বাণিজ্য সম্মেলন থেকে তাজপুর বন্দরের জন্য নতুন টেন্ডারের ইঙ্গিত, তবে কি আদানিদের সঙ্গে চুক্তি বাদ!

বাণিজ্য সম্মেলন থেকে তাজপুর বন্দরের জন্য নতুন টেন্ডারের ইঙ্গিত, তবে কি আদানিদের সঙ্গে চুক্তি বাদ!
তাজপুরে বন্দর নির্মাণের জন্য রাজ্যের তরফে আদানি গোষ্ঠীকে লেটার অফ ইনটেন্ড দেওয়া হয়েছিল ৷ সূত্রের খবর তা বাতিল করে, নতুন টেন্ডার প্রক্রিয়া শুরু হতে চলেছে ৷
কলকাতা, 21 নভেম্বর: বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে মঙ্গলবারই তাজপুর সমুদ্র বন্দরের টেন্ডার প্রক্রিয়ায় বিভিন্ন শিল্পসংস্থাকে অংশগ্রহণের ডাক দিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনই একটা ইঙ্গিত মিলেছিল, প্রশ্নও উঠছিল, তাহলে কি রাজ্য সরকার ঘটা করে আদানি গোষ্ঠীকে তাজপুর বন্দরের জন্য যে লেটার অফ ইনটেন্ট দিয়েছিল তা শেষ পর্যন্ত বাতিল করা হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত এর জবাব মিলল সন্ধ্যের পরে। সূত্রর খবর, তাজপুরে আদানিদের দেওয়ার লেটার অফ ইনটেন্ড বাতিল করেছে রাজ্য সরকার। তার বদলে নতুন করে গ্লোবাল টেন্ডার ডাকার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে ।
সরকারি সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে, তাজপুর বন্দর তৈরির দায়িত্ব আর আদানিদের দেওয়া হচ্ছে না। রাজ্যের তরফে আদানিদের লেটার অফ ইনটেন্ট দেওয়ার পর কেন্দ্রীয় সরকারের কাছ থেকে এই বন্দর তৈরির বিষয়ে অনুমতি চাওয়া হয়েছিল ৷ সম্প্রতি এই নিয়ে চিঠি পাঠিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। সেই চিঠিতে রাজ্যকে বন্দর তৈরির অনুমতি দেওয়া হয়েছে । তবে, সেখানে লেখা হয়েছে, যদি কোনও (adverse) প্রতিকূল পরিস্থিতি না থাকে তাহলে বন্দর তৈরি করা যাবে । এক্ষেত্রে রাজ্য সরকার মনে করছে কেন্দ্রীয় সরকার রাজ্যকে তাজপুর বন্দর তৈরি করার অনুমতি দিলেও শর্তসাপেক্ষে তা দেওয়া হচ্ছে । সূত্রের খবর, সেখানেই রাজ্য সরকার বেঁকে বসেছে।
রাজ্য মনে করছে প্রতিকূল শব্দ থেকে ভবিষ্যতে কোনও সমস্যা তৈরি হতে পারে। আর সেই জায়গা থেকেই আদানিদের সঙ্গে তাজপুর নিয়ে যে চুক্তি হয়েছিল তা থেকে রাজ্য সরকার পিছিয়ে আসছে বলে খবর। আবার গ্লোবাল টেন্ডার ডাকা হবে। এতে যে কোনো সংস্থাই অংশগ্রহণ করতে পারে।
এবছর বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের প্রথম দিনে আদানিদের প্রতিনিধি হিসাবে করণ আদানির উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও, এই শিল্প সংস্থার তরফ থেকে কোনও প্রতিনিধি এদিন উপস্থিত ছিলেন না সম্মেলনে । কেন আদানি গ্রুপের কোনও প্রতিনিধি এলেন না এদিন, তা নিয়ে অবশ্যই জল্পনা থাকছে ৷ একইসঙ্গে প্রথম দিকে শোনা গিয়েছিল হিরানন্দানি গোষ্ঠীর তরফ থেকে সংস্থার কর্ণধার নিরঞ্জন হীরানান্দনি উপস্থিত থাকতে পারেন কিন্তু তিনিও কেন শেষ পর্যন্ত এলেন না তা নিয়েও প্রশ্ন থাকছে ৷
আরও পড়ুন
