কলকাতা, 4 জানুয়ারি: বহু টালবাহানা এবং শারীরিক অসুস্থতা কাটানোর পর কালীঘাটের কাকুর কণ্ঠ স্রের নমুনা অবশেষে ইডি'র হাতে। যা নিয়ে তুমুল রাজনৈতিক চর্চা শুরু হয়েছে রাজ্য-রাজনীতিতে। কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এবং রাজ্যের শাসক দলকে খোঁচা দিয়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতারা একাধিক আক্রমণ শানিয়েছেন ৷ সে সবকিছুকে ছাপিয়ে বৃহস্পতিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে সিপিএম রাজ্য সম্পাদক আবার নাম না-করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তীব্র আক্রমণ করেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গলার আওয়াজ কমানোয় উদ্যোগী হতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন সেলিম।
এদিন সেলিম বলেন, "আমি এখন কালীঘাটের পিসিকে নিয়ে ইন্টারেস্টটেড। কাকুর স্বর সংগ্রহ করতেই এত আইন আদালত ! বিচারপতিকে নির্দেশ দিতে হল। বিচারপতির স্বামীকে ওরা মিথ্যা মামলায় জড়ানোর চেষ্টা করল। কাকুর একটা গলার স্বর নেওয়ার জন্য। কালীঘাটের পিসি, যাকে আমরা চোরের মায়ের বড় গলা বলি। তাঁর আওয়াজ কমানোর জন্য আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে।"
একইসঙ্গে প্রশ্ন তুলে সেলিম বলেন, "গলার স্বরের নমুনা নিতে এত দেরি করা হল কেন ? এরাই তো আবার বলছে ইডি-সিবিআইকে রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করা হচ্ছে। অন্যদিকে রাজ্যের পুলিশ সিআইডিকে ব্যবহার করছে শাসক দল। ভাইপো বলার পরেও এক কাকুর স্বর সংগ্রহ করতে এত দেরি হয়ে গেল। তাহলে পিসির স্বর সংগ্রহ করতে কত মাস লাগবে ! এই ইস্যুতেই আমাদের ইনসাফ যাত্রা হয়েছে।" ব্রিগেডের সভা নিয়ে সেলিম বলেন, "নতুন প্রজন্মের ছেলে-মেয়েরা যারা কাজ পায়নি। অনেকে আবার কাজ পেয়ে মজুরি পায়নি। চা বাগানে শ্রমিক থেকে শুরু করে চুক্তিভিত্তিক কর্মী, পরিযায়ী শ্রমিক সকলেই আসবেন এই ব্রিগেড সমাবেশে। বয়স্ক মানুষরাও খুবই দুর্দশার মধ্যে আছেন। এই সমস্ত মানুষকে দুর্দশা মুক্ত করতে তাদের স্বার্থে লড়াই সংগ্রাম করতে নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েরা ব্রিগেড সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তাঁদের আমরা স্বাগত জানিয়েছি। যে কোনও লড়াই সংগ্রামের জন্য নতুন প্রজন্মের শক্তিকে বরাবর গুরুত্ব দিতে হয়। সেটা স্বাধীনতা সংগ্রাম হোক বা অন্যায়ের বিরুদ্ধে লড়াই।"
তৃণমূলের দলীয় কোন্দল নিয়ে বিজেপি এবং রাজ্যের শাসক দলকে একপাত্রে বসিয়েছেন সেলিম। তিনি বলেন, "তৃণমূলে কে নবীন, কে প্রবীণ আছে? তৃণমূলে মূলত দু'টো দল আছে। একদল যারা আগে তৃণমূল করত পরে বিজেপিতে গিয়েছে। আর একটা যারা বিজেপি করত তারা তৃণমূলে এসেছে। ঠিক তেমনই মধ্যে আবার কিছু লোকজন আবার এদিক-ওদিক যাওয়ার চেষ্টা করছেন।"
আরও পড়ুন: