কলকাতা, 5 জানুয়ারি: সন্দেশখালির ঘটনার নিন্দায় সরব হলেন রাজ্যের মন্ত্রী ও তৃণমূলের শীর্ষ নেতা ফিরহাদ হাকিম । তবে ওই ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের ভূমিকারও সমালোচনা করেন তিনি ৷
সাত সকালেই রাজ্যজুড়ে তুলকালাম বাঁধে ইডি অভিযান ঘিরে । তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের সন্দেশখালির বাড়িতে আচমকাই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা হানা দেওয়াকে ঘিরে তাঁর অনুগামীরা তাণ্ডব করেন বলে অভিযোগ । সেখানেই ইডি আধিকারিক থেকে শুরু করে একাধিক সংবাদমাধ্যম কর্মীকে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ ৷
এই ঘটনার নিন্দা করে আজ ফিরহাদ হাকিম বলেন, "কোনও আক্রমণকে সমর্থন করি না। কিন্তু রাজ্যপালের এই উদ্বেগের আগে ভারতের চারদিকটা দেখুন ।" সন্দেশখালি প্রসঙ্গে রাজ্যপালের উষ্মাপ্রকাশ নিয়ে তিনি বলেন, "দেশে একাধিক সাংবাদিক খুন হয়েছেন । আরএসএস সংগঠন সাংবাদিক খুন করেছে । সেটার বিচার কে করবে ? রাজ্যপালকে বলুন আগে সেইখানে সেই আওয়াজ তোলার !"
ফিরহাদের কথায়, "নরম মাটি খুঁড়তে ভালো লাগে । এখানে সাংবাদিকরা অনেক বেশি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন । বহু জায়গায় যেমন উত্তরপ্রদেশে সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারেন না ৷ এক্সট্রিমিস্ট বলে তাদের গ্রেফতার করে নেওয়া হয় ৷ ভারতে এই অত্যাচার চলছে ।
ইন্ডিভিজুয়ালি দু-একটা ঘটনা ঘটতে পারে, আমরা সেটা নিশ্চিত ভাবে নিন্দা করি । কিন্তু ভারতে সঙ্গে তুলনা করা যায় না ৷ দেশের থেকে আমাদের আইনশৃঙ্খলা অনেক ভালো । সমস্ত রিপোর্টে সেফেষ্ট সিটি কলকাতা ।"
এছাড়াও এই ঘটনায় বিজেপির এনআইএ তদন্তের দাবি নিয়ে হাকিম বলেন, "ওরা কী চাইছে ! ওদের কথায় কী হবে ? আমি জানি না । কীভাবে বলতে পারব না, তবে আমাদের প্রশাসন সক্রিয়ভাবে কাজ করছে এবং অ্যাক্টিভলি কাজও করবে ।"
উল্লেখ্য, রেশন দুর্নীতিতে গ্রেফতার হয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। সেই তদন্তেই এ দিন আচমকা অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা । বাড়ির দরজা বন্ধ থাকায় এবং ডাকাডাকির পর কেউ দরজা না খোলায় তালা ভাঙার চেষ্টাও হয় ৷ সেই সময় শাহজাহানের অনুগামীরা তাণ্ডব শুরু করেন বলে অভিযোগ । ইডি আধিকারিকদের মারধরও করা হয় বলে জানা গিয়েছে ৷ আক্রান্ত অবস্থায় কোনও রকমে সেখান থেকে পালান ইডি আধিকারিকরা ৷
আরও পড়ুন