কলকাতা, 19 জুন: কুন্তল ঘোষের চিঠি সংক্রান্ত মামলার সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজের কপি সিবিআইকে দেওয়ার নির্দেশ দিল হাইকোর্ট। সোমবার এমনই নির্দেশ বিচারপতি অমৃতা সিনহার।
কুন্তল ঘোষের সঙ্গে কে কে দেখা করেছে সংশোধনাগারে খতিয়ে দেখতে চায় সিবিআই। সিবিআই চায় সিসিটিভি ফুটেজ। তাই সোমবার কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার কাছে আবেদন জানানো হয়েছিল সিবিআইয়ের তরফে। সিবিআইয়ের আইনজীবী জানিয়েছিলেন তদন্তের স্বার্থে তারা এটা চাইছে। এরপরেই এমন নির্দেশ দিয়েছেন বিচারপতি অমৃতা সিনহা ৷
পাশাপাশি, সিসিটিভি ফুটেজ কপি করার জন্য তিন দিন সময় চেয়েছে সিবিআই। জেলারের পাঠানো ফুটেজ-সহ অন্যান্য তথ্য কপি করতে সিবিআই-কে চারদিন সময় দিল আদালত। তবে বলা হয়েছে, সিবিআই এই ফুটেজ কপি করবে একজন হাইকোর্টের টেকনিক্যাল সদস্যের উপস্থিতিতে। জেলার যেসব তথ্য হাইকোর্টে পাঠিয়েছে তার মধ্যে রয়েছে তিনটে হার্ড ডিস্ক, দুটো সফট কপি। হাইকোর্টের বিচারপতি অমৃতা সিনহার এজলাসে তিনটে মুখবন্ধ খামে রেজিষ্ট্রার জেনারেল-এর কাছে জমা পড়েছে সেই সব তথ্য। যার মধ্যে রয়েছে সংশোধনাগারের সিসিটিভি ফুটেজ। সেই ফুটেজ সিবিআই-কে দেওয়ার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি। কিন্তু যেখানে কপি হবে সেখানে থাকবে কলকাতা হাইকোর্টের টেকনিক্যাল টিম, তাও জানানো হয়েছে। 23 জুন এই মামলার পরবর্তী শুনানি।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসে কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রসঙ্গে বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের বেঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল সিবিআই ও ইডি। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই চিঠি প্রসঙ্গে নির্দেশ দিয়েছিলেন, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রয়োজনে ডেকে প্রশ্ন করতে পারবে সিবিআই। পাশাপাশি কুন্তল ঘোষের চিঠি প্রকাশ্যে আসার আগে প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে তাঁর সঙ্গে কে বা কারা দেখা করতে এসেছিলেন তা খতিয়ে দেখার জন্য সমস্ত সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। এদিন সিবিআই সেই ফুটেজ খতিয়ে দেখার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি নিল।
আরও পড়ুন: 'সম্প্রীতির রাস্তা আপনারাই বন্ধ করছেন', রথযাত্রা নিয়ে রাজ্য পুলিশকে ভর্ৎসনা হাইকোর্টের
প্রসঙ্গত, কুন্তল চিঠি দিয়ে অভিযোগ করেছিলেন, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিষেকের নাম নেওয়ার জন্য তাঁর উপর চাপ দেওয়া হচ্ছে তদন্তকারীদের তরফে। এই সংক্রান্ত অভিযোগ জানিয়ে নিম্ন আদালতে চিঠি দেন কুন্তল। পুলিশি হস্তক্ষেপ চেয়েও কুন্তল একটি চিঠি দিয়েছিলেন হেস্টিংস থানাতে। অভিযোগ ছিল, ওই চিঠি কুন্তল নিজে লেখেননি। অন্য কাউকে দিয়ে চিঠি লিখিয়েছিলেন। এরপরেই বিচারপতির নির্দেশেই জেলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ তলব করা হয়েছিল।