ETV Bharat / state

বিরোধীরা অর্ধ শিক্ষিত, গর্ধ শিক্ষিত : ফিরহাদ

author img

By

Published : Mar 11, 2019, 8:25 PM IST

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "বিরোধীরা জানে না যে পৌরকর্মীদের পেনশন বা বেতনের টাকা রাজ্য সরকার দেয়। মোটেই পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থ থেকে পেনশন বা বেতনের টাকা দেওয়া হয় না।" উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, FD ভেঙে সেই সঞ্চিত অর্থ বেহিসেবি ভাবে খরচ করেছে পৌরনিগম।

কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম

কলকাতা, ১১ মার্চ : বিরোধীদের 'অর্ধ শিক্ষিত', 'গর্ধ শিক্ষিত' বলে কটাক্ষ করলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তিনি বলেন, "বিরোধীরা জানে না যে পৌরকর্মীদের পেনশন বা বেতনের টাকা রাজ্য সরকার দেয়। মোটেই পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থ থেকে পেনশন বা বেতনের টাকা দেওয়া হয় না।" উল্লেখ্য, এর আগে বিরোধীরা অভিযোগ করেছিলেন, FD ভেঙে সেই সঞ্চিত অর্থ বেহিসেবি ভাবে খরচ করেছে পৌরনিগম। সঞ্চিত অর্থ সংক্রান্ত আলোচনা নিয়ে আজ সরগরম ছিল পৌরনিগম অধিবেশন।

কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় বলেন, "তৃণমূল ক্ষমতায় আসার আগে ২০১০-এ পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থ ছিল ১১ হাজার কোটি টাকা। কিন্তু তৃণমূল ক্ষমতায় আসার পর ২০১৯-এর ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এই অর্থের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে মাত্র ৭০ কোটি টাকা। এক্ষেত্রে পৌরপ্রধান ফিরহাদ হাকিমের দাবি, উন্নয়নমূলক কাজের জন্য এই অর্থ ব্যয় হয়েছে। কিন্তু আমাদের পরিষ্কার বক্তব্য যে সঠিকভাবে কর আদায় করা হচ্ছে না।" তিনি আরও বলেন, "প্রায় সাড়ে সাত কোটি মানুষ কর জমা দেন। সঠিকভাবে কর আদায় হলে পৌরনিগমের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ১১ হাজার কোটি টাকা থেকে কমে ৭০ কোটি টাকা হয় না। তার মানেই ঠিক মতো কর আদায় হচ্ছে না। অন্যান্য জায়গায় পৌরসভার কর ফাঁকি দিলে জলের লাইন কেটে দেওয়া হয়। প্রয়োজনে সম্পত্তিও বাজেয়াপ্ত করা হয়। তাহলে কলকাতার ক্ষেত্রে এরকম হবে না কেন ? প্রাক্তন মেয়র সুব্রত মুখার্জি কিন্তু প্রয়োজনে গ্রেট ইস্টার্নের জলের লাইন কেটে দিয়েছিলেন।" প্রকাশবাবু অভিযোগ করেন, "কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলে সঠিকভাবে কর আদায় করা যাবে না। আর এইভাবে সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকলে পৌরনিগম ভবিষ্যতে সমস্যায় পড়বে। কর আদায় না করে বসে বসে সঞ্চিত অর্থ খরচ করাকে আমি সমর্থন করি না।"

অন্যদিকে, বিরোধীদের এই অভিযোগের উত্তরে পৌরপ্রধান ফিরহাদ হাকিম বলেন, "২০০৫-এ যখন সুব্রত মুখার্জি পৌরপ্রধানের পদ ছেড়ে দেন তখন পৌরনিগমের জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৩৭৭.১৬ কোটি টাকা। এরপর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পৌরপ্রধান পদে বসেন। বিকাশবাবু ৭২১.০৫ কোটি টাকার জমি বিক্রি করেছিলেন। অর্থাৎ সব মিলিয়ে মোট জমা অর্থ ছিল ১০৯৮.২১ কোটি টাকা। এরপর বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য পৌরপ্রধান থাকাকালীন কিছু টাকা খরচ হয়েছিল। ২০১০-এ পৌরসভার জমা অর্থের পরিমাণ ছিল ৫৮৮ কোটি টাকা। কিন্তু তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পৌরনিগমের দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই শহরজুড়ে নানা উন্নয়নমূলক কাজ হয়েছে। অনেকগুলি পাম্পিং স্টেশন তৈরি হয়েছে। বস্তি উন্নয়নের কাজ হয়েছে, আলোকসজ্জার কাজ হয়েছে।" তিনি আরও বলেন,"পৌরনিগম একটি ওয়েলফেয়ার সংস্থা। সেখানে FD রাখার কোনও মানে হয় না। বরং নাগরিকদের পরিষেবা দিতে যা প্রয়োজন সেটা খরচ করা উচিত।"

Intro:মার্চ মাসের পুর অধিবেশন উত্তপ্ত হয়ে উঠল পুরো নিগমের কোষাগারে সঞ্চিত অর্থের বিষয়ে আলোচনা নিয়ে। বিরোধী কংগ্রেস কাউন্সিলর প্রকাশ উপাধ্যায় প্রশ্ন উত্তর পর্বে দাবি করেন 2010 সালে বিকাশ রঞ্জন ভট্টাচার্য থাকাকালীন কলকাতা পৌরনিগমের অর্থ ছিল 588 কোটি টাকার বেশি। বর্তমানে পুরসভার সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ কত। জবাবে জানান বর্তমানে কলকাতা পুর নিগমের কোষাগারের সঞ্চিত অর্থের পরিমাণ 17 কোটি টাকার বেশি। এরপরই বাম ও কাউন্সিলররা নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন অধিবেশন কক্ষে। কি করে 568 কোটি বেশি অর্থ থাকা সত্বেও বর্তমানে এ পরিমাণ অর্থ কমে গেল। প্রকাশ উপাধ্যায় অভিযোগ করেন সঠিক পরিমাণে সঠিক পদ্ধতিতে কর আদায় করা হচ্ছে না বলে কোষাগারে এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে কোষাগারে। বিরোধীদের এই অভিযোগকে অর্ধ শিক্ষিত গর্ধশিক্ষিত বলে প্রতিক্রিয়া দিলেন কলকাতার মহানাগরিক ফিরহাদ হাকিম।


Body:প্রকাশ উপাধ্যায় অভিযোগ করেছেন সকালে বহু উচ্চবিত্ত এবং বেসরকারি সংস্থা আছে যারা ষাট বছরের পর বছর সম্পত্তি কর ফাঁকি দিয়ে আসছে। যদি বর্তমান সরকার সঠিক কর আদায় করে তাহলে ঘাটতির পরিমাণ অনেকটাই কমবে। মেয়র ফিরহাদ হাকিম এর জবাবে বলেন তৃণমূল কংগ্রেস কলকাতা পৌর নিগমের দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই শহর জুড়ে উন্নয়নমূলক কাজ চলছে। কলকাতা পৌর নিগমের পরিচালনা করতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস মনে করেন সঞ্চিত অর্থ জমিয়ে রাখার দরকার নেই। শহরকে ঢেলে সাজাতে কলকাতা পৌর নিগমের কোষাগার থেকে সঞ্চিত অর্থ ব্যয় করা হচ্ছে। এর ফলে কলকাতা পৌর নিগমের পরিচালনা করতে আগামী দিনে কোন অসুবিধা হবে না বলেও দাবি করেছেন মহানগরীর ফিরহাদ হাকিম।


Conclusion:পাশাপাশি বিরোধীদের অভিযোগ সম্পত্তি কর যথাযথ জমা পড়ছে না পুরো নিগমের এর প্রতিক্রিয়ায় তিনি বলেন এই কথার কোন ভিত্তি নেই। তিনি বলেন মানুষ কিছুটা বিভ্রান্ত হয়ে রয়েছে। বর্তমানে ফর ব্যবস্থাকে আরও আধুনিক ও সরলীকরণ করতে হবে যাতে মানুষ আরো বেশি আগ্রহী হয় আগামী দিনে পুরো কর নিয়মিত জমা দিতে।
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.