বোলপুর, 17 সেপ্টেম্বর: বিশ্বভারতীতে দৈহিক নির্যাতনের শিকার হন পড়ুয়ারা ৷ কোনও বিষয়ে অধ্যাপকদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হতে হয় পড়ুয়াদের । এমনই বিস্ফোরক প্রেস বিবৃতি দিল বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ সমালোচনা করে রবিবার এই প্রেস বিবৃতি দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক সূর্য সাইকিয়া ৷ "বিশ্বভারতীতে যা অন্যায় তা ন্যায়, কারণ গায়ের জোরে অন্যায়কে ন্যায় করা খুব কঠিন নয় । তার সঙ্গে যদি রাজ্য প্রশাসন যুক্ত থাকে তাহলে তো কথাই নেই ।" একথা লিখে প্রেস বিবৃতি শুরু করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ ।
এর পাশাপাশি অভিযোগ করা হয়েছে, অধ্যাপক-অধ্যাপিকারা নিজ দায়িত্ব পালন না করার জন্যই শিক্ষার মান কমছে বিশ্বভারতীতে ৷ প্রেস বিবৃতিতে একথাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, শিক্ষকরা সঠিক সময় ক্লাসে আসেন না ৷ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপিকা-অধ্যাপিকাদের ভূমিকা নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত জনসংযোগ আধিকারিক সূর্য সাইকিয়া ।
প্রেস বিবৃতি বলা হয়েছে, অনেক শিক্ষক সঠিক সময়ে ক্লাসে আসেন না ৷ আর এই নিয়ে পড়ুয়ারা মুখ খুলতেও পারে না । কারণ মুখ খুললেই বিভিন্ন ভাবে তাদের চাপ সৃষ্টি করা হয় তাঁদের উপর । এমনকি, সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করা হয় তাঁদের । পিএইচডি'র থিসিস পরীক্ষকের নামের লিস্ট পাঠিয়ে মঞ্জুর করার জন্যও চাপ দেওয়া হয় । এছাড়া, দৈহিক নির্যাতনের নিদর্শন আছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে । এমনই বিস্ফোরক তথ্য তুলে ধরা হয়েছে এই প্রেস বিবৃতিতে ৷
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে 'আভ্যন্তরীণ বাধা'র মুখোমুখি! ইটিভি ভারতকে জানালেন বুদ্ধদেব সাউ
তবে এই প্রেস বিবৃতিতে এটাও উল্লেখ করা হয়েছে যে, এই অভিযোগগুলি প্রমাণ করা যাবে না । পাশাপাশি, আরও বলা হয়, বিশ্বভারতীর শিক্ষকেরা ইংরেজিতে পড়াতে হিমসিম খান । শিক্ষকেরা গবেষণা করেন না ৷ বিশ্বভারতীর শিক্ষার মান অবনমনের জন্য শিক্ষকদেরকেই দায়ি করেন কর্তৃপক্ষ । প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিশ্বভারতীর উপাচার্য বিদ্যুৎ চক্রবর্তী প্রশংসা করা হয় । উপাচার্যের তৎপরতায় বিশ্বভারতীতে দুর্নীতি বেশকিছুটা কমেছে সেকথাই তুলে ধরা হয় ৷ অর্থাৎ, বিস্ফোরক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে অভ্যন্তরীণ সমালোচনা করে বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ । অধ্যাপক-অধ্যাপিকাদের এক হাতে নিয়ে তীব্র ভাষায় নিন্দা করা হয় । যা নিয়ে রীতিমতো শোরগোল বিশ্বভারতীর অন্দরে ।
