্ষেই সওয়াল করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা । কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে পারস্পরিক সংঘাত অব্যাহত । এ বার তা আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে গেলেন সিপিএম-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজন চক্রবর্তী । তাঁর অভিযোগ, বিরোধী ভোট যাতে ভাগাভাগি হয়ে যায়, তার জন্য পরিকল্পনা করেই ত্রিপুরায় তৃণমূলকে সঙ্গে নিয়ে নেমেছিল বিজেপি ।
রবিবার ত্রিপুরা পৌর নির্বাচবনের ফলাফল প্রকাশ হয়েছে । তাতে 334টি ওয়ার্ডের মধ্যে 329টিতেই জয়ী হয়েছে বিজেপি । সিপিএম তিনটি এবং তৃণমূল একটি ওয়ার্ডে জয়ী হয়েছে । যদিও একাধিক ওয়ার্ডে বিজেপি প্রার্থীর প্রাপ্ত ভোটকে ছাড়িয়ে গিয়েছে তিন বিরোধী দলের সম্মিলিত প্রাপ্ত ভোট । সেই নিয়ে কাটাছেঁড়ার মধ্যই বিকেলে কলকাতায় ত্রিপুরা নিয়ে মুখ খোলেন সুজন (Sujan Chakraborty on Tripura Municipal Election 2021)। তিনি বলেন, ‘‘তৃণমূলকে সঙ্গে করে ভোট ভাগাভাগি করে ভোট জিততে চায় বিজেপি ৷ গত সাড়ে তিন বছর ধরে ত্রিপুরায় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে ভোটের পরিস্থিতি যে নেই, তা সকলেই দেখেছেন । এখানে 2018 সালে যা হয়েছে, 2015 সালে পৌর নির্বাচনে যা হয়েছে, তারই জলছবি ত্রিপুরার নির্বাচন । ভোট হলে হারবে, তাই ভোট লুঠ হয়েছে ৷ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় 34 শতাংশ, আর বাকিটা একতরফা ভোট এবং গণনা করে জয় ৷’’
দিল্লিতে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সাক্ষাতের প্রসঙ্গ টেনে সুজন অভিযোগ করেন, ‘‘বিজেপি বিরোধী ভোট ভাগ হয়েছে । মোদি-মমতা বৈঠক করলেন । সেখানে কী হল, তা ওঁরাই জানেন ৷ ত্রিপুরায় বিজেপির পরেই যাতে তৃণমূল থাকে, সেই চেষ্টাই করা হয়েছে ৷ এর মধ্যে সিপিএম লড়াই করে গিয়েছে ৷ দলের কর্মীরা আক্রান্তও হয়েছেন ৷ বিরোধী ভোট কেমন করে ভাগ হল, তা মোদি-মমতা বৈঠক এবং আরএসএস সংযোগ বিশ্লেষণ করলেই বোঝা যাবে ৷’’
অন্য দিকে, অভূতপূর্ব সন্ত্রাস করে, নির্বাচন কমিশনের উদাসীনতা এবং পুলিশের ব্যর্থতাকে কাজে লাগিয়েই ত্রিপুরায় বিজেপি জয়ী হয়েছে বলে অভিযোগ ত্রিপুরায় বামফ্রন্টের আহ্বায়ক নারায়ণ করের ।