ETV Bharat / state

হাওড়ার বোটানিকাল গার্ডেনে উঁকি মারছে লবণাক্ত সুন্দরবনের শঙ্কা !

author img

By

Published : Nov 12, 2019, 11:37 PM IST

Updated : Nov 12, 2019, 11:51 PM IST

বোটানিক্যাল গার্ডেন

সুন্দরবন নয়, লবণাক্ত জলের উদ্ভিদ ম্যানগ্রোভের এখন নতুন ঠিকানা তিলোত্তমা সংলগ্ন গঙ্গার পাড় । শুনতে অবাক লাগলেও, সামনে এসেছে এমন ঘটনাই । এখানেই গঙ্গার পাড় বরাবর উঁকি দিচ্ছে হারগোজা, বাইন, ওঁরাও, কৃপাণের মত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসমূল ।

শিবপুর, 12 নভেম্বর : সুন্দরবন নয়, লবণাক্ত জলের উদ্ভিদ ম্যানগ্রোভের এখন নতুন ঠিকানা তিলোত্তমা সংলগ্ন গঙ্গার পাড় । বোটানিকাল গার্ডেন ।

শুনতে অবাক লাগলেও, সামনে এসেছে এমন ঘটনাই । এশিয়ার সব থেকে বড় বোটানিকাল গার্ডেন শিবপুরের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিকাল গার্ডেন ৷ আর এখানেই গঙ্গার পাড় বরাবর উঁকি দিচ্ছে হারগোজা, বাইন, ওঁরাও, কৃপাণের মত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসমূল । বোটানিকাল গার্ডেন থেকে শুরু করে বেলুড় পর্যন্ত গঙ্গার পাড় বরাবর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই বেড়ে উঠছে এমন গাছ ।

নোনা জলের ম্যানগ্রোভকে গঙ্গার মিষ্টি জলে জন্মাতে দেখে প্রথমে চোখ কপালে উঠেছিল উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের । কিন্তু পরে তাঁরা পরীক্ষা করে বোঝেন এই পুরোটাই হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে । বোটানিক্যাল গার্ডেনের উদ্ভিদ বিজ্ঞানী বসন্ত সিংহ জানান, বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে সমুদ্রের জলস্তর বাড়ছে । সেই নোনা জল ক্রমশ ঢুকে পড়ছে সমুদ্র থেকে একশো কুড়ি কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে থাকা কলকাতা ও হাওড়া শহর সংলগ্ন গঙ্গায় । আর এ ভাবেই গঙ্গার জলে তৈরি হচ্ছে ম্যানগ্রোভ জন্মানোর অনুকূল পরিস্থিতি ।

বোটানিকাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন, গঙ্গার পাড় বরাবর তৈরি করা হবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য । গত 6 জুলাই বিশ্ব অরণ্য সপ্তাহের প্রথম দিন এই কাজ শুরু হয় । প্রাকৃতিক ভাবে 6 প্রজাতির ম্যানগ্রোভ বেড়ে উঠেছিল । পরে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে লাগানো হয় আরও 6 প্রজাতির ম্যানগ্রোভ । অর্থাৎ, মোট 12 প্রজাতির প্রায় 2000 ম্যানগ্রোভ এখন রয়েছে বোটানিকাল গার্ডেনে । বসন্ত সিংহর কথায়, বিগত 10 বছর ধরে এই জাতীয় ম্যানগ্রোভ দেখছি । বোটানিকাল গার্ডেন ছাড়াও বালি-বেলুড় পর্যন্ত মিলেছে ম্যানগ্রোভের খোঁজ । তবে বিশ্ব উষ্ণায়নের পাশাপাশি ইন ওয়ার্ড মাইগ্রেশন (অন্তবর্তী অভিযোজন) এর জন্য দায়ী ৷

তবে এ ভাবে ম্যানগ্রোভ জন্মানের বিষয়টি যথেষ্ট চিন্তার, তাও স্পষ্ট করেছেন বসন্তবাবু ৷ বিষয়টি ব্যাখ্যা করে তিনি জানান, কলকাতা এবং হাওড়ার মতো দুটি বড় শহরের অধিকাংশ মানুষই পানীয় জল হিসেবে গঙ্গার জল ব্যবহার করেন । সেই জলেই বাড়ছে নুনের পরিমাণ ৷ আশঙ্কা এখানেই ৷

এভাবে ম্যানগ্রোভ গাছ জন্মাতে থাকলে বোটানিকাল গার্ডেনের পাশে তৈরি হবে হবে না তো এক টুকরো সুন্দরবন! আশঙ্কা এখানেই ৷

দেখুন ভিডিয়ো
Intro:সুন্দরবন নয়, লবণাক্ত জলের উদ্ভিদ ম্যানগ্রোভের এখন নতুন ঠিকানা তিলোত্তমা সংলগ্ন গঙ্গার পাড়। হ্যাঁ, বিষয়টা শুনতে অবাক লাগলেও, বাস্তবে কিন্তু সামনে এসেছে এমন ঘটনা। এশিয়ার সবথেকে বড় বোটানিক্যাল গার্ডেন অর্থাৎ শিবপুরের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু বোটানিক্যাল গার্ডেন গঙ্গার পাড় বরাবর উঁকি দিচ্ছে হারগোজা বাইন ওরাও কৃপাণ এর মত ম্যানগ্রোভ উদ্ভিদের শ্বাসমূল। বোটানিক্যাল গার্ডেন থেকে শুরু করে বেলুড় পর্যন্ত গঙ্গার পাড় বরাবর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে প্রাকৃতিক ভাবেই বেড়ে উঠছে এ ধরনের গাছ। নোনা জলের ম্যানগ্রোভ কে গঙ্গার মিষ্টি জলের জন্মাতে দেখে প্রথমে চোখ কপালে উঠেছিল উদ্ভিদ বিশেষজ্ঞদের। কিন্তু পরে তারা পরীক্ষা করে বোঝেন এই পুরোটাই হচ্ছে বিশ্ব উষ্ণায়নের ফলে। বোটানিক্যাল গার্ডেনের উদ্ভিদবিজ্ঞানী বসন্ত সিংহ জানান, গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর ফলে সমুদ্রের জলস্তর ক্রমশ বাড়ছে। আর তাই সেই নোনা জল ক্রমশ ঢুকে পড়ছে সমুদ্র থেকে একশো কুড়ি কিলোমিটারেরও বেশি দূরত্বে অবস্থিত কলকাতা ও হাওড়া শহর সংলগ্ন গঙ্গায়। আর তাই গঙ্গার ফ্রেশ ওয়াটারে তৈরি হচ্ছে ম্যানগ্রোভ প্রজাতির গাছ জন্মানোর অনুকূল পরিস্থিতি।


Body:এরপরই বোটানিক্যাল গার্ডেন কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গঙ্গার পাড় বরাবর তৈরি করা হবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। গত 6 জুলাই বিশ্ব অরণ্য সপ্তাহের প্রথম দিন এই কাজ শুরু। প্রাকৃতিক ভাবে 6 প্রজাতির ম্যানগ্রোভ বেড়ে উঠেছিল। পরে কর্তৃপক্ষের উদ্যোগে লাগানো হয় আরো 6 প্রজাতির ম্যানগ্রোভ। অর্থাৎ মোট 12 প্রজাতির প্রায় 2000 ম্যানগ্রোভ এখন রয়েছে বোটানিক্যাল গার্ডেনে। বসন্ত সিংহর কথায়, বিগত 10 বছর ধরে এই জাতীয় ম্যানগ্রোভ গুলিকে দেখছেন তিনি। বোটানিক্যাল গার্ডেন ছাড়াও বালি বেলুড় পর্যন্ত মিলেছে ম্যানগ্রোভের খোঁজ। তবে গ্লোবাল ওয়ার্মিং এর পাশাপাশি ইন ওয়ার্ড মাইগ্রেশন এর জন্য দায়ী বলে মনে করেন উদ্ভিদবিজ্ঞানীরা। তবে বিষয়টি আপাতদৃষ্টে দারুন হলেও মানব জাতির কাছে অবশ্যই চিন্তার। কারণ কলকাতা এবং হাওড়ার মতো দুটি বড় শহরের অধিকাংশ মানুষই পানীয় জল হিসেবে গঙ্গার জল কে ব্যবহার করেন। সেই জলেই কিনা ক্রমশ বাড়ছে নুনের পরিমাণ!! আবার ভাল দিকও আছে বলে জানান বসন্ত বাবু। তার কথায় যে সমস্ত উদ্ভিদ বিজ্ঞানীদের সুন্দরবন এ গিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চালাতে হতো কিছুদিন পর থেকে তারা বোটানিক্যাল গার্ডেনে এসেই তাদের সব কাজটি সারতে পারবেন। আর পর্যটকদের জন্য কিছু বছর পরে খুলে দেয়া হবে ম্যানগ্রোভ অরণ্য। তাই বাঘের দেখা হয়তো মিলবে না কিন্তু গঙ্গার স্রোতে নৌকা ভাসালেই দেখা মিলবে এক টুকরো সুন্দরবন।


Conclusion:
Last Updated :Nov 12, 2019, 11:51 PM IST
ETV Bharat Logo

Copyright © 2024 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.