কোচবিহার, 28 মে : দেশ এবং রাজ্যজুড়ে প্রত্যেক দিন করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে ৷ তার মধ্যেই সচেতনতামূলক প্রচার চলছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ৷ সংক্রমণ ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে কার্যত লকডাউন কার্যকর করা হয়েছে ৷ তা সফল করতে পুলিশকে যেমন বিভিন্ন সময় লাঠি হাতে বের হতে হয়, তেমনই আবার বেআক্কেলেদের ধমকও দিতে হয় ৷ কখনও আবার মানুষকে বুঝিয়ে সচেতন করে বাড়িতে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে তারা ৷ কিন্তু কোচবিহারের মাথাভাঙায় পুলিশের ভূমিকায় দেখা গেল অভিনবত্ব ৷ পুলিশ যে সাধারণ মানুষের বন্ধু, সেটাই বুঝিয়ে দিলেন মাথাভাঙ্গা থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার ৷ তাঁর নেতৃত্বে এলাকার গরিব মানুষকে মাস্ক ও স্যানিটাইজার বিতরণ করা হল ৷ আইসি নিজেই পথচলতি মানুষের মুখে পরিয়ে দিলেন মাস্ক ৷
বৃহস্পতিবার মাথাভাঙ্গার নয়ারহাট এবং কেদারহাটের প্রত্যন্ত এলাকাগুলিতে মাঠ, ঘাট, বাজার ঘুরে ঘুরে মাস্ক ও স্য়ানিটাইজার বিলি করল মাথাভাঙা থানার পুলিশ ৷ চাষের কাজে ব্য়স্ত দিনমজুর থেকে পথচলতি দরিদ্র বৃদ্ধা, ছেলে-বুড়ো সকলকেই মাস্ক পরিয়ে দিলেন আইসি নিজে ৷ মানুষের হাতে তুলে দিলেন স্য়ানিটাইজার ৷ দিলেন সচেতন ও সতর্ক থাকার পারমর্শ ৷
![wb_cob_01_nijer hate mask paralen ic_wb10019](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/wb-cob-01-nijerhatemaskparalenic-wb10019_28052021101330_2805f_1622177010_877.jpg)
আরও পড়ুন : রোজগার নেই, তবু হাসি মুখে করোনা সচেতনতার প্রচার শুভঙ্করের
বাড়ির বাইরে বেরোলেই কেন মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, কেন স্যানিটাইজার ব্যবহার করা একান্ত দরকার, কেন অযথা বাইরে বেরোনো যাবে না, ইত্যাদি মানুষকে বুঝিয়ে দিলেন মাথাভাঙা থানার আইসি বিশ্বাশ্রয় সরকার ৷ পুলিশের এই ভূমিকায় খুশি স্থানীয় বাসিন্দারাও ৷
এই বিষয়ে বিশ্বাশ্রয় সরকার বলেন, ‘‘করোনা অতিমারি নিয়ে মানুষের মধ্যে যাতে সচেতনতা বাড়ে, তার জন্যই এই উদ্যোগ ৷ সকলেই যাতে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলেন, তার বার্তা দেওয়া হয়েছে ৷ আমরা লাগাতার এই কর্মসূচি চালিয়ে যাচ্ছি ৷ যাঁরা মাস্ক পারেননি, তাঁদের মাস্ক পরিয়ে সচেতন করা হয়েছে ৷’’