কলকাতা, 3 জুলাই: লাল হলুদে এখনও চুক্তি-জট অব্যাহত ৷ তবে এদিন লগ্নিকারী সংস্থা ইমামির হাতে সম্মতিপত্র পাঠিয়ে দিল ক্লাব। স্বাক্ষরের বিষয়টি দ্রুত বাস্তবায়ন হবে বলে ইমামির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সম্ভবত, নতুন সপ্তাহের প্রথম পর্বেই চুক্তি সম্পন্ন হবে। তবে চুক্তি কোথায় হবে, তা এখনও স্পষ্ট নয় (Final agreement between EB and Emami about to be signed in next few days)।
গত দু'বছর মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ইস্টবেঙ্গল এবং বাঙ্গুর গোষ্ঠীর চুক্তি সম্পাদিত হয়েছিল। এবছরও গত দু'বছরের মতোই মুখ্যমন্ত্রী ইস্টবেঙ্গলকে লগ্নি জোগাড়ে সাহায্য করেছেন। শোনা যাচ্ছে কর্তারা ক্লাব প্রাঙ্গনে চুক্তি সম্পাদন করতে চাইছেন। চুক্তি নিয়ে দুই পক্ষের সবুজ সংকেত মিলেছে। অনেকদিন আগেই ইস্টবেঙ্গলের সঙ্গে বিনিয়গকারী হিসেবে যুক্ত হয়েছে ইমামি। কিন্তু চুক্তি সইয়ের ক্ষেত্রে কিছুটা সমস্যা ছিল। যা এখন অতীত। সূত্রের খবর, আশি শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রেখে বাকি 20 শতাংশ ক্লাবকে দিতে চেয়েছিল ইমামি। তবে তাতে রাজি হননি লাল-হলুদ কর্তারা। দুই পক্ষের আলোচনার পর ঠিক হয়েছে, অন্তত 74-76 শতাংশ শেয়ার নিজেদের কাছে রাখতে চাইছে ইমামি। বাকি শেয়ার থাকবে ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের কাছে।
নতুন কোম্পানির বোর্ড অফ ডিরেক্টরে ক্লাবের তরফ থেকে দুই নয়, তিন জন থাকতে পারেন। আর বিনিয়োগকারী সংস্থা ইমামির পক্ষ থেকে সাত জন থাকতে পারেন বোর্ড অফ ডিরেক্টর্সে। সূত্রের খবর, ক্লাবের পক্ষ থেকে থাকতে পারেন ক্লাবের সভাপতি প্রণব দাশগুপ্ত এবং শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার। তবে তৃতীয় ডিরেক্টর কে হবেন তা ঠিক হয়নি। দ্রুত চুক্তি সই করে দলগঠনের কাজে নামতে চাইছে ইস্টবেঙ্গল।
আরও পড়ুন : সমঝোতার অভাব হলে চুক্তি বাতিলের কথা ইমামি কর্ণধারের মুখে, শঙ্কা বাড়ছে লাল হলুদে
কারণ, এরপর আর ভালো ফুটবলার পাওয়া সম্ভব হবে না। ভালো দল তৈরি করে আইএসএল-এ খেলতে হলে দ্রুত চুক্তি সমস্যা মিটিয়ে ফুটবলারদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। ইতিমধ্যেই লাল-হলুদের পছন্দ করা বেশ কয়েক জন ফুটবলার অন্য ক্লাবে চলে গিয়েছেন। যাঁরা রয়েছেন তাঁদের সঙ্গেও দ্রুত চুক্তি করতে না পারলে সমস্যা বাড়বে। তা যাতে মেটানো যায় সেই জন্য দু'পক্ষই সচেষ্ট।