বেহালা, 16 সেপ্টেম্বর: বেহালার চণ্ডীতলার বাড়ি থেকে উদ্ধার নবতিপর এক বৃদ্ধার দেহ ৷ তিন দিন আগে অর্থাৎ বুধবার তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানাচ্ছেন প্রতিবেশীরা ৷ কারণ ওইদিন থেকেই বাড়ির দরজা বন্ধ ছিল বলে জানা গিয়েছে ৷ শনিবার বাড়ি সংলগ্ন এলাকা দুর্গন্ধে ছেয়ে যায় ৷ এলাকা থেকে খবর পেয়ে শনিবার চণ্ডীতলায় পৌঁছয় পুলিশ। বাড়িতে ঢুকে রক্তাক্ত অবস্থায় বৃদ্ধার দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। শরীরের কিছু অংশে পচনও ধরেছে। খুনের অভিযোগ বৃ্দ্ধার নাতির বিরুদ্ধে ৷ পুরো ঘটনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ ৷
34 বছর বয়সি অভিষেক দাসের বিরুদ্ধে অভিযোগ সেই ঠাকুমাকে (পুষ্পা দাস) মেরেছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, যুবক মানসিকভাবে ঠিক ছিল না ৷ বেশিরভাগ সময়ই নেশাগ্রস্ত থাকত। নেশার বিভিন্ন ওষুধও ঘরের মধ্যে পাওয়া গিয়েছে এর আগে। বুধবার ওই অভিযুক্ত ঝামেলা চলাকালীন মা'কে চেয়ার দিয়ে মাথায় মারে ৷ ঠাকুমা বাঁচাতে আসলে তাঁকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। এরপরই মৃত্যু হয় বৃদ্ধার ৷ তারপর থেকে দরজা বন্ধ করে ঘরে বসেছিল অভিষেক ৷ কোনওরকমভাবে বের হয়নি সে ৷
এই কয়েকদিন ধরে বাড়ির কাউকে না-দেখতে পেয়ে সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের ৷ বাড়ির আশপাশ থেকে পচা গন্ধও বেরোতে শুরু করে ৷ সন্দেহ আরও গাঢ় হওয়ায় পুলিশকে খবর দেন প্রতিবেশীরা ৷ শনিবার বাড়ি থেকে পচা গন্ধ বেরোলে স্থানীয় কাউন্সিলরও ঘটনাস্থলে আসে ৷ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে দেখে ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। দরজা ভেঙে ভিতরে ঢুকে দেখে ঠাকুমার রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে। দেহে পচনও ধরেছে ৷ ঠাকুমার পচাগলা দেহ ময়নাতদন্তের জন্য নিয়ে যাওয়া বিদ্যাসাগর হাসপাতালে ৷ অভিযুক্ত পুলিশি জেরায় ঠাকুমাকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে ৷ সে জানায়, মাকে মারতে গেলে ঠাকুমা চলে আসে ৷ তখন সে ঠাকুমাকে ঠেলে ফেলে দেয় ৷ তারপরেই মৃত্যু ঘটে তাঁর ৷
আরও পড়ুন: মহিলার দেহ উদ্ধারের 13 দিন পর খুনের কিনারা, জেরায় স্বীকার অভিযুক্তের
