ETV Bharat / state

মুম্বইয়ের বার ডান্সার থেকে কলকাতার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার পকেটমার দম্পতি

author img

By

Published : Jan 17, 2020, 5:19 AM IST

জামাকাপড় দেখে বোঝার উপায় নেই আসল সত্যিটা । এরকমই এক পকেটমার দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে কলকাতা পুলিশ ।

arrested PickPocket Couple
ধৃত রোশনি পান্ডে

কলকাতা, 17 জানুয়ারি : উত্তুরে হাওয়া গায়ে মেখে মিঠে রোদে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই । শুধু কলকাতাবাসী নয়, রাজ্য কিংবা ভিন রাজ্য থেকেও বহু পর্যটক এই মুহূর্তে তিলোত্তমায় । চিড়িয়াখানা, ইকোপার্ক, সায়েন্স সিটি, ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর কিংবা বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামে উপচে পড়া ভিড় । সেই ভিড়ে রীতিমতো ঠেলাঠেলি চলছে চিড়িয়াখানার ভেতরে কিংবা বাইরে । অন্য সর্বত্রও একই ছবি । পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মশগুল মানুষ ভুলে যাচ্ছে পকেটের সুরক্ষা । আর তার সুযোগ নিচ্ছে পকেটমাররা । রীতিমতো ভদ্রবেশে কেটে নিচ্ছে পকেট। এমনই এক পকেটমার যুগলকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নাম রোশনি পান্ডে ও অভিষেক দত্ত ।

পুলিশ সূত্রে খবর, রোশনির আসল নাম মৌসুমি খাতুন । মালদায় বাড়ি । অমতে বিয়ে করায় বাড়ির লোকজন মেনে নেয়নি । পরে সবকিছু ছেড়ে পাড়ি দেয় মুম্বইয়ে । সেখানে বার ডান্সারের কাজ শুরু করে । কিন্তু সেখানে বিশেষ কিছু না হওয়ায় ফিরে আসে নিজের রাজ্যে । ঠাঁই নেয় কলকাতায় । এখানেই আলাপ হয় অভিষেক দত্তর সঙ্গে । প্রথমে প্রেম,তারপর সেখান থেকে বিয়ে করে দু'জন । মৌসুমীর নতুন নাম হয় রোশনি পান্ডে । যাদবপুরের গাঙ্গুলি বাগানে থাকে । জীবিকা বলতে ওই "পকেটমারি" । নিজের মুখে সেকথা স্বীকার করেছে পকেটমার দম্পতি ।

পুলিশ জানায়, সাধারণ পকেটমারদের যে ছবি দেখতে মানুষ অভ্যস্ত তার ধারে কাছেও যায় না এরা । জামাকাপড় বা হাঁটা-চলা দেখে বোঝার উপায় নেই দম্পতি পকেটমার । আর তারই সুযোগে কলকাতার টুরিস্ট ডেস্টিনেশনগুলোয় সহজেই অন্যান্যদের সঙ্গে মিশে যাচ্ছিল । তারপর ঝোঁপ বুঝে কোপ । চলত দেদার হাতসাফাই । তাদের দীর্ঘদিনের এই পেশায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় কলকাতা পুলিশ । ভিড়ের সুযোগ নিয়ে শীতের মরশুমে যে হাতসাফাই চলবে তা আগেই অনুমান করেছিল তারা । তাই সাদা পোশাকে সবদিকে নজর রাখছিল কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ । আর তাতেই হাতে আসে এই পকেটমার দম্পতি ।

রোশনি ও অভিষেকের কাছ থেকে প্রথমে ছ'টি লেডিস পার্স ও একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করে পুলিশ । ইতিমধ্যে ফোনের মালিকের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে । এরপর রোশনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া যায় আরও 24 টি মানিব্যাগ । এর আগে পুজোর সময় মেট্রোয় ধরা পড়েছিল রোশনি । জিজ্ঞাসাবাদে রোশনি জানায়, 24 ডিসেম্বর শুধু অ্যালেন পার্ক থেকেই সে চুরি করে 6000 টাকা এবং 600 ইউ এস ডলার। বিষয়টা নিয়ে পার্ক স্ট্রিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল । এছাড়া, তাদের গাঙ্গুলি বাগানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় 4 হাজার টাকা এবং 400 ডলার ।

Intro:কলকাতা, 17 ডিসেম্বর: উত্তুরে হাওয়া গায়ে মেখে মিঠে রোদে বেরিয়ে পড়ছেন অনেকেই। শুধু কলকাতাবাসী নন। রাজ্য কিংবা ভিন রাজ্য থেকেও বহু পর্যটক এই মুহূর্তে তিলোত্তমায়। চিড়িয়াখানা, ইকোপার্ক, সায়েন্স সিটি, ভিক্টোরিয়া, জাদুঘর কিংবা বিড়লা প্লানেটরিয়ামে উপচে পড়া ভিড়। সেই ভিড়ে রীতিমত ঠেলাঠেলি চলছে চিড়িয়াখানার ভেতরে কিংবা বাইরে। অন্য সর্বত্র একই ছবি। পরিবারের সঙ্গে আনন্দে মশগুল মানুষ ভুলে যাচ্ছে পকেটের সুরক্ষা। আর তার সুযোগ নিচ্ছে পকেটমাররা। রীতিমতো ভদ্রবেশে কেটে নিচ্ছে পকেট। এমনি এক "বান্টি-বাবলি"কে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। “বান্টি" তেমন চৌখস না হলেও “বাবলি"র কারনামা দেখে অবাক হচ্ছে কলকাতা পুলিশের ওয়াচ সেকশন।


Body:দেখলে কে বলবে ওই যুবতী পকেটমার! চেহারায় রীতিমত ভদ্রতার ছাপ। আদতে তার বাড়ি মালদা। নাম মৌসুমী খাতুন। পুলিশ এসেছে মালদাতে প্রেম করে বিয়ে করে সে। বাড়ির লোকজন বিয়ে মেনে নেয়নি। তা থেকে অশান্তি। তার ছিড়ে মৌসুমী পাড়ি দেয় মুম্বাই। সেখানে বার ডান্সারের কাজ নেয়। কিন্তু পসার জমেনি। তাই ফিরে আসে কলকাতায়। এবার আলাপ হয় অভিষেকের সঙ্গে। তারপর প্রেম সেখান থেকে বিয়ে। এবং নাম পরিবর্তন। মৌসুমী হয়েছে আয় রসনি দত্ত। ওই দম্পতির
বাড়ি যাদবপুরের গাঙ্গুলী বাগানে। চেহারা ছবিতে ভদ্রতার ছাপ। বয়স দুজনেরই কুড়ি। একজনের নাম অভিষেক দত্ত, অন্যজন রোশনি পান্ডে। সম্পর্কে স্বামী-স্ত্রী। সাধারণভাবে পকেটমারদের যে ছবি দেখতে মানুষ অভ্যস্ত, এরা তার ধারে কাছেও যায় না। চোখ মুখ কিংবা পোশাক-আশাক জানলে কেউ বলবেন না ওদের হাতযশ এতটা ভালো। অভিযোগ, এই দুজন মিশে যাচ্ছিল শহরের টুরিস্ট ডেস্টিনেশন গুলোয়। তারপর ঝোঁপ বুঝে কোপ। ভিড়ের সুযোগে দেদার হাতসাফাই। পকেটমারির পরের মুহূর্তেই যদি কেউ বুঝতে পারেন, এই দুই জনকে কোনভাবেই ধরতে পারবেন না। কারণ, সন্দেহই হবে না। চেহারায় ভদ্রতার ছাপের এই সুযোগ নিয়েই চলছিল পকেটমারি। কিন্তু শেষ রক্ষা হয় নি।


Conclusion:কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ সন্দেহ করেছিল আগে থেকেই। ভিড়ের সুযোগে চলবে হাতসাফাই। তাই সাদা পোশাকে ভিড়ের মধ্যে মিশে থাকছেন ওয়াচ সেকশনের গোয়েন্দারাও। তাদের চোখে ধুলো দিতে‌ পারেনি রশনি বা অভিষেক। পুলিশ বমাল গ্রেপ্তার করে তাদের। উদ্ধার হয় ছটি লেডিস পার্স। এবং একটি স্যামসাং মোবাইল ফোন। ফোনটি চুরির। পুলিশ ওই ফোনের মালিকের সঙ্গে ইতিমধ্যে যোগাযোগ করেছে। এই দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা স্বীকার করে নিয়েছে , পকেটমারি তাদের পেশা।

রশনিকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পাওয়া যায় মোট চব্বিশটি মানি পার্স। এতে বোঝা যায় রীতিমতো পাকা খেলোয়ার সে। তাকে বারবার জিজ্ঞাসাবাদ করে জানতে পারা যায়, পুজোর আগে মেট্রোয় ধরা পড়েছিল সে। তখন রামধোলাইও খায়। কিন্তু শিক্ষা হয়নি। পুলিশ জেনেছে 2018 সালে একবার গ্রেফতার হয়েছিল এই রশনি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায়, গত 24 ডিসেম্বর অ্যালেন পার্ক থেকে সে চুরি করে 6000 টাকা এবং 600 ইউ এস ডলার। বিষয়টা নিয়ে পার্ক স্টিট থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাদের গাঙ্গুলি বাগান এর বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় চার হাজার টাকা এবং 400 ডলার। আরো কি কি ঘটনা মৌসুমী ওরফে রশনি ঘটিয়েছে তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.