কলকাতা, 14 সেপ্টেম্বর: পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর ভোট পরবর্তী হিংসায় 40 জন সিপিআইএম কর্মী এখনও ঘরছাড়া ৷ ঘটনায় বারুইপুর থানাকে ভর্ৎসনা কলকাতা হাইকোর্টের। কেন, এফআইআর করা ছাড়া আর কোনও ভূমিকা নিলো না পুলিশ? প্রশ্ন বিচারপতি জয় সেনগুপ্তের। 4 অক্টোবর মামলার তদন্তকারী অফিসারকে সশরীরে হাজিরার নির্দেশ আদালতের।
বিচারপতি আরও জানিয়েছেন, যেহেতু, ঘরছাড়াদের বাড়ি ভেঙে দেওয়া হয়েছে, তাই তাঁদের বাড়ি তৈরির বিষয়ে রাজ্যের সঙ্গে আলোচনা করে ডিএম'কে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। পাশাপাশি 24 ঘণ্টার মধ্যে আলোচনা করে, পুলিশ মামলাকারীদের জানাবে, কবে ঘর ছাড়াদের বাড়ি ফেরানো সম্ভব। পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে ঘরে ফেরানোরও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত পুলিশ পিকেট করে ঘর ছাড়াদের নিরাপত্তা দেওয়ার নির্দেশ আদালতের। এই মামলার পরবর্তী শুনানি 4 অক্টোবর।
আরও পড়ুন: কুন্তলের চিঠি প্রসঙ্গে কলকাতা পুলিশের তদন্তের নির্দেশে স্থগিতাদেশ হাইকোর্টের
অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে থেকে ঘর ছাড়া বারুইপুর পূর্বের 40 জন সিপিআইএম কর্মী-সমর্থক। এফআইআর দায়ের হলেও ঘরছাড়াদের ফেরানোর কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি পুলিশ। পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ জানিয়ে দায়ের হয় মামলা। মামলাকারী আইনজীবীর অভিযোগ, এই 40 জন সিপিআইএম কর্মী সমর্থক যাতে পঞ্চায়েত নির্বাচনে অংশগ্রহণ না-করতে পারে সেই কারণেই তাঁদের মারধর করে, ঘর ভেঙে, এলাকা ছাড়া করেছে শাসক দলের দুষ্কৃতীরা।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর রাজ্যে যাতে ভোট পরবর্তী হিংসায় সাধারণ মানুষ আক্রান্ত না-হয়, সেদিকে নজর ছিল হাইকোর্টের ৷ তাই ভোটের ফলাফলের পরেও অতিরিক্ত দশদিনের জন্য কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিরাপত্তা রক্ষীদের রাজ্যে থাকার নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তারপরও রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় বিশেষত বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্যরা শাসক দলের রোষের স্বীকার হওয়ার ভূরি ভূরি অভিযোগ জমা পড়ে আদালতে ৷ সেই সংক্রান্ত বেশ কিছু মামলা এখনও বিচারাধীন।
আরও পড়ুন: পাড়ায় সমাধানের মাধ্যমে 87 শিক্ষকের বদলি কীভাবে ? রাজ্যের কাছে জানতে চাইল হাইকোর্ট