চুঁচুড়া, 14 অগস্ট: হুগলির কুখ্যাত দুষ্কৃতি টোটন বিশ্বাসকে ইমামবাড়া হাসপাতালে গুলি করে প্রাণে মারার চেষ্টার পর নরেচরে বসে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ । টোটন বিশ্বাসকে এসএসকেএম থেকে চুঁচুড়া আদালতে নিয়ে যাওয়ার সময় কিছু লোক প্রিজন ভ্যানের পিছু নেয় । ডানকুনিতে 39 জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় আগ্নেয়াস্ত্র ও কার্তুজ । ধৃতদের মধ্যে রয়েছে টোটনের ভাই রূপচাঁদ । তাদের জেরা করে পুলিশ আরও কিছু দুষ্কৃতীদের সন্ধান পায় ।
চুঁচুড়ার রবীন্দ্র নগর এলাকায় টোটনের বাড়ি । এক সময় ওই এলাকায় নিজের সাম্রাজ্য চালাত টোটন । তার সঙ্গীরা গ্রেফতার হতেই গ্যাং-এর দুষ্কৃতিরা এলাকা ছেড়ে বিভিন্ন জায়গায় আশ্রয় নেয় । কোদালিয়াতেও আশ্রয় নেয় কয়েকজন । খবর পেয়ে গতকাল রাতে মনসাতলায় সুকুমার মাঝি ওরফে সুকুর বাড়িতে হানা দিয়ে পুলিশ আটজনকে গ্রেফতার করে । 9এমএম-সহ 20টি আগ্নেয়াস্ত্র ও পিস্তল, পাইপ গান উদ্ধার করে । এছাড়াও উদ্ধার হয় তিনটি ফাঁকা ম্যাগাজিন ও 207 রাউন্ড কার্তুজ । 2 কেজি বিস্ফোরকও উদ্ধার করে পুলিশ (Police recovered firearms cartridges after raid in miscreant Toton Biswas place) ।
হীরালাল পাশোয়ান(হিরুয়া), সুজিত মণ্ডল, সোমনাথ সরদার(জিতু), বিকাশ রাজভর, রবি পাশোয়ান(রবিয়া), নীল পাশোয়ান, সুকুমার মাঝি ও সৌমিত্র কর্মকার ওরফে ফাটা, মোট আট জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ । রবিবার ধৃতদের চুঁচুড়া আদালতে পেশ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ।
আরও পড়ুন: গাড়িতে 'দাদা'! দুষ্কৃতী টোটোনকে নিরাপত্তা দিতে গিয়ে পুলিশের খপ্পরে 'ভাই'রা
প্রসঙ্গত, 2020 সালে টোটনের বাড়িতে চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে কারাবাইনের মত আধুনিক অস্ত্র-সহ প্রচুর আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করেছিল । তখন কিছুটা ছত্রভঙ্গ করেছিল দুষ্কৃতীদের । এই এলাকা থেকে সম্পূর্ণ কার্যকলাপ বন্ধ হয়ে যায় । কিন্তু জেলে বসেই আবারও কার্যকলাপ চালাচ্ছিল টোটন বলে জানা গিয়েছে । 6 অগস্ট টোটোনকে ইমামবাড়া হাসপাতালে মেডিক্যাল করাতে নিয়ে যায় পুলিশ। সেখানে পুলিশের সামনেই টোটোনকে গুলি করা হয় । টোটনকে গুলি চালানোর ঘটনায় পর একের পর এক দুষ্কৃতী কাজ কর্ম প্রকাশ্যে আসছে ।
