কলকাতা, 28 ফেব্রুয়ারি: মুর্শিদাবাদের সাগরদিঘি উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ থেকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নিয়ে খুশি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Congress MP Adhir Ranjan Chowdhury) । কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তায় থাকায় সুষ্ঠু নির্বাচন হয়েছে বলে তিনি জানান । তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে (Panchayat Elections 2023) সুষ্ঠু ও অবাধ শান্তিপূর্ণ ভোট করাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইবেন বলে জানিয়েছেন অধীর ।
মঙ্গলবার প্রদেশ কংগ্রেসের রাজ্য দফতর বিধান ভবনে এক সাংবাদিক সম্মেলনে অধীররঞ্জন চৌধুরী বলেন, "সারা রাজ্য জুড়ে নৈরাজ্য চলছে । সবচেয়ে নির্বিকার যিনি, তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তাঁর আবেগ, অনুভূতি কিছুই নেই । এত বড় নিয়োগ নিয়ে দুর্নীতি চলছে । প্রতিদিন নতুন নতুন দুর্নীতি প্রকাশ পাচ্ছে । যেন ভ্যাট খুলে দিচ্ছেন, আর দুর্গন্ধ বের হচ্ছে । আমরা প্রথম দিনই বলেছিলেন হিমশৈলের চূড়া মাত্র । নৈরাজ্য আর দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলার সলিল সমাধি চলছে ।’’
এই পরিস্থিতির মধ্যেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় (Mamata Banerjee) নির্বিকার বলে অধীরের অভিযোগ ৷ তিনি জানান, এই পরিস্থিতি পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে । নির্বাচন আসন্ন ৷ এর সঙ্গে সঙ্গে বাংলা জুড়ে সন্ত্রাস চলছে। গুলি, বোমা, বন্দুক উদ্ধার হচ্ছে । তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচন ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে বিচারকের যাব আমরা । আগের বারের মতো আর্জি জানাব। এই আবহে ভোট হওয়া সম্ভব নয় । আমরা গতবার তৃণমূল নেতাদের উপর ভরসা রেখেছিলাম । কিন্তু, রক্তাক্ত ভোট হয়েছিল । তাই, আবারও পুনরাবৃত্তি হতে চলছে ।’’
অধীরের প্রশ্ন, এই বাংলায় আর কত রক্ত ঝরবে ? তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীকে কথা দিতে হবে যে নির্বাচনে রক্ত ঝরবে না । নির্বিঘ্নে হবে । না-হলে বাংলার মানুষকে ধরে নিতে হবে বাংলায় রক্ত ঝরবে । সেই কারণেই আদালতে গিয়ে তাঁরা পঞ্চায়েত ভোটে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিতে সরব হবে ৷ তিনি বলেন, ‘‘আমরা বিচারকের কাছে গিয়ে দরবার করব কেন্দ্রীয় বাহিনী চাই । আমরা জানি নির্বাচন কমিশন না চাইলে এটা হয় না । তারপরও আমরা যাব ।"
সিভিক ভলান্টিয়ার থেকে যোগ্যদের বেছে কনস্টেবল পদে নিয়োগ দেওয়া যায় কি না, তা রাজ্য সরকার ভাবনাচিন্তা শুরু করেছে । সেই বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় অধীরের আশঙ্কা, পুলিশকে দলদাসে পরিণত করতে চাইছে তৃণমূল সরকার । অধীর বলেন, "বাংলায় পুলিশের পদে কত খালি পদ আছে, তা আগে সরকার বলুক । বাংলায় আরও থানা দরকার । পুলিশ দরকার । অপরাধ বাড়ছে । জনসংখ্যা বাড়ছে । রাজ্য পুলিশে 60-70 হাজার পদ খালি আছে । তবে, সিভিক থেকে পুলিশ বানাতে আপত্তি নাই । তার জন্য প্রশিক্ষণ-সহ যাবতীয় ব্যবস্থা করুক। যেন আজ্ঞাবহ না হয়। আমরা চাই পুলিশের নিয়োগ হোক ।’’ তাঁর দাবি, সিভিকের নামে বাংলার যুবকের কাছে গাজর ঝুলিয়ে দিয়ে প্রতারণা করা হচ্ছে । 9 হাজার টাকা বেতন দেওয়া হয় ৷ থানাগুলি তোলাবাজির কাজে ব্যবহার করে সিভিক ভলান্টিয়ারদের ৷
আরও পড়ুন: ভোটদানের উচ্চহার দেখে সাগরদিঘি জয়ে আশাবাদী সবপক্ষ