কলকাতা, 6 ডিসেম্বর: ঝালদা পৌরসভার আস্থা ভোট 8 ডিসেম্বর হচ্ছে না। বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশ খারিজ করল হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। পদ্ধতি মেনে চেয়ারপার্সন সরানোর প্রক্রিয়া করতে পরামর্শ বিচারপতি অরিজিৎ বন্দোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চের। চেয়ারপার্সনকে সরাতে আগে কাউন্সিলদের আবেদন জানাতে হয়, কিন্তু ঝালদা পুরসভায় তা করা হয়নি বলেই উল্লেখ করেছে ডিভিশন বেঞ্চ।
গত 30 নভেম্বর বিচারপতি অমৃতা সিনহার সিঙ্গেল বেঞ্চ এক নির্দেশে জানিয়েছিল, 8 ডিসেম্বরের মধ্যে ঝালদা পুরসভায় আস্থা ভোট করতে হবে। জেলা শাসকের উপস্থিতিতে করতে হবে আস্থা ভোট। 12 ডিসেম্বরের মধ্যে আদালতে রিপোর্ট জমা দিতে হবে বলেও নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা। তার মাঝে পৌরসভা যেমন কাজ চলছে, তেমনই চলবে বলেও জানিয়েছিল আদালত।
ঝালদা পৌরসভার বর্তমান চেয়ারপার্সন শীলা চট্টোপাধ্যায়ের অপসারণ চেয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু। মোট পাঁচ তৃণমূল কাউন্সিলর ও দুই কংগ্রেস কাউন্সিলরের দুটি পৃথক মামলা দায়ের হয়েছিল কলকাতা হাইকোর্টে। সেই মামলাতেই সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশ ছিল আস্থা ভোটের। কিন্তু সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের বিরুদ্ধে ডিভিশন বেঞ্চে আপিল করেন চেয়ারপার্সন।
ঝালদা পৌরসভা গঠনের শুরু থেকেই কংগ্রেস, শাসকদলের মধ্যে দড়ি টানাটানি চলছে। চলতি বছরের 20 জানুয়ারি কলকাতা হাইকোর্ট শীলা চট্টোপাধ্যায়কে সরিয়ে কংগ্রেস কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দুকে ঝালদা পুরসভার চেয়ারপার্সন করার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করলে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশের উপর অন্তর্বর্তীকালীন স্থগিতাদেশ দেন। আদালতের পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শীলা চট্টোপাধ্যায়কেই পুরসভার চেয়ারপার্সন হিসাবে দায়িত্ব পালন করতে নির্দেশ দেন। কিন্তু গত 30 নভেম্বরের ঝালদা পৌরসভার 12 জন কাউন্সিলরের মধ্যে 7 জন কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শীলা চট্টোপাধ্যায়কে তাঁর পদ থেকে সরানোর দাবিতে।
আরও পড়ুন