Arpan Dutta : মলদ্বীপে সোনা বাংলাদেশের, কারিগর কলকাতার অর্পণ

Arpan Dutta : মলদ্বীপে সোনা বাংলাদেশের, কারিগর কলকাতার অর্পণ
মলদ্বীপে সাফল্যের মূল কারিগর যদি ওদেশের প্যাডলাররা হন, তাহলে নেপথ্য কারিগর অবশ্যই অর্পণ দত্ত । টেবিল টেনিসকে হাতিয়ার করে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে এই বঙ্গের সেতুবন্ধনের কাজে কাঠবিড়ালির ভূমিকা পালন করে চলেছেন জয়ন্ত পুশিলালের ছাত্র (Arpan Dutta is the backbone of Bangladesh Table Tennis team) ।
কলকাতা, 14 মে : পূর্ব কলকাতা এবং পূর্ববঙ্গের সংযোগের সেতু টেবিল টেনিস । সম্প্রতি মালদ্বীপে অনুষ্ঠিত সাউথ এশিয়ান টেবিল টেনিস জুনিয়র টুর্নামেন্টের অনুর্ধ্ব-19 ইয়ুথ বিভাগে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ । শ্রীলঙ্কাকে ফাইনালে হারিয়ে টেবিল টেনিসে প্রথম আর্ন্তজাতিক পদক জিতেছে পদ্মাপাড়ের দেশ । 1টি সোনা এবং 5টি ব্রোঞ্জ পদক জয়ের নজিরে বঙ্গদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে (Arpan Dutta is the backbone of Bangladesh Table Tennis team)।
এই সাফল্যের মূল কারিগর যদি ওদেশের প্যাডলাররা হন, তাহলে নেপথ্য কারিগর অবশ্যই অর্পণ দত্ত । পূর্ব কলকাতার ছেলে অর্পণ মাত্র 23 বছর বয়সেই বাংলাদেশের জাতীয় দলের কোচ । জয়ন্ত পুশিলালের ছাত্র প্রথম থেকেই কোচ হওয়ার স্বপ্ন দেখতেন । ফলে যে বয়সে একজন তরুণ টুর্নামেন্টে দুরন্ত পারফরম্যান্সের স্বপ্ন দেখেন, সেখানে অর্পণের পছন্দ ছিল ডাগ-আউট । খেলোয়াড় গড়ে তোলার কৌশল ঠিক করাতেই আনন্দ পেতেন তিনি ।
ইতিমধ্যেই পাতিয়ালার এনআইএস কোচিং ডিগ্রি অর্জনের পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন অর্পণ । আগামী দিনে কোচ হিসেবে এগিয়ে যাওয়াকেই পাখির চোখ করছেন । সেই লক্ষ্যেই তাঁর দ্রোণাচার্য জয়ন্ত পুশিলালও । অসুস্থ অবস্থায় ক্রীড়াগুরু বর্তমানে ঘরবন্দি । কিন্তু তাঁর প্রতিষ্ঠিত অ্যাকাডেমি চালিয়ে নিয়ে যাওয়ার ভার অর্পণদের ওপরেই ।
এই মুহূর্তে ঢাকায় রয়েছেন অর্পণ। তাঁর কোচিংয়ে প্রতিবেশী দেশ প্রথম আর্ন্তজাতিক পদক জিতেছে । কোচ হিসেবে স্বাভাবিক ভাবেই আনন্দিত । মাত্র 20 বছর বয়সে প্রথমবার বাংলাদেশের টেবিল টেনিস দলের কোচ হয়েছিলেন । 2019 সালে কাঠমাণ্ডু সাফ গেমসে বাংলাদেশ ব্রোঞ্জ পেয়েছিল অর্পণের কোচিংয়ে । এরপর থেকেই পদ্মাপাড়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ । বড় টুর্নামেন্টের আগের 3 মাস ওদেশে গিয়ে বাংলাদেশ দলকে গড়ে তোলার কাজে হাত লাগান ।
অর্পণ বলেন, ‘‘টেবিল টেনিসের পরিকাঠামো ভারতের মতো নয় । তবে পরিস্থিতি বদলাচ্ছে । বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশন প্রেসিডেন্ট হাসান মুনির সুমন স্যার চেষ্টা করে চলেছেন । সেই চেষ্টার ফলেই গত কয়েক বছরে পরিকাঠামো অনেক উন্নতি ঘটেছে ৷” বয়স কম হলেও আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে ।
ভারতের মত বাংলাদেশে প্রচুর টুর্নামেন্ট হয় না । বছরে মাত্র 4টি জাতীয় পর্যায়ের টুর্নামেন্ট হয়ে থাকে । যদিও টেবিল টেনিসের লিগে আন্তর্জাতিক মানের অনেক খেলোয়াড়ই অংশগ্রহণ করে থাকেন । ফলে টেবিল টেনিস নিয়ে পদ্মাপাড়ে উন্মাদনা, আগ্রহ বাড়ছে । মলদ্বীপে সাফল্যের পর ক্রীড়ামন্ত্রী জাহিদ হাসান রাসেল দলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন । দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অভিনন্দনও পৌঁছে গিয়েছে । বাংলাদেশ টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সভাপতি হাসান মুনির সুমন ইতিমধ্যেই পরিকাঠামোগত সমস্ত কিছু গড়ে তোলার কথা বলেছেন ।
আরও পড়ুন : সৌরভই অনুপ্রেরণা, জাতীয় চ্যাম্পিয়নশিপে রানার্স হয়ে বললেন মৌমা
মৌতাসিন আহমেদ রিওডি, রামহিম লিয়ান বাউন, নাফিজ ইকবাল, হাসিব হাসেমের নৈপুন্যে সোনা জিতেছে বাংলাদেশ । ওদের মধ্যে বড় খেলোয়াড় হওয়ার মশলা রয়েছে বলেই মনে করেন অর্পণ । টেবিল টেনিসকে হাতিয়ার করে পূর্ববঙ্গের সঙ্গে এই বঙ্গের সেতুবন্ধনের কাজে কাঠবিড়ালির ভূমিকা পালন করে চলেছেন জয়ন্ত পুশিলালের ছাত্র ।
