ETV Bharat / state

আস্থাভোট চেয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বাম ও কংগ্রেসের

author img

By

Published : Dec 31, 2020, 7:07 PM IST

রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য কয়েকবার বাম-কংগ্রেসের তরফে যৌথভাবে চিঠিও দেওয়া হয় ।

মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের
মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি বিরোধীদের

কলকাতা, 31 ডিসেম্বর : সরকারের উপর থেকে বিধায়কদের আস্থা উঠে গিয়েছে । এই অভিযোগের ভিত্তিতে অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন বসিয়ে আস্থা ভোটের দাবি জানালেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতারা । এই মর্মে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী যৌথভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন । রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য কয়েকবার বাম-কংগ্রেসের তরফে যৌথভাবে চিঠি দেওয়া হয় ।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাজ্য, দেশ তথা গোটা বিশ্ব কোরোনা প্যানডেমিকের মধ্যেও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিক কাজকর্ম করার চেষ্টা চলছে । রাজনৈতিক দলের জনসভা মিটিং-মিছিল সবই হচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী নিজেও পথসভা-জনসভা করেছেন ৷ বাজার, দোকান-শপিংমল, রেস্তোরাঁ, অফিস, কাছারি প্রায় সবই খোলা । এই অবস্থায় বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে অসুবিধা কোথায় ? মানুষ যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে তখন কোরোনা পরিস্থিতির কারণে জনপ্রতিনিধিদের বিধানসভা অধিবেশন বন্ধ রাখা কি উচিত? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজ্যের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা ও বিরোধী দলের বক্তব্য তুলে ধরতে বিধানসভায় আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি । কোরোনা প্যানডেমিকের কারণে যা দীর্ঘদিন বন্ধ ৷

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি ও শ্রম আইন গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যের কৃষক শ্রমিকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের উপর দুর্যোগ নিয়ে এসেছে । যার প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা নেওয়া রাজ্য সরকারের কর্তব্য । ইতিমধ্যেই পঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্রিশগড়, দিল্লি ও কেরালা সহ দেশের অন্য রাজ্য এই কেন্দ্রীয় জনবিরোধী আইনগুলি থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মানুষকে বাঁচাতে সাংবিধানিক আওতায় থেকে তাদের নিজ নিজ বিধানসভায় প্রস্তাব ও প্রতিষেধকমূলক আইন পাশ করা হয়েছে । পূর্বে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন জনবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণের নজির বিধানসভায় রয়েছে । সরকারের প্রতি বিধায়কদের আস্থা রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা । নিয়মিত শাসক দলের বিধায়করা দলবদল করছে । বিরোধীদের আস্থা নেই শাসক দলের প্রতি । এই অবস্থায় অবিলম্বে আস্থা ভোট জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন :- অধিবেশন বসলেই আস্থা ভোটের পরিকল্পনা বিরোধীদের

সুজন চক্রবর্তী বলেন, আস্থাভোট হলে সরকার বিপর্যস্ত হবে । তাই তারা আস্থা ভোটের বিপক্ষে। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সরকারের ভঙ্গুর দশা হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে থেকেই শাসকদলের বিধায়কদের এবং সমর্থকদের দল ছাড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোঝা উচিত তিনি আগুন নিয়ে খেলছিলেন । একসময় বিরোধীদের দল ভাঙিয়েছেন। আগুন নিয়ে খেলার পর এখন তাঁর হাত পুড়ছে। তাঁর দল ভাঙছে । পশ্চিমবঙ্গে দল ভাঙানোর সংস্কৃতি শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

কলকাতা, 31 ডিসেম্বর : সরকারের উপর থেকে বিধায়কদের আস্থা উঠে গিয়েছে । এই অভিযোগের ভিত্তিতে অবিলম্বে বিধানসভার অধিবেশন বসিয়ে আস্থা ভোটের দাবি জানালেন বামফ্রন্ট এবং কংগ্রেস পরিষদীয় দলের নেতারা । এই মর্মে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান এবং বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী যৌথভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি দিলেন । রাজ্য বিধানসভার অধিবেশন আহ্বান করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে দাবি জানান তাঁরা । মুখ্যমন্ত্রীকে ইতিমধ্যেই এই বিষয়ে পদক্ষেপ করার জন্য কয়েকবার বাম-কংগ্রেসের তরফে যৌথভাবে চিঠি দেওয়া হয় ।

চিঠিতে লেখা হয়েছে, রাজ্য, দেশ তথা গোটা বিশ্ব কোরোনা প্যানডেমিকের মধ্যেও নির্দিষ্ট স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রায় সবকিছুই স্বাভাবিক কাজকর্ম করার চেষ্টা চলছে । রাজনৈতিক দলের জনসভা মিটিং-মিছিল সবই হচ্ছে । মুখ্যমন্ত্রী নিজেও পথসভা-জনসভা করেছেন ৷ বাজার, দোকান-শপিংমল, রেস্তোরাঁ, অফিস, কাছারি প্রায় সবই খোলা । এই অবস্থায় বিধানসভার অধিবেশন ডাকতে অসুবিধা কোথায় ? মানুষ যখন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে তখন কোরোনা পরিস্থিতির কারণে জনপ্রতিনিধিদের বিধানসভা অধিবেশন বন্ধ রাখা কি উচিত? গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় রাজ্যের মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা ও বিরোধী দলের বক্তব্য তুলে ধরতে বিধানসভায় আলোচনা করা অত্যন্ত জরুরি । কোরোনা প্যানডেমিকের কারণে যা দীর্ঘদিন বন্ধ ৷

চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী কৃষি ও শ্রম আইন গোটা দেশের সঙ্গে রাজ্যের কৃষক শ্রমিকসহ সমাজের সর্বস্তরের মানুষের উপর দুর্যোগ নিয়ে এসেছে । যার প্রতিষেধকমূলক ব্যবস্থা নেওয়া রাজ্য সরকারের কর্তব্য । ইতিমধ্যেই পঞ্জাব, রাজস্থান, ছত্রিশগড়, দিল্লি ও কেরালা সহ দেশের অন্য রাজ্য এই কেন্দ্রীয় জনবিরোধী আইনগুলি থেকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মানুষকে বাঁচাতে সাংবিধানিক আওতায় থেকে তাদের নিজ নিজ বিধানসভায় প্রস্তাব ও প্রতিষেধকমূলক আইন পাশ করা হয়েছে । পূর্বে কেন্দ্রীয় বিভিন্ন জনবিরোধী আইনের বিরুদ্ধে প্রস্তাব গ্রহণের নজির বিধানসভায় রয়েছে । সরকারের প্রতি বিধায়কদের আস্থা রয়েছে কি না তা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা । নিয়মিত শাসক দলের বিধায়করা দলবদল করছে । বিরোধীদের আস্থা নেই শাসক দলের প্রতি । এই অবস্থায় অবিলম্বে আস্থা ভোট জরুরি বলে মনে করছেন তাঁরা ৷

আরও পড়ুন :- অধিবেশন বসলেই আস্থা ভোটের পরিকল্পনা বিরোধীদের

সুজন চক্রবর্তী বলেন, আস্থাভোট হলে সরকার বিপর্যস্ত হবে । তাই তারা আস্থা ভোটের বিপক্ষে। তবে বিধানসভার অধিবেশন শুরু হওয়ার আগেই সরকারের ভঙ্গুর দশা হবে আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন তিনি। গত লোকসভা নির্বাচন এবং তার আগে থেকেই শাসকদলের বিধায়কদের এবং সমর্থকদের দল ছাড়ার ঘটনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শুভেন্দু অধিকারীর দল ছাড়ার পর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বোঝা উচিত তিনি আগুন নিয়ে খেলছিলেন । একসময় বিরোধীদের দল ভাঙিয়েছেন। আগুন নিয়ে খেলার পর এখন তাঁর হাত পুড়ছে। তাঁর দল ভাঙছে । পশ্চিমবঙ্গে দল ভাঙানোর সংস্কৃতি শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.